ঐতিহ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ঐতিহ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
 কুমিল্লার ঐতিহাসিক মসজিদঃকাবিলার শাহী জামে মসজিদ

কুমিল্লার ঐতিহাসিক মসজিদঃকাবিলার শাহী জামে মসজিদ


কাবিলার শাহী জামে মসজিদ শত ৩৫ বছর অতিক্রম করে আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লা জেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কাবিলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শত গজ উওর পাশে অবস্থিত ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক নিপুন কারু কাজে নির্মিত এই মাসজিদ এটি ১৭৮৫ সালে সর্বপ্রথম নির্মিত হয় এক গম্ভুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে সু উচ্চ চার কোনায় চারটি মিনার মসজিদটি দেখতে প্রাচীন স্থাপত্যর মত মনে হয় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাবিল মজুমদার হাবিল মজুমদার নামে দুভাই ছিলেন তারা ছিলেন- খুবই নিষ্ঠাবান তাদের বিশাল সম্পত্তি তৎকালিন সময়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, বাজার, কবরস্থানসহ নানান প্রতিষ্ঠানে দান করে যান তার অন্যতম কাবিলার শাহী জামে মাসজিদ মসজিদটির পাশে রয়েছে- সু বিশাল একটি দিঘী, রয়েছে কাবিলার শাহী কবরস্থানএলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মনজুর আহাম্মেদ বলেন, কাবিল মজুমদার নাম থেকেই কাবিলা মসজিদ নামে পরিচিত তিনি একজন জমিদার ছিলেন, তিনি এখানে মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কল্যানে অনেক সম্পত্তি দান করে গেছেনকাবিল মজুমদারের বংশধরের একজন রুহুল কুদ্দুছ জানান, আমি কাবিল মজুমদারের ১২তম বংশধর আমি শুনেছি, কাবিল মজুমদার তার জমিদারির বিশাল অংশই মানবতার কল্যাণে দান করে গেছেন, তিনি কবে-কখন-কোথায় কিভাবে- মারা গেছেন তা কেউই বলতে পারে নাই কাবিলা শাহী জামে মাসজিদের ইমাম মাওলানা আবু ছায়েদ জানান, মাসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে প্রায় শত লোক অংশগ্রহণ করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করা হয়কাবিল মজুমদার নেই, নেই তার জমিদারি, রয়ে গেছে লাখ মানুষের কল্যাণে নির্মিত কাবিলার শাহী জামে মাসজিদ, বাজার, কবরস্থান

লেখকঃমমিনুল ইসলাম মোল্লা https://www.maminmollah.xyz/search/label/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C

স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত ।। কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীড়!

স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত ।। কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীড়!


Viral news bd # online verson

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।।

করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভীর । গত ১৯ আগস্ট সরকারি ঘোষণায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সংবাদে জেলাজুড়ে অসংখ্য বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রে বাড়ছে দর্শনার্থীর ভীড়।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে কুমিল্লার বিনোদন স্পটগুলোতে। এর মাঝে স্বস্তি ফিরছে কুমিল্লার পর্যটন শিল্পসহ এ খাতে বিনোয়োগকারীরা। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার চার মাস পর নতুনভাবে সেজেছে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলো। ঐতিহাসিক কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, ১৬৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শাহ সুজা মসজিদ, রূপবান মুড়া, ওয়ার সিমিট্টি, রূপসাগর, চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন, চণ্ডীমুড়া মন্দির, কুমিল্লা বার্ড, নীলাচল, কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগর ও নগর উদ্যান, ড. আখতার হামিদ খান প্রতিষ্ঠিত কেটিসিসির দর্শনীয় স্থান, রানীর কুটির, রাজেশপুর ইকোপার্কসহ কোটবাড়ির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখরিত হতে শুরু করেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
    এরই মধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। কোথায়ও কোথায়ও ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা । শালবন বিহারে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন জহির সরকার নামে এক ব্যক্তি। ফেনী থেকে এসেছেন তিনি। তিনি জানান, কোটবাড়ি আমাদের প্রিয় স্থান। এখানে অনেকগুলো স্পট রয়েছে। গত চারমাস পরিবার নিয়ে এক প্রকার বন্দী ছিলাম।
    সরকারী ঘোষণার পর পরিবার নিয়ে তাই ঘুরতে এসেছি। বুড়িচং থেকে ঘুরতে আসেন ছেলেকে নিয়ে মা সেলিনা আক্তার, তিনি বলেন,কুমিল্লা ধর্ম সাগর,নগর উদ্যান ভারি চমৎকার। অনেক দিন পর একটু ঘুরতে আসা।স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিনোদন-পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও ভীড় করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা রয়েছে।
দেবীদ্বার মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

