কাজ করার মাঝেই ভেঙে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রোডের ড্রেন
বিভাগ-মতামত
কাজ করার মাঝেই ভেঙে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রোডের বাঙ্গরা বাজারের প্রায় মাস খানেক আগে ড্রেনেজ কাঠামো মেরামত ও সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ড্রেন।

These must be avoided if you have diabetes
#Desk report , Viral news bd
Here Are the Fruits You Must Avoid If You Are Diabetic A person should not have to exclude fruit from their diet whether they are diabetic or not.A person should not have to exclude fruit from their diet whether they are diabetic or not. It’s important for people with diabetes to limit their intake of fruits that contain a high level of sugar .It is crucial for a person with diabetes to include fruits as part of a balanced diet. Consuming fruits and vegetables may lower the risk of causing heart disease and cancer. Fruits contain fibre, vitamins, and minerals. However, some fruits are loaded with sugar and therefore a diabetic must avoid them to ensure there’s no glucose spike in their body. Meanwhile, there is a difference between the type of sugar fruit contains and the type of sugar chocolate and baked goods carry. Read further to explore the fruits a diabetic should eat or avoid. A person should not have to exclude fruit from their diet whether they are diabetic or not. A 2017 study states that the consumption of some fruits daily may actually help prevent diabetes. However, it’s important for people with diabetes to limit their intake of the following fruits: The glycemic index (GI) indicates how much a certain food after consuming can raise a person’s glucose. Some fruits to ignore with medium to high GI
মুরাদনগরের কৃতি সন্তান ডাঃরফিকুল ইসলাম
প্রিয় বন্ধু সহ শ্রদ্ধেয় সবাইকে বর্তমান এই মহামারী পরিস্থিতিতে বলছি , যখনি নিউজ ফিড দেখি বা কোন আত্মীয়, স্বজন, বন্ধুদের বাসায় ফোন করছি-যখন খবরা খবর নিচ্ছি সবাই দয়াময় অল্লাহর রহমতে ভালো আছেন সুসংবাদের প্রত্যাশায়, তখনই জানতে পারছি যে অনেকেই অসুস্থ বা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছেন। শুনে মনটা ভরাক্রান্ত হয়ে যায়।
ডাঃরফিকুল ইসলাম) আমার একজন প্রিয় মানুষ । সর্বোপরি তিনি একজন সমাজ সেবী যিনি বছরে প্রায় দীর্ঘ বছর যাবত মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আরো বহুবিধ কল্যাণকর কাজ তিনি সমাজ উন্নয়নে করে চলেছেন । তিনি একজন সমাজসেবক এবং কল্যাণকামী মানুষ হিসেবে এলাকায় জনপ্রিয় ,সবার ভালোবাসার মানুষ সর্বজন শ্রদ্ধেয় । আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আংকেল কে উত্তম প্রতিদান দান করেন ও দীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন এবং মানব সেবায় নিবেদিত থেকে এভাবেই মানুষের ভালবাসা বুকে নিয়ে হেটে চলুক নিরন্তর। মানুষের জন্য ভালোবাসা বুকে নিয়ে নিরন্তর হেঁটে চলুন পৃথিবীর পথে; ভালো থাকুন ভালোবাসায়।আজ হবে গতকাল, গতকাল হবে মহাকাল,শুধু থেকে যাবে ভালোবাসা চিরকাল!!
অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী
Viral news bd ,online verson আজ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী । মোজাফ্ফর আহমেদ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থানার এলাহাবাদে ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্তদানকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি যা সংক্ষেপে ন্যাপ নামে পরিচিত। বর্তমানে এদলটির নেতৃত্ত দিচ্ছেন বর্ষিয়ান নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করার পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও ঢাকা কলেজে ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু শিক্ষকতা পেশা তাকে বেশি দিন আটকে রাখতে পারে নি। তিনি শোষিত, নিপিড়িত, নির্যাতি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়েে চলে আসেন জনগণের কাতারে।বাংলাদেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট আঃ গাফ্ফার চৌধুরি বলেন,১৯৫১-৫২ সালে আমি যখন ঢাকা কলেজের ইন্টরমেডিয়েটের ছাত্র তখন তিনি অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি তখন যুবক, এবং ক্লাশে অর্থনীতির মতো দুরূহ, বিষয়, এমন অন্তরঙ্গভাবে পড়াতেন যে কেমন করে ঘন্টা কেটে যেতো তা আমরা ছাত্ররা অনেক সময় বুঝতেও পারতাম না ।” অত্যাচারী ও প্রজানিপিড়ক শাসকের নিকট থেকে জনগনের অধিকার আদায় করতে গিয়ে বহুবার তিনি করাবরন করেছেন। সততাকে আকড়ে ধরে এখনও বেঁচে আছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন যোগাতে তার অবদান ছিল অনবদ্ধ। ১৯৩৭ সালে তার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি; যদিও সক্রিয়ভাবে (চাকুরি ছেড়ে দিয়ে) রাজনীতিতে আসেন ১৯৫৪ সালে। তখন তিনি দেবিদ্ধার আসন থেকে খান বাহাদুর কায়দে আযম মাওলানা মফিজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে তিনি পূনরায় জাতীয় সংসদের সদস্য পদ লাভ করেন। আশির দশকে তিনি একবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তালিকাভূক্ত এবং নিবন্ধনকৃত একটি রাজনৈতিক দল। । দলটির নির্বাচনী প্রতিক কুঁড়ের ঘর। অন্যদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ নামে) আরেকটি রাজনেতিক দল নিবন্ধন লাভ করেছে। দলটির মার্কা হচ্ছে গাভী। বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবের রহমান গনি। অভিবক্ত ন্যাপের জন্ম হয় ১৯৫৭ সালের ২৭ জুলাই। ঢাকার রুপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল আত্ম প্রকাশ করে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৯৬৬ সালে ৬ দফার মাধ্যমে প্রাদেশিক স্বায়ত্বস্বাশন দাবী করলেও ন্যাপ নেতৃবৃন্দ দাবী করে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বাংলার স্বায়ত্বশাসনের একটি প্রস্তাব উথ্বাপন করেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহুত রাওয়ালপিন্ডির গোলটেবিল বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ৬৬ সালের ৬ দফা এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথ্বানে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট , লেখক, ও গবেষক আঃ গাফ্ফার চৌধুরি লিখেছেন-(ন্যাপের ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকিতে) “১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের সাথে রাওয়ালপিন্ডির গোলটেবিল বৈঠকে আপোস প্রস্তাবে অসম্মত শেখ মুজিব ঢাকায় ফিরে এলে বিমান বন্দর থেকে কাকরাইল পর্যন্ত জনতার সংবর্ধনা ও মিছিলে খোলা ট্রাকে জনতার অভিভাবদনের জবাব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বঙ্গব›ধুর পেছনে খালা ট্রাকেই জনতার অভিভাদন গ্রহণরত এই নেতাকেও আমি দেবদারু বৃক্ষের মত শির উচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।”
১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি অভিভক্ত ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক ও ছিলেন। ২০১২ সালে ন্যাপের ৫৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যেসব দল নেতৃত্ব দান করেছিল তাদের মধ্যে ন্যাপ (মোজাফ্ফর) অন্যতম। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পারন করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। এ সরকারে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ স্থান পেলেও সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটিতে অন্যান্য দলের নেতাদের স্থান দেয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত এ কমিটির আহবায়ক ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, মাওলানা আঃ হামিদ খান ভাসানী, মনোরঞ্জন ধর ও কমরেড মনিসিং। তিনি বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন আদায়ের লক্ষে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে যোগদান করা করেন। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করেন। ৪ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করা হলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করে। ৫ ডিসেম্বর একই প্রস্তাব আনা হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ২য় বার ভেটো দেয়। এসময় “তাস ” মারফত এক বিবৃতিতে সোভিয়েট সরকার “পূর্ব বাংলার জনগণের আইন সঙ্গত অধিকার ও স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানের দাবী জানানো হয়। আমেরিকা যখন দেখল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে তখন পাকিস্তানের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ৯ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয়া হলে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রবেশ করলে সোভিয়েট ইউনিয়ন একটি অত্যাধুনিক নৌযান পাঠায়। এসংবাদ পেয়ে ৭ম নৌবহর পিছু হটে যায়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মুক্তিযুদ্ধকালীন সংবাদ জনগণের মধ্যে পৌছেঁ দেয়ার লক্ষে “নতুন বাংলা” নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের সম্পাদনায় মুজিবনগর থেকে পত্রিকাটি প্রকাশ পেত। ১৯ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয় । এতে মুক্তিযুদ্ধের খবর ছাড়াও সরকারের পরামর্শদাতা কমিটির কার্যক্রমের উপরগুরুত্ব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপের আলাদা গেরিলা বাহিনী ছিল। ন্যাপ, সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেবিদ্ধার উপজেলার নলআরায় (ফতেহাবাদ গ্রামে) এবং অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের গ্রামে (এলাহাবাদ) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ক্যাম্প থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে চলে যেত। ন্যাপের গেরিলাা বাহিনী পাক-বাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের অনেকেই সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। বিশেষ করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়াার যুদ্ধে বেশ কয়েকজন নিহত হন। প্রতি বছর ১১ নভেম্বর বিতিয়ারা দিবস পালন করা হয়। বেতিয়ার যুদ্ধে শহীদ হন নিজাম উদ্দিন আজাদ, বশির মাস্টার, সিরাজ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা। উল্লেখ্য, তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয় ছিল । কিন্তু দুই পাকিস্তানে সমান জনপ্রিয় ছিল ন্যাপ পার্টি। ন্যাপ সম্পর্কে কতগুলো শাশ্বত উক্তি হচ্ছেঃ ন্যাপের মূলমন্ত্র-ধর্ম-কর্ম গণতন্ত্রের নিশ্চয়তাসহ সমাজতন্ত্র, রাজনীতির ধারক ও বাহক হচ্ছেসংগঠন, সমাজতন্ত্র ছিলআছে, থাকবে। বাঙ্গালী তুমি ক্ষুদ্র নও, তুমি তুচ্ছ নয়। একবার জেগে উঠ,দেখবে তুমিও বিশ্ববিজয়ী হতে পারবে। কিছুকাল আগে এনটিবির সাথে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন- রাজনীতি কোন ব্যবসা নয় , পেশা ও নয়, রাজনীতি একটি ওয়াদা। এর মূল লক্ষ্য মানুষের সেবা করা। রাজনীতির মূল ভিত্তি হলো স্বীয় দেশের প্রতি মমত্ববোধ, দেশের কল্যাণ এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণে অবিরাম সংগ্রাম । ১৯৬৯ সালে আঈয়ুব খানের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয় তাতে তিনি ”ডাক” গঠনে নেতৃত্ব দেন। এসময় তাকে করাবরন করতে হয়। এছাড়া এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোন করতে গিয়ে তিনি কারারুদ্ধ হন। বর্তমানে তার স্ত্রী আমেনা আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য। এই মহান নেতা সম্পর্কে তিনি জীবিত থাকাকলীণ সময়ে বিশিষ্ট গবেষক কলামিস্ট আঃ গাফ্ফার চৌধুরি বলেছিলেন -নীতিহীন রাজনিিতর এই দেশে তিনি নীতি ও চরিত্রের প্রতীক হয়ে আরও দীর্ঘকায় বেঁচে থাকুন।
লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক , (দৃষ্টান্ত ডট কম), কুমিল্লা,

একাত্তরের রনাঙ্গণঃ২৩আগস্ট NEWSWEEK, AUGUST 23,1971 THE VERY BEST OF FRIENDS
1971.08.23, Country (India), Country (Russia), Newspaper
(Newsweek) When Soviet Foreign Minister Andrei Gromyko flew into New Delhi last
week, the local diplomatic corps hardly took notice. Some of the foreign envoys
had been assured by Indian officials that nothing very exciting would come from
the Gromyko visit, and many of them repaired to the northern hill stations to
escape the sweltering summer heat and rain. But only a day after his arrival
Russia's No. I diplomatic troubleshooter made it plain that he had come to
India's capital on urgent and momentous business. Seated at flag-bedecked table
in New Delhi's Foreign Ministry; Gromyko triumphantly set his signature to a
precedent-shattering, twenty-year treaty of peace, friendship and co-operation
between the Soviet Union and India.
স্বাস্থ্যসেবায়এলাহাবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন
viral news bd
এলাহাবাদজনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে চিকিৎসা বিষয়ক সেবা করা।
আমাদের সাধ্যমত মানুষকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা।আমাদের কার্য বিবরণী উল্লেখ করা হলো;-
