আড়াই লাখ ভিক্ষুক ও
ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে ইসলাম
সোমবার
(১৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে
মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর
পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ
সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের
লিখিত উত্তরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ
তথ্য জানান। এসময়
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। এ
প্রপ্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত
হয়।সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বলেন, দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা
নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো
জরিপ পরিচালিত হয় না।
তবে বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে জরিপ পরিচালিত হচ্ছে। দেশের
সব জেলায় জেলা প্রশাসক
ও উপ-পরিচালক জেলা
সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভিক্ষুক পুনবাসনের
জন্য প্রাপ্ত চাহিদাপত্রে মোট ২ লাখ
৫০ হাজার ভিক্ষুক রয়েছে
বলে জানা যায়।
এ ভিক্ষুকদের পুর্নবাসনের জন্য মোট ৪৫০
কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া
হয়। এর
পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে
ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান
কর্মসূচিতে প্রাপ্ত ৩ কোটি টাকা
জেলাগুলোতে পাঠানো হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪
কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ
তথ্য অনুসারে দেশের ০ দশমিক
১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির
মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুক
পুর্নবাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলাগুলোতে জেলা
প্রশাসকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া
হয়।
অল্পে
তুষ্ট, সহনশীলতা, মিতব্যয়ীতা, বিনা প্রয়োজনে কারো
কাছে কিছু না চাওয়ার
জন্য শরিয়তে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী
(সা) বলেনঃ অঢেল সম্পদ
থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না,
বরং মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত
ঐশ্বর্য। (বুখারী,
মুসলিম) সুতরাং সম্পদেও প্রতি
অতিরিক্ত লোভ করা যাবে
না।সাহাবীগণ
ক্ষিধার তাড়ণায় নামাজের সময়
দাঁড়ানো অবস্থায় পড়ে যেতেন।
এমনকি কেউ কেউ তাদেরকে
পাগল হিসেবে বিবেচনা করতেন
যদিও তারা পাগল ছিলেন
না। ক্ষিধার
যন্ত্রণায় আবোল তাবোল বকতেন। তবুও
তারা সম্পদের প্রতি কোন প্রকার
লোভ করতেন না।
এমনকি ভিক্ষাভৃত্তি অবরম্বন করতেন না।
মুসলিম শরিফে নবিজী বলেনঃ
তোমরা মানুষের কাছে কিছুই চাইবে
না। সুতরাং
আমি নিজে এ দলের