দেবীদ্বার মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন


 ২১আস্টের গ্রেনেট হামলায় নেত্রীকে হত্যার জঘন্য অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিল মানবঢাল। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজী রেখে দেশমাতৃকাকে শত্রæমুক্ত করেছিল দেশপ্রেমিক জনতা, তেমনি ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের আরো একটি ভয়াবহ কলঙ্কময় দিনে শক্তিশালী গ্রেনেটের আঘাতে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বিরোধীদলের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করার জঘন্য অপচেষ্টার রুখেদিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) শোয়েব, ব্যক্তিগত স্টাফ নজীব আহমেদসহ দেহরক্ষীরা মানব ঢাল তৈরী করে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন।


শনিবার সকাল ১১টায় মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদের পিতা সাবেক উপজেলা পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেরাজুল হক পেস্কার’র ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা, দোয়া-মাহফিলে আলোচকরা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।

মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মোবারক হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আমিরুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মোঃ এজাজ মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, আ’লীগ দেবীদ্বার উপজেলা কমিটির সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান বাবুল ভ‚ঁইয়া।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশনেন, বীর মূক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী আকবর, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আবুল হাসেম ভ‚ঁইয়া, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সুলতান আহমেদ, অধ্যাপক বশিরুল আলম প্রমূখ।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন, মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আ’লীগ নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদ ও তার প্রয়াত পিতা সাবেক উপজেলা পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেরাজুল হক পেস্কার’র কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল, তাবারুক বিতরণের আয়োজন করা হয়।
 অর্থাভাবে মোমিন ব্যাপারীর চিকিৎসা ব্যাহত

অর্থাভাবে মোমিন ব্যাপারীর চিকিৎসা ব্যাহত


সংবাদদাতাঃমুরাদনগর উপজেলার ডারপা গ্রামের নাম মোহাম্মদ মোমিন ব্যাপারী। তার বাবার নাম তাহের ব্যাপারী বাড়ি ।  তিনি দীর্ঘ তিনবছর যাবৎ লিভারের সমস্যায় ভুকছেন। নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে শূন্য। দুইবার ডাক্তার দেখানো হয়েছিল  আগের চেয়েও কিছুটা ভালো হলেও সমস্যা এখনো শেষ হয়নি। টাকার জন্য আর ডাক্তার দেখানো যায়নি। তিনি একসময় অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ ছিলেন। এখন নিজের জীবন নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন।

এমনতা অবস্থায় তিনি ওনার চিকিৎসার জন্য নিজ গ্রাম ও আশেপাশের মানুষকে ওনার প্রতি এগিয়ে আসার আহবান করেছেন ও আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। সবাই ওনাকে অল্প অল্প করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।।  মোঃ সাদ্দাম হোসেন ব্যাপারী। পারসোনাল বিকাশ নাম্বার ঃ 0174-2346954.

  কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আয়তন ৩৪০.৭৩ বর্গ কিলোমিটার

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আয়তন ৩৪০.৭৩ বর্গ কিলোমিটার


মুরাদনগর উপজেলার আয়তন ৩৪০.৭৩ বর্গ কিলোমিটার এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা[] কুমিল্লা জেলা সদর থেকে সড়ক পথে ৩৫.৪২ কিলোমিটার দূরে গোমতী নদীর তীরে মুরাদনগর উপজেলা অবস্থিত উপজেলার পূর্বে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা; দক্ষিণ-পূর্বে দেবিদ্বার উপজেলা; দক্ষিণে চান্দিনা উপজেলা; পশ্চিমে দাউদকান্দি উপজেলা, তিতাস উপজেলা, হোমনা উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা; উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা এবং উত্তর-পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা অবস্থিত

দেবিদ্বারের শুভপুরের পানঃ হারিয়ে যাওয়া ঐতহ্য

দেবিদ্বারের শুভপুরের পানঃ হারিয়ে যাওয়া ঐতহ্য

দেবিদ্বারের শুভপুরের পানঃ হারিয়ে যাওয়া ঐতহ্য

 

 যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, মহেশখালীর পানের খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম' মহেশখালীর পান শুধু স্থানীয় চাহিদা নয় পূজা পার্বণেও সবার সেরা মহেশখালী ছাড়াও চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর আর রাজশাহীর পান এখন সারা দেশে পানসেবীদের খুবই প্রিয় এছাড়া বাংলা, ভাটিয়াল, চাল ডােগা, ঘাসপান পার্বত্য চট্টগ্রামের সাচি পানের মতাে দেবিদ্বারের এক ধরনের পান একসময় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দূর দুরান্তে চলে যেতাে

কিন্তু কালের বিবর্তনে দেবিদ্বারে পান ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে পান চাষীরা জীবন জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে মূলত: হিন্দুরাই বর্তমানে পান চাষের সাথে জড়িত মুসলমানদের আগমনের বহু পূর্ব থেকেই অঞ্চলের লােকেরা পান চাষের সাথে জড়িত ছিল বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে পিপুল পরিবার ভুক্ত গুল জাতীয় পণ্য পান শুধুমাত্র এশিয়াতেই লক্ষ্য করা যায়একসময় দেবিদ্বারে

পানকে তাম্বুল নামে ডাকত। কেউ কেউ নিশ্বাসকে সুরভিত করতে অথবা ঠোট লাল করার জন্য সখের বশে পান চেখে দেখতেন। অবশ্য পানের মধ্যে। কিছুটা মাদকতার আনন্দও রয়েছে। ঘটক মিজানুর রহমান বলেন, পান বিয়ে অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পান ছাড়া বিয়ের কথাই ঠিকভাবে জমে উঠেনা। তাই বিয়ের মধ্যে কোরমা পোলাও খাওয়ালেও যদি পানগুলো ভাল নাও হয় তাহলে কনে পক্ষের বদনাম? হয়। শুধু বিয়ে নয় রাজনৈতিক মজলিশ, ঘরোয়া আলােচনা এবং সামাজিক জলসাতেও পানের উপস্থিতি একান্ত ভাবে আবশ্যক। দেবিদ্বারের একটি অন্যতম পান প্রধান এলাকা শুভপুর। এই এলাকার প্রায় দেড় থেকে দুইশ

লোক পেশার সাথে জড়িত ছিল। এখন অনেকেই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন, পান চাষে লাভ কম হওয়ায় বিশিষ্ট পান চাষী রণদা প্রসাদ সিংহ চাকুরি করে সংসার চালাচ্ছেন। এক পরিবারের সকলেই পান চাষের সাথে জড়িত এমন পরিবার শুভপুরে এখনও পাওয়া যাবে। তবে তাদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে

সুখকর চন্দ্র সিংহ, উত্তম চন্দ্র সিংহ  এবং জীবন চন্দ্র সিংহ ভাই  এখনও পৈত্রিক পেশা ধরে  রেখেছেন। অধিকাংশ চাষী দুরবস্থার মধ্যে  থাকলেও কেউ কেউ পান চাষ