১, করোনা(মহামারি) নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বাড়ানো।
করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছেন-কুমিল্লার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান শিক্ষকেরা
মমিনুল ইসলাম মোল্লা :
করোনায় শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিলেও সংগ্রাম করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমদাদুল হক মাইনাস। নগরীর একটি ননএমপিও কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন তিনি। কলেজ বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তা হয়ে যান তিনি। শীত-বসন্তে অনলাইনে মধু বিক্রি আর এ মৌসুমে আম বিক্রি করে বেশ সফল মাইনাস।গণিত থেকে স্নাতকোত্তর করে ১৪তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হন বিল্লাল হোসেন। প্রথমবার গণবিজ্ঞপ্তি হলেও প্রতিষ্ঠান পাননি বিল্লাল। এরপর আবার অপেক্ষা। মাঝে গণবিজ্ঞপ্তি বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার চাকরি নেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার এক জুনিয়র স্কুলে। এরপর বিয়েও করেন বিল্লাল। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পরপরই শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠান কয়েকমাস তার বেতন চালু রাখে। এক পর্যায়ে বেতন বন্ধ করে দেয় তার স্কুল। বর্তমানে তেমন প্রাইভেট-কোচিংয়ের সুযোগও নেই। এ নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছেন তিনি।
কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেটের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত আছেন ইকবাল হোসেন। লম্বা সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে হিজামা থেরাপির কাজ করছেন তিনি। ইকবাল জানান, ‘তাবলিগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাই ছাত্রদের অভিভাবকরা খুব পছন্দ করত। এ কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও প্রায় ৪মাস অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় বেতন পাঠিয়ে দেন। বন্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় বেঁকে বসেন তারা। হিজামি থেরাপির প্রশিক্ষণ জানা ছিল। তা দিয়ে কোনোমতে জীবন পার করছি।থ
করোনায় শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিলেও সংগ্রাম করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমদাদুল হক মাইনাস। নগরীর একটি ননএমপিও কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন তিনি। কলেজ বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তা হয়ে যান তিনি। শীত-বসন্তে অনলাইনে মধু বিক্রি আর এ মৌসুমে আম বিক্রি করে বেশ সফল মাইনাস। শিক্ষকতার চেয়ে তুলনামূলক ভালো উপার্জন হওয়ায় চলতি মাসে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন তিনি। সফল উদ্যোক্তা হয়ে বাকি জীবন কাটানোর ইচ্ছা রয়েছে তার।বিল্লাল হোসেন জানান, ‘চাকরিহারা হয়ে কুমিল্লায় একটা টিউশন শুরু করি। এখন সেটাও নেই। কিছুদিন পূর্বে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। রিটের কারণে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। জটিলতা কাটলেও কখন নিয়োগ হয়, তা নিয়ে ভাবনায় আছি।
মুরাদনগরে করোনা মোকাবেলায় ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কোভিড-১৯ করোনা মহামারীর
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তান্ডবে কুমিল্লার মুরাদনগরের পরিস্থিতি যখন অবনতির দিকে
ঠিক তখনি তা মোকাবেলায়
দ্রæত সময়ের মধ্যে
বেশ কিছু ব্যতিক্রমী ও
জনবান্ধব উদ্যোগ গ্রহন করে
প্রশংসায় ভাসছে কুমিল্লা-৩
আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ
আবদুল্লাহ হারুন (এফসিএ)।
উপজেলার
সর্বস্তরের জনগনের সেবায় যেসব
উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
তার মধ্যে অন্যতম করোনায়
আক্রান্তদের পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী,
তাদের চিকিৎসায় অক্সিজেন, ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস,
ঔষধ প্রদান এবং করোনায়
মৃতদের দাফন করা।
আর এসব সেবা প্রদানে
খোলা হয়েছে উপজেলা সদরের
আল্লাহু চত্বরের পাশে কন্ট্রোল রুম। সেখানে
রয়েছে দু’টি হট
লাইন নাম্বার: ০১৭৫২১৯০৬৫২, ০১৭৪৩০২৭৫৬৯ ফোন করলেই বাড়ীতে
পৌছে যায় চাহিদা মত
সেবা। এর
বাইরে লকডাউন চলাকালিন সময়
উপজেলার সকল এতিমখানা ও
মাদ্রাসা সহ নি¤œ আয়ের
মানুষের মাঝে দেয়া হয়েছে
খাদ্য সামগ্রী।
জানা
যায়, মুরাদনগরে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের
সংক্রমন শুরুর পর এমপি
ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিজস্ব অর্থায়নে ১.৩৬-২৪টি, ৭.৫-১৫টি, ৯.৮-৬টিসহ মোট
৪৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেন।
নতুন করে চালু করেন
২০ বেডের একটি করোনা
ইউনিট। করোনায়
আক্রান্ত ও অসহায়দেয় দ্রæত সেবা দেয়ার
লক্ষে মুরাদনগর উপজেলা ও বাঙ্গরা
বাজার থানা যুবলীগ, কৃষকলীগ