কয়েকজনকে দেখেছি যে, এমনকি
তাদের কারো চাবুক মাটিতে
পড়ে গেলেও তারা অন্য
কাউকে তা উঠিয়ে দিতে
বলতেন না। আবদুল্লাহ
ইবনে আমর (রা) থেকে
বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি কৃতকার্য
হয়েছে, যে ইসলাম গ্রহণ
করেছে, প্রয়োজনমাফিক রিযিক প্রাপ্ত হয়েছে
এবং আল্লাহতাকে
যা দান করেছেন তাতে
সন্তুষ্ট থাকার তওফীকও দিয়েছেন। (মুসলিম)
বৈধ জিনিসও যদি অতিরিক্ত
খরচ করা হয় সেটি
অপচয়ের পর্যায়ে পড়ে।আর
অপচয় অভাবে পড়ার একটি
কারণ। অতিরিক্ত
অভাব ভিক্ষাভৃত্তিকে ডেকে আনে।
একদিন একজন সাহাবী বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ (সা) -এর কাছে
কিছু চাইলাম। তিনি
আমাকে দান করলেন।
আমি পুনরায়
তাঁর কাছে চাইলাম।
তিনি এবারো আমাকে দান
করলেন।
আমি আবার চাইলে তিনি
আমাকে দান করেন এবং
বলেনঃ হে হাকীম! এ
সম্পদ সবুজ শ্যামল ও
মিষ্ট। পুনরায়
যে ব্যক্তি নির্বিকার চিত্তে এ সম্পদ
গ্রহণ করে, তার জন্য
তাতে বরকত প্রদান করা হয়।
আর যে ব্যক্তি লোভ-লালসার মন নিয়ে
তা অর্জন করে, তার
জন্য তাতে বরকত দেয়া
হয় না। তার
অবস্থা এরূপ হয় যে,
কোন লোক খাবার খেলো;
কিন্তু তাতে তৃপ্তি পেল
না।
উপরের হাত নিচের হাতের
চেয়ে উত্তম
(অর্থাৎ দানকারী গ্রহণকারীর চেয়ে উত্তম)। হাকীম
(রা) বলেন, আমি বললাম,
ইয়ারাসূলুল্লাহ ! যিনি আপনাকে সত্যসহ
পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ এরপর
থেকে দুনিয়া ত্যাগ না
করা পর্যন্ত আমি
কারো কাছে কিছু চাইবো
না। অতঃপর
আবু বকর (রা) হাকীমকে
ডেকে কিছু (দান) গ্রহণ
করতে বললেন। তিনি
তা গ্রহণ করতে অস্বীকার
করলেন।
অতঃপর উমার (রা) তাকে
কিছু দেয়ার জন্য ডাকলেন,
কিন্তু তিনি তা গ্রহণ
করতে অস্বীকার করলেন।
কোন ব্যক্তি যদি
কিছু লোককে দেয়
এবং কিছু ব্যক্তিকে না
দেয় তাহলে তা নিয়ে
কোন তর্ক বিতর্ক করা
যাবে না। এসময়
সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। ৫২৬.
আমর ইবনে তাগলিব (রা)
থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে কিছু
মাল অথবা বন্দী হাযির
করা হলো। তিনি
সেগুলো বণ্টন করতে গিয়ে কতক
লোককে দিলেন এবং কতক
লোককে দিলেন না।
তাঁর কানে এল যে,
তিনি যাদেরকে দেননি তারা অসন্তুষ্ট
হয়েছে। সুতরাং
তিনি আল্লাহর হামদ ও সানা
পাঠ করার বলেনঃ আল্লাহর
শপথ! আমি কাউকে দিয়ে
থাকি এবং কাউকে দেই
না। আমি
যাকে দেই না সে
আমার কাছে সেই ব্যক্তির
গিয়ে চাইতে বেশি প্রিয়
যাকে আমি দিয়ে
থাকি। আমি
তো এমন এক ধরণের
লোকদের দিয়ে থাকি যাদের
অন্তরে অস্থিরতা ও বিহ্বলতা দেখতে
পাই। আর
যাদের দিলে আল্লাহ
প্রশস্থতা ও
কল্যাণকামিতা দান করেছেন তাদেরকে
তার উপর সোপর্দ করি। এই
ধরণের লোকদের মধ্যে আমর
ইবনে গিয়ে তাগলিব একজন। আমর
ইবনে তাগলিব (রা) বলেন, আল্লাহর
শপথ! আমার জন্য এ
বাণী এতই মূল্যবান যে,
এর বিনিময়ে লাল রংয়ের উট