করে সুখের নীড় গড়েছেন। ব্যাপারে রাখাল চন্দ্র দে এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে এখনকার চেয়ে আগে পান চাষে বেশি লাভ হতো বলে তিনি মনে করেন। রাখাল চন্দ্র দে এর পাশাপাশি হরিপদ বীর খোকন সিংহ তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণ জমিতে পান চাষ করেন। তবে আগের তুলনায় ওরাও পানের বরজ কমিয়ে দিয়েছেন। কয়েকবছর আগে রাখার চন্দ্র দে এর ৫০০ লাইন পান ছিল। এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক চাষী পেশা ছেড়ে দিলেও সেন্টু পালের বিধবা স্ত্রী এখনও পান চাষ করেই কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন। শুভ পুরের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক পান। চাষী শতিশ সিং (৮২) বলেন, যুগ যুগ ধরে আমরা পান চাষ করে আসছি। তবে বর্তমানে খরচের তুলনায় বিক্রি কম হওয়ায় অনেকেই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। দেবিদ্বারের মাটি উর্বর অপেক্ষাকৃত উঁচু হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ যায়গায় পানি উৎপাদন হতে পারে দেবিদ্বারের উপসহকী কষি কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, পান চাষের জন্য  নির্বাচিত জমি সাধারণ জমির চেয়ে একটু উঁচু। মাটির ধরণ শক্ত এবং জলাশয়, পুকুর ইত্যাদির ধারে কাছে হওয়া বাঞ্চনীয়। পান চাষীরা জানান, জমি তৈরীর পর মে জুন মাসে পানের লতা রােপন করা হয়। মাঝখানে দুই ফুট দুরত্ব রেখে চারাগুলি সমান্তরার লাইনে রােপন করা হয় এবং পরে বাঁশের শলা বা খুঁটি পুঁতে তার সাথে পানের লতাগুলি জড়িয়ে দেওয়া হয়। রােদ এবং গরু ছাগলের হাত থেকে বরজ রক্ষা করার জন্য উপরে এবং চারদিকে বাঁশের শলা দিয়ে বেড়া দেয়া হয়। নিয়মিত পানি সেচ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য যত্ন নেয়ার মাধ্যমে বছর পর পান পাতাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়।

( মমিনুল ইসলাম মোল্লা,নিউজ আর্কাইভস থেকে 30/07/09 সাপ্তাহিক আমোদ, কুমিল্লা।)

 


গ্রামীণ উন্নয়নে দেবিদ্ধারের এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘ

গ্রামীণ উন্নয়নে দেবিদ্ধারের এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘ


গ্রামীণ উন্নয়নে দেবিদ্ধারের এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘ

FILE PHOTO 
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ  একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। হযরত শাহজালালের (রাঃ)   সফরসঙ্গীগণ এখানে এসে পূণ্যভূমির নাম রেখেছিলেনআল্লাহবাদ“। আল্লাহবাদই বর্তমানে  এলাহাবাদ। এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘ এলাহাবাদের  সব ধরনের জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। জুলাই এবং ২০০০ ইং থেকে সংঘঠনটি পথ চলা শুরু করে
| বর্তমানে সংগঠনের সভাপতি খোরশেদ আলম মাষ্টার এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম।  সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘ ৪৮ বছর পূর্বে এলাহাবাদ “বয়েজ ক্লাবনামে একটি সংগঠনের জন্ম দিয়েছিলেন।  ১৯৫৪ সালের ক্লাবটি ছিল পাঠাগার ভিত্তিক। এবার না পাঠাগারের সাথে সংযুক্ত করেছেন গ্রামীণ উন্নয়ন দারিদ্র বিমোচন
তবে এলাহাবাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্য ইতিহাস অনেক পুরনো। বৃটিশ আমলে ভূইয়া জমিদারদের খাজনার অত্যাচার থেকে প্রজাদের রক্ষা করার জন্যএলাহাবাদ প্রজা কল্যাণ সমিতিগঠন করা হয়েছিল। এজন্য খাজনা বন্ধের আন্দোলন করার জন্য জেল খেটেছেন সমিতির  সভাপতি আনিস খান। তৎকালীন সময়ে ছাদির বক্স  ভূইয়া, আসাদ উল্লাহ সহ কয়েকজনধর্মগোলাগঠন করে অভাবের সময় দরিদ্রদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করতেন
জনাব আবুল হাশেম পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরী করতেন। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। সংগঠন করার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবসর নেয়ার আগে ছুটিতে বাড়ী এলে একটি দোকানেই আড্ডা দেই ,পত্রিকা পড়ি এবং আলোচনা হয় গ্রামের বিভিন্ন বিষয়ে। একদিন বাল্যকালেরএবিসি' মতো বর্তমান বৃদ্ধকালের উপযোগী একটি সমিতি গঠনের প্রস্তুাব দিলাম সেই থেকে শুরু
- জনকল্যাণ সংঘ প্রতিষ্ঠার আহ্বানে এগিয়ে আসেন সর্বজনাব খুরিশদ আলম ভূইয়া, জামাল হোসেন ভূইয়া, আলমগীর কবির ভূইয়া মোস্তাকুর রহমান ফুল মিয়া সহ আরো অনেকে। দুর্গম পথ পেরিয়ে সংস্থাটি জুলাই পালন করেছে ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বর্তমানে সংঘের সদস্য সংখ্যা ৬৩ জন
এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘ শিক্ষা, সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার, দারিদ্র বিমোচন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া বিনামূল্যে চক্ষু শিবির স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয় এছাড়া এলাহাবাদ বাজারের রাস্তা মেরামতের জন্য ১৩০০০ টাকা খরচ করা হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের ৪০০০ টাকা দেয়া হয়েছে। এবং ৫০ জন কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে কন্যার বিয়ের সময় সাহায্য করা হয়েছে। শুধুমাত্র সংঘের সদস্যদের চাঁদা সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে সংঘের ব্যায় নির্বাহ হচ্ছে
| সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই সংগঠনটির আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং জনকল্যাণের ফান্ড গঠনের জন্য নার্সারী মৎস্য পশু পালনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলোর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওসমান আলী, আঃ মান্নান আঃ করিম।এ থেকে অর্জিত অর্থ জনকল্যাণে  ব্যয় করা হয়। এছাড়া মাসিক কিস্তি ভিত্তিক সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে
“এজকসের “ উদ্যোগে একটি গণ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ৫০০ বই এবং দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন সামায়িকী রয়েছে। সংগঠনের সমস্যা ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনার কথা  জানতে চাইলে এলাহাবাদ জনকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল হাশেম জানান- সকল শ্রেণীর জনসাধারনের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। তবে সমস্যা একটাই, আর সেটি হচ্ছে টাকার সমস্যা। বর্তমানে বার্ষিক ১০,০০০ টাকার জমি ভাড়া দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম চলছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও দারিদ্র বিমোচনে অধিক অর্থ খরচ করা যায় না। তবে অর্থের সংস্থান হলে আরো বড় ধরনের দারিদ্র বিমোচন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে
|“এজকাসেরসভাপতি মোঃ খুরশেদ আলম - ভূইয়া বলেন আমাদের সংগঠনের মূল মন্ত্র হচ্ছে সকল ফুলকে ফুটতে দাও সকল ফুলের সুরভী বিলাতে দাও।  ধুতরা ফুলের বিষাক্ত ছোঁয়া যেন ফুল অনুরাগীর ক্ষতি না করে। আজ থেকে প্রায় ১৩শ বছর আগে হযরত শাহাজালালের (রাঃ) ইসলাম প্রচারক সফর সঙ্গী মঞ্জু শাহ্ ,শাহ্ জামাল শাহ কামালের স্মৃতি ধন্য এই এলাহাবাদ (উট খাড়া) এক সময় ইসলামের আলো ছড়িয়েছে ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহম্মদের জন্মভূমি বর্তমান এলাহাবাদের জনকল্যাণ সংঘ শুধু মাত্র এই গ্রামই নয় বরং সমগ্র দেশের উন্নয়নে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা রাখবে জনকল্যাণ সংঘ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা, নিউজ আর্কাইভস থেকে সাপ্তাহিক আমোদ,22/07/2004