ও ছাত্রলীগের কিছু সদস্যদের নিয়ে
৩টি টিম গঠন করে
আলাদা আলাদা কার্যক্রম শুরু
করেন। যার
মধ্যে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম
আহŸায়ক মোঃ রুহুল
আমিন ও বাঙ্গরা বাজার
থানা যুবলীগের বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের মাধ্যমে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন
করা, জরুরী প্রয়োজনে বাড়িতে
গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা এবং
রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য দু’টি ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স
সার্ভিস পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে বিনা খরচে
সাধারন মানুষের করোনা টিকার নিবন্ধনের
কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে
কৃষকলীগের আহŸায়ক আবু
মুসা আল কবির ও
যুগ্ম আহŸায়ক মো:
হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম মুরাদনগর
ও বাঙ্গরায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের
শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেয়াসহ বাড়ীতে
বাড়ীতে গিয়ে বিনামূল্যে খাদ্য
সামগ্রী, ঔষধ ও ফলমূল
পৌছে দিচ্ছেন। এ
ছাড়াও ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম
তুহিন ও আবুল কাশেমের
নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
করোনা পরীক্ষার ইউনিটে ফরমপূরণ ও
স্বাস্থ্য বিধি মানতে সহযোগীতা
করছেন। পাশাপাশি
টিকা কেন্দ্রে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য
বিধি বজায় রাখা সহ
তাদের সুশৃংখলভাবে টিকা গ্রহনে নিরলস
পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
করোনা
পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে সাংসদ
ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন প্রতিদিন নিজে
ফোন করে সকল নেতাকর্মীসহ
কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে
নিবিড় পর্যবেক্ষন করছেন। প্রতিদিন
আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী
সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাধ্যমে
সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিতরণ করা হচ্ছে
মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
এর
আগেও ২০২১সালে প্রথম করোনা সংক্রমন
শুরুর পরে করোনা প্রতিরোধে
সরকার ঘোষিত লকডাউনে অনেক
মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে।
তখন মুরাদনগরের সংসদ সদস্য তার
ব্যাক্তিগত অর্থায়নে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায়দের
মাঝে প্রায় ২কোটি টাকার
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এমপি
ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। করোনা
রোগীদের অক্সিজেন সংকটের কথা বিবেচনা
করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
দশ বেডের একটি সেন্ট্রাল
অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেন। করোনা
রোগীদের হাসপাতালে যাতায়াতের সুবিধার্থে দুইটি ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স
চালু করেন। প্রথম
ধাপের করোনা পরবর্তী সময়ে
উপজেলার মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলোয়
যখন খাদ্য সংকট দেখা
দেয় তখন এমপির নিজস্ব
তহবিল থেকে কৃষকলীগের আহŸায়ক আবু মুসা
আল কবির ও যুগ্ম
আহŸায়ক মো: হাসানের
মাধ্যমে শতাধিক মাদ্রাসা ও
এতিমখানায় দুইধাপে প্রায় ৯০লক্ষ টাকার
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
করোনা মহামারীর মধ্যে সংসদ সদস্যের
ব্যক্তিগত অর্থায়নে এমন উদ্যোগের প্রশংসা
করছেন উপজেলার সুশীল সমাজ ও
সুবিধাভোগীরা। এব্যাপারে
সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন
(এফসিএ) বলেন করোনা মহামারী
থেকে শুরু করে সকল
দুর্যোগে উপজেলার জনসাধারনের সেবায় আমাদের এই
টিম গুলো কাজ করে
যাচ্ছে। আগামী
দিনগুলোতেও উপজেলাবাসীর সকল প্রকার সেবা
নিশ্চিত করতে আমার সকল
প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ভারত ভ্রমণে শর্ত শিথিল করলো স্বারষ্ট্র মন্ত্রালয়
সোহাগ
হোসেন//বেনাপোল যশোর
বেনাপোল
প্রতিনিধিঃযশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে
শর্ত শিথিল করেছে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়। এখন
থেকে করোনা টিকার ডাবল
ডোজ গ্রহণকারী পাসপোর্টধারীদের ভারত থেকে ফেরার
পর আর ১৪ দিন
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। এছাড়া
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগবে না স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র।তবে
ভারত থেকে ফেরার পর
১৪ দিন থাকতে হবে
হোম কোয়ারেন্টাইনে। হোম
কোয়ারেন্টাইন সুবিধা নিতে যাত্রীদের
সাথে রাখতে হবে টিকার
দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সনদ
এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে
আরটিপিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার
নেগেটিভ সনদ। তবে
দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া