গ্র্রহণ করতেও আমি প্রস্তুত
নই (বুখারী)।
পোষ্যদের থেকেই দান শুরু
করতে হবে। স্বচ্ছলতা
বজায় রেখে যে দান
খয়রাত করা হয় সেটাই
উত্তম। যে
ব্যক্তি পবিত্র ও সংযমী
হতে চায় আল্লাহতাকে
সংযমী পবিত্র বানিয়ে দেন। যে
ব্যক্তি সচ্ছল হতে চায় আল্লাহ
তাকে স্বনির্ভর হতে
দেন। আবু
সুফিয়ান সাখর ইবনে হারব
(রা) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সা) বলেছেনঃ তোমরা নাছোড়বান্দা হয়ে যাচ্ছে
তাই করবে না।
আল্লাহর শপথ! তোমাদের মধ্যে
যে ব্যক্তি আমার কাছে কিছু
চায় এবং তার চাওয়া
আমাকে অসন্তুষ্ট করে কিছু আদায়
করে নেয়, সে আমার
প্রদত্ত মালে বরকত পাবে
না। (মুসলিম)
কেউ খুশি হয়ে কিছু
দিলে তা নেয়া যেতে
পারে। কিন্তু
কাউকে বিরক্ত কওে কিছু
আদায় করা উচিত নয়।
ভিক্ষাবৃত্তি
একটি অপমানজনক পেশা। অন্য
কোন উপায় না থাকলে
শুধুমাত্র প্রাণ বাঁচানোর জন্য
তা করা যেতে পারে। আর্থিক
সমস্যা শেষ হয়ে গেলে
তা করা হারাম হয়ে
যাবে। অতিরিক্ত
লাভের আশায় বা ধনী
হওয়ার আশায় তা করা
যাবে না। ইবনে
উমার (রা) থেকে বর্ণিত। নবী
(সা) বলেছেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি সর্বদা
চেয়ে -চিন্তে বেড়ায়, আল্লাহতা’য়ালার সাথে সাক্ষাতকালে
তার মুখমন্ডলে এক টুকরা গোশতও
থাকবে না। (বুখারী, মুসলিম)। এছাড়া
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাল
বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লোকদের কাছে ভিক্ষা
করে, প্রকৃতপক্ষে সে জ¦লন্ত অঙ্গার
ভিক্ষা করে। অতএব
সে তার ভিক্ষা মেগে
বেড়ানো বাড়াতেও পারে বা কমাতেও
পারে। (মুসলিম)তাই সম্পদর উদ্দেশে
কেউ কিছু চেয়ে নিতে
পারবে না। ভিক্ষা
চাওয়াটাই হচ্ছে একটি ক্ষতবিশেষ। এর
দ্বারা ভিক্ষাকারী তার মুখমন্ডলকে ক্ষত-বিক্ষত করে।
কিন্তু রাষ্ট্রপ্র্রধানের কাছে কিছু চাওয়া
বা যা না হলেই
নয়, এরূপ ক্ষেত্রে চাওয়া
যেতে পারে। মানুষের
কাছে হাত পাতার আগে
অঅল্লাহর কাছে দারিদ্রতা থেকে
মুক্ত থাকার জন্য দোয়া
করতে হবে। রাসুল
সাঃ নামাযের মধ্যে ঋণমুক্তি, দারিদ্রতা
উত্যাদি থেকে পানাহ চাইতেন। ইবনে
মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ অভাব-অনটন যার
উপর হানা দেয়, অতঃপর
সে যদি তা জনসমক্ষে
প্রকাশ করে তবে তার
এ অভাব দূরীভূত হবে
না। আর
যে ব্যক্তি তার অভাব সম্পর্কে
আল্লাহর শরণাপন্ন হয়; শিগগির হোক
কি বিলম্ব হোক আল্লাহতাকে রিযিক দেবেনই।
(আবু দাউদ)। আবু
বিশর কাবীসা ইবনুল মুখারিক
(রা) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি (ঋণ
বা দিয়াতের) যামিনদার হয়ে অপারগ
হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা)
এর কাছে এ ব্যাপারে
কিছু সাহায্য চাইতে আসলাম।
তিনি বলেন, অপেক্ষা কর,
এরি মধ্যে আমাদের মাঝে
সদকার মাল এসে গেলে
তোমাকে তা দেয়ারআদেশ দেবো। তিনি
পুনরায় বলেনঃ হে কাবীসা!