যাত্রীদের থাকতে হবে হোটেল
কোয়ারেন্টাইনে।সরকারের
এমন সিদ্ধান্তে বেশ খুশি যাত্রীরা। এর
আগে যাত্রীদের ব্যক্তিগত খরচে আবাসিক হোটেলে
বাধ্যতামূলক ১৪ দিন থাকতে
হচ্ছিল প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। এতে
অসহায় হয়ে পড়ছিলো যাত্রীরা।
জানা যায়, চিকিৎসা, ব্যবসা
ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রতিবেশি দেশ ভারতে যায়
প্রায় ৭ থেকে ৮
হাজার যাত্রী। ভারত
থেকেও ভ্রমণ, শিক্ষা ও
চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসে ৫ শতাধিক
ভারতীয় নাগরিক। চলমান
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত
২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার
ভারত ভ্রমণে বিধি-নিষেধ
জারি করে। এতে
বন্ধ হয় ভারত যাত্রা। তবে
শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সচল
রাখা হয় মেডিকেল ভিসা। ভারত
ফেরত যাত্রীদের দেশে ফেরা মাত্র
ব্যক্তিগত খরচে ১৪ দিনের
বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু করে।
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি
অবনতি হলে ভারত ফেরত
যাত্রীদের গত ২৬ এপ্রিল
থেকে বেনাপোলে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শুরু
হয়েছিল ব্যক্তিগত খরচে বাধ্যতামূলক ১৪
দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন।
ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী
মাহাফুজুর রহমান জানান, ভারতে
যাওয়ার আগে তিনি টিকার
ডাবল ডোজ গ্রহণ করেছিলেন। এখন
ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন সুযোগ
পেয়েছেন। ভারতগামী
যাত্রী আলামিন জানান, ভারতে
যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছিলেন কিন্তু তা লাগেনি। ছাড়পত্র
ম্যানেজ করতে তাদের অনেক
ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এ নিয়মে এখন তারা
অনেকটা স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবেন।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ
কমিটির সভাপতি ও উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা
জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেয়ে
রোববার থেকে কার্যকর করেছেন। ভারত
ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কোন ছাড়পত্র লাগবে
না। শুধু
ভিসা আর করোনা নেগেটিভ
সনদ থাকলে তারা যেতে
পারবেন। ভারত
থেকে ফিরে যাদের করোনা
টিকার ডবোল ডোজ নেওয়া
আছে তারা বাড়িতে ১৪
দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তবে
ফেরার আগে ভারতে নিযুক্ত
বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি লাগবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব
জানান, রোববার ভারত থেকে
ফিরেছেন মেডিকেল ভিসার ৯০ জন
যাত্রী। এদের
মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন পাঠানো
হয়েছে ১১ জনকে এবং
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৭৯
জনকে। ট্যুরিস্ট
ভিসায় যাতায়াত আপাতত বন্ধ রয়েছে।
কুমিল্লার হোমনায় মাদকসেবী যুবকের কারাদন্ড
কুমিল্লার হোমনায় মাদকসেবী যুবকের কারাদন্ড
মো. আবুল বাশার সরকার ------------------------- কুমিল্লার হোমনায় মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় বিশেষ অভিযানে এই দণ্ড দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুমন দে এই দণ্ড দেন। দণ্ডিত যুবক জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত জায়েদ আলীর ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে আলমগীর হোসেন নামের এক যুবককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে
ঐতিহ্যঃ দেবিদ্ধারের এলাহবাদের সিরাজ চেয়ারম্যান
- ঐতিহ্যঃ দেবিদ্ধারের এলাহবাদের সিরাজ চেয়ারম্যান
- ## স্কুল জীবনের কথা। তখন তিনি ৮ম শ্রেণীতে পড়েন। জয়নাল আবেদীন স্যার বাংলা ক্লাশে জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখতে দিলেন। অনান্য ছাত্র- ছাত্রীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বাসনা প্রকাশ করলেও তিনি লিখেছিলেন জনগণের সেবা করবেন। তিনি শৈশবের কথা রেখেছেন, ২০ বছর ধরে দেবিদ্বারের এলাহাবাদ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি হলেন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান। জনগণের ভালবাসায় সিক্ত সহজ সরল মানুষটি আগামীতেও এলাহাবাদ ইউনিয়নের জনগণের সহযোগীতায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
- ইউনিয়ন পরিষদ অধ্যাদেশ ১৯৮৩অনুযায়ী চেয়ারম্যান ইউরনয়ন পরিষদের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু ।তিনি সকল কাজ তদারক করেন । চেয়ারম্যান তার অধীনস্ত মেম্বার,মহিল ম্বোর সচিব, দফাদার ও চৌকিদারের মাধ্যমে ১০টি আবশ্যকীয় এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক কাজ সম্পাদন করেন।