তিন ধরনের লোক ছাড়া
আর কারো জন্য চাওয়া
(ভিক্ষাকরা) বৈধ নয়ঃ (১)
যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে
ঋণ পরিশোধ করা পর্যন্ত চাইতে
পারে, অতঃপর তাকে বিরত
থাকতে হবে। (২)
যে ব্যক্তি এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে
দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়লো
যা তার মালসম্পদ ধ্বংস
করে দিল, সেও তার
প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজন পরিমাণ
চাইতে পারে অথবা তিনি
বলেনঃ তার অভাব দূর
হওয়া পর্যন্ত চাইতে
পারে। (৩)
যে ব্যক্তি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছে এবং
তার গোত্রের তিনজন সচেতন ব্যক্তি
সত্যায়ন করেছে যে, অমুকের
উপর দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে, তার
জন্যও প্রয়োজন মেটানো পরিমাণ সওয়াল
করা বৈধ অথবা তিনি
বলেনঃ অভাব দূর হওয়া
পর্যন্ত চাওয়া
বৈধ। হে
কাবীসা! তিন প্রকারের লোক
ছাড়া আর সবার জন্য
কারো কাছে হাত পাতা
হারাম এবং যে ব্যক্তি
হাত পাতে সে হারাম
খায়। ইমাম
মুসলিম হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন।
ভিক্ষাবৃত্তি
প্রতিরোধে কুরআনে বহু নির্দেশনা
রয়েছে। মহান আল্লাহবলেনঃ
“অতএব নামায যখন সমাপ্ত
হয়, তখন তোমরা যমীনে
ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর
অনুগ্র্রহ (জীবিকা) অন্বেষণ কর “(সূরা
আল-জুমু’আঃ ১০)।
আবু আবদুল্লাহ যুবাইর ইবনুল আওয়াম
(রা) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার রশি
নিয়ে পাহাড়ে চলে যাক,
নিজের পিঠে করে কাঠের
বোঝা বয়ে এনে বাজারে
বিক্রয় করুক এবং তার
চেহারাকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা
করুক। এটা
তার জন্য মানুষের দ্বারে
দ্বারে ভিক্ষা করে ঘুরে
বেড়ানোর চাইতে উত্তম এবং
মানুষ তাকে ভিক্ষা দিতেও
পারে বা নাও দিতে
পারে।
(বুখারী) দাঊদ (আ) নিজ
হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ
করতেন।
যাকরিয়া (আ) ছিলেন ছুতার।
নবী (সা) বলেছেনঃ নিজ
হাতে উপার্জন করে খাওয়ার চাইতে
উত্তম খাদ্য কেউ কখনো
খায়নি। আল্লাহর
নবী দাঊদ (আ) নিজ
হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ
করতেন।
এভাবে প্রত্যেক নবি পরিশ্রম করেছেন। যে
ব্যক্তি আল্লাহর দোহাই দিয়ে আশ্র্রয়
কামনা করে তাকে আশ্রয়
দান করা উচিত।
যে আল্লাহর নাম নিয়ে কিছু
চায় তাকে কিছু দিতে
হবে। রস
যদি ঘোড়ায় চড়েও আসে তাকে
বিনা কারণে ফেরৎ দেয়া
যাবে না। কারণ
গরিব, মিসকিন, অসহায়, মুসাফিরের হক
আমাদেরকে অঅদায় করতে হবে। তবে
যে চাচ্ছে তাকে অবশ্যই
শরিয়ত মোতাবেক চাইতে হবে।
এর ব্যতিক্রম হলে আল্লাহর কাছে
এর জন্য জবাবদিহী করতে
হবে। অল্লাহ
দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের
কল্যাণ সাধন করুন।
লেখকঃ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক
ও সাংবাদিক, কুমিল্লা। ০১৭১১৭১৩২৫৭
। ওহির আলোকে
ঃ ভিক্ষাবৃত্তি
প্রতিরোধে ইসলাম
মহান আল্লাহবলেনঃ
“অতএব নামায যখন সমাপ্ত
হয়, তখন তোমরা যমীনে
ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর
অনুগ্র্রহ (জীবিকা) অন্বেষণ কর “(সূরা
আল-জুমু’আঃ ১০)।
। আবু
হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী
(সা) বলেনঃ অঢেল সম্পদ
থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না,
বরং মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত
ঐশ্বর্য। (বুখারী,
মুসলিম)
। মুসলিম শরিফে নবিজী
বলেনঃ তোমরা মানুষের কাছে
কিছুই চাইবে না।
সুতরাং আমি নিজে এ
দলের কয়েকজনকে দেখেছি যে, এমনকি
তাদের কারো চাবুক মাটিতে
পড়ে গেলেও তারা অন্য
কাউকে তা উঠিয়ে দিতে
বলতেন না। আবদুল্লাহ
ইবনে আমর (রা) থেকে
বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি কৃতকার্য
হয়েছে, যে ইসলাম গ্রহণ
করেছে, প্রয়োজনমাফিক রিযিক প্রাপ্ত হয়েছে
এবং আল্লাহতাকে
যা দান করেছেন তাতে
সন্তুষ্ট থাকার তওফীকও দিয়েছেন। (মুসলিম)
আমর ইবনে তাগলিব (রা)
বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার জন্য
এ বাণী এতই মূল্যবান
যে, এর বিনিময়ে লাল
রংয়ের উট গ্র্রহণ করতেও
আমি প্রস্তুত নই (বুখারী)।
আবু সুফিয়ান সাখর ইবনে হারব
(রা) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সা) বলেছেনঃ তোমরা নাছোড়বান্দা হয়ে যাচ্ছে
তাই করবে না।
আল্লাহর শপথ! তোমাদের মধ্যে
যে ব্যক্তি আমার কাছে কিছু
চায় এবং তার চাওয়া
আমাকে অসন্তুষ্ট করে কিছু আদায়
করে নেয়, সে আমার
প্রদত্ত মালে বরকত পাবে
না। (মুসলিম)
ে
নবী (সা) বলেছেনঃ তোমাদের
যে ব্যক্তি সর্বদা চেয়ে -চিন্তে বেড়ায়, আল্লাহতা’য়ালার সাথে সাক্ষাতকালে
তার মুখমন্ডলে এক টুকরা গোশতও
থাকবে না। (বুখারী, মুসলিম)।
এছাড়া
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাল
বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লোকদের কাছে ভিক্ষা
করে, প্রকৃতপক্ষে সে জ¦লন্ত অঙ্গার
ভিক্ষা করে। অতএব
সে তার ভিক্ষা মেগে
বেড়ানো বাড়াতেও পারে বা কমাতেও
পারে। (মুসলিম)
ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে
বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ অভাব-অনটন যার
উপর হানা দেয়, অতঃপর
সে যদি তা জনসমক্ষে
প্রকাশ করে তবে তার
এ অভাব দূরীভূত হবে
না। আর
যে ব্যক্তি তার অভাব সম্পর্কে
আল্লাহর শরণাপন্ন হয়; শিগগির হোক
কি বিলম্ব হোক আল্লাহতাকে রিযিক দেবেনই।
(আবু দাউদ)।
)। আবু আবদুল্লাহ যুবাইর
ইবনুল আওয়াম (রা) থেকে
বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাদের
কেউ তার রশি নিয়ে
পাহাড়ে চলে যাক, নিজের
পিঠে করে কাঠের বোঝা
বয়ে এনে বাজারে বিক্রয়
করুক এবং তার চেহারাকে
আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা
করুক। এটা
তার জন্য মানুষের দ্বারে
দ্বারে ভিক্ষা করে ঘুরে
বেড়ানোর চাইতে উত্তম এবং
মানুষ তাকে ভিক্ষা দিতেও
পারে বা নাও দিতে
পারে।
(বুখারী)
মমিন মোল্লা, কুমিল্লা
উত্তর ,১৭/০১/২০২০ আজকের
বিজনেস বাংলাদেশ