- বাংলাদেশে সরকারের প্রকাশনের ৯, ১১,৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদের আলোকে স্থানীয় সরকার হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত ও পরিচালিত । মোহাম্মদ জিরাজুল ইসলাম সরকার 1965 সালে দেবিদ্বারেরমোহাম্মদপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার নাম অঅব্দুল মালক সরকার। তিনি একজন ব্যাবসায়ী ছিলেন। | সিরাজ সরকার কৃষি ও ব্যবসার সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তবে জয়ের জন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি । সিলেকশনে মেম্বার হিসেবে বিজয় লাভ করেন। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তারপর আর পীছু ফিরে তাকাতে হয়নি। সর্বশেষ ২০০৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এখনও জনগণের ভালবাসা নিয়ে সম্মানের সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব
- পালন করে যাচ্ছেন। এলাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে তিনি এলাহাবাদ
মাজার-বামনীসাইর ,এলাহাবাদ- হারসার, শ্রীপুর মোহাম্মদপুর এবং মোহাম্মদপুর কলেজ থেকে খাল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। এছাড়া এলাহাবাদ ফুলতলী (৫ কিঃমিঃ) ফুলতলী খিরাইকাল (৬ কিমি) মোহাম্মদপুর গাদিসাইর (২ কিঃ মিঃ) এবং এলাহাবাদ গৌরসার (২ কিঃ মিঃ) রাস্তা সংস্কারে বিশেষ অবদান রাখেন। সিরাজ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে এলাহাবাদ ইউনিয়নে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। তার সহযোগীতায় চরবাকর নবীয়াবাদ, দেবিদ্বার-চান্দিনা, জায়রগঞ্জ-বরকামতা, জাফরগঞ্জ-সীমারকান্দা, এলাহাবাদ বাজার-উটখাড়া মাজার, লাহাবাদ হাই স্কুল থেকে নলপুস্করনী পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার কাজে সহযোগীতা করেন। এলাহাবাদ ইউনিয়নে এলাহাবাদ ও মোহাম্মদপুরে ২টি কলেজ এলাহাবাদ, মোহাম্মদপুর ও ফুলতলীতে ৩টি হাই স্কুল আছে। এছাড়া ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাদ্রাসাও রয়েছে এলাহাবাদও মোহাম্মদপুরে। এছাড়া কেজি স্কুলসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরউন্নয়নে
তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন।
এছাড়া এলাহাবাদ,শুভপুর,শ্রীপুর শাহী ঈদগাহ, এবং শাহী ঈদগাহ এবং সংস্কার ও উন্নয়নএবং এলাহাবাদ, শুভপুর, কুড়াখাল ও মোহাম্মদপুরের একাংশে তিনি বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করেন। সিরাজুল ইসলাম সরকার বলেন, যে কোন কাজে হাত হাত দিয়ে জণগণের সহযোগীতায় সফল হয়েছি আজীবন এলাহাবাদ ইউনিয়নের জনসাধারণের সেবা করতে চাই।
- (মমিনুল ইসলাম মোল্লা , নিউজ আরকাইভস থেকে সাপ্তাহিক আমোদ 26/11/2009)

মুক্তিযুদ্ধের কথা ঃএলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্পের স্মৃতি সংরক্ষণ করুন
মুক্তিযুদ্ধের কথা ঃএলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্পের স্মৃতি সংরক্ষণ করুন
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাসে কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদের নাম অবিস্মরনীয়। দেবিদ্বারের মুক্তিযোদ্বাগণ মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের প্রত্যোক্ষ তত্তাবধানে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্যহণ করেন। এ এলাকার মুকিবতযোদ্ধাদের হেডকোয়ার্টার ছিল এলাহাবাদ। এখানে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের বাড়ি অবস্থিত। এলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে বাছাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনেচ্ছুক যুবকদের মনোনয়ন দেয়া হতো। তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। শারীরিক কসরতের পর তাদেরকে পূর্নাঙ্গ ট্রেনিং এর জন্য ভারতে পাঠানো হতো। এভাবে ট্রেনিং নিয়ে ন্যাপ, সিপিবি, ও ছাত্র ইউনিয়নের নিজস্ব ১৯০০০ মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করেছিল। বিশিষ্ট গবেষক মোতাহের হোসেন মাহবুব তার “যুদ্ধদিনের কথা” শীর্ষক বইয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের যে কোন জেলার চেয়ে কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা বেশি ছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের দুটি প্রধান কেন্দ্রের মধ্যে আগরতলা ছিল অন্যতম। দুনম্বর সেক্টরের যুদ্ধ ও গেরিলা তৎপরতায় কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অগ্রণী ভূমিকা।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সারা দেশেই প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও ট্রনজিট ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। উদাহরন স্বরুপ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় স্থাপিত বহু প্রশিক্ষণ শিবিরের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এমনই এশটি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল দেবিদ্বাওে নলআরা। ফতেহাবাদ গ্রামের নলআরা এশটি ঐতিহাসিকস্থান। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ শিবিরটি দেবিদ্ধারের এলাহাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়।
এলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে কারা কারা ভারতে চুড়ান্ত ট্রেনিং করতে গেল তাদেও কিছু খবরাখবর পাওয়া যেত “সাপ্তাহিক মুক্তিযুদ্ধ” ও সাপ্তাহিক “নতুন বাংলা ”পত্রিকায়। গেরিলাদের সাফল্যেও খবর এ পত্রিকার মাধ্যমে জনসাধারণ জানতে পারতো। মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে এগুলো এলাহাবাদে আসতো এবং এগুলো এখান থেকে অন্যান্য স্যাটেলাইট ক্যাম্পে পাঠানো হতো। বৃহত্তর কুমিল্লা ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি -ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছিলেন দেবিদ্ধার নিবাসী ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান। পরবর্তীতে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন জাকির হোসেন। সোনামুড়ায় ছিল ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনীর ক্যাম্প, এ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ন্যাপ নেতা ফয়েজ উল্লাহ।
এলাহাবাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম শুভপুরে মুক্তিযুদ্ধের এশটি স্যাটেলাইট ক্যাম্প ছিল। এলাহাবাদ ক্যাম্পের সাথে এ ক্যাম্পের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সেখানকার ক্যাম্পের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শবে বরাতের রাতে যখন আামরা মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন একদল নামাজী মসজিদ থেকে বেড়িয়ে আমাদের জন্য দু হাত তুলে দোয়া করে। সহানুভুতিশীল এ দৃশ্য আজও আমার মনে দোলা দেয়। বিএলএফ এর হাবিবুর রহমান ছিলেন দেবিদ্ধার থানা কমান্ডার। তিনি একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। স্বাধীনতাত্তোরকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী বাঙ্গালী যুদ্ধে তিনি মারা যান। এলাহাবাদের এ ক্যাম্পটি শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও ভারতে স্থায়ী প্রশিক্ষণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মনোনয়নের কাজেই ব্যবহৃত হতো না। এখানে দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে আসা গন্যমান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অববস্থান করেছেন। এব্যাপারে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট গোরাম ফারুক বলেন,গেরিলা বাহিনীর ট্রানজিট ক্যাম্প মার্চ ও এপ্রিল এ দু মাসে ঢাকার কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ প্রথমে এলাহাবাদ ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখান থেকে তারা আগড়তলায় চলে যান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হুমাযুন কবির মজুমদার বলেন-৭০ এর নির্বাচনের পর পর আমরা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডামি রাইফেল দিয়ে প্র্যাকটিস করি। ”গুনাইগর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ”মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন -৭১ সালে পুরো এলাহাবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় শিবিরে পরিনত হয়েছিল। আমরা তখন সাংবাদিক মমিন মোল্লার দাদা আক্কাস মোল্লার তুলাগাছের নীচের ১টি কুড়েঘড়ে থাকতাম। সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন অপারেশনে যেতাম। দেবিদ্বারে গেরিলা বাহিনীর অপারেশন ছিল বারেরায় পাকিস্তানী বাহিনীর উপর এমবুশ, -যাতে বেশ কয়েকজন পাক আর্মি মারা যায়।
সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত এলাহাবাদ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্দাদের মধ্যে মজিবুর রহমান, সামছুল হক, রশিদ সরকার, ময়নাল হোসেন ভূইয়া, নূরূল ইসলাম ,আজিজ ভূইয়া, আকামত আলী, আ: মান্নান, আব্দুল হক, ; সোবহান, আ: হান্নান, খায়রুল আলম ভূইয়া, তাজুল ইসলাম ভূইয়া, শামসুল হক, এড: আব্দুর রহমান, সফিকুর রহমান ভূইয়া, আ: জলিল এর বীরত্বের কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে।
এলাহাবাদ ক্যাম্পের ব্যাপারে হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন- রোজার ঈদের দিন আমি শুভপুর থেকে এলাহাবাদ ক্যাম্পে যাই। সন্ধার পর সেখান থেকে ফিরে আসি। হরিমোহন দাশ ও তার পরিবার আমাকে আশ্রয় দেয়। হরিমোহন দাশের স্ত্রী রনজিত পালের মা আমাকে অত্যন্ত ¯েœহ করতো। আমি তাকে মা বলে ডাকতাম। ” এলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ, খাওয়া দাওয়া, ভারতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সার্বিক সহযোহগীতা করেন এলাহাবাদের কাজী মাজহারুল ইসলাম, জাফর চেয়ারম্যান, ফুর মিয়া চেয়ারম্যান, আব্দুল মতিন মাস্টার, আব্দুল বারেক, প্রমুখ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গেরিলা যোদ্ধাদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। উইকিপিডিয়াতে এব্যাপারে বলা হয়েছে-আগস্টের পর পরই গেরিলা পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানী সামরিক ববাহিনী তাদের দোসরদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। পাকিস্তানী সামরিক ঘাটি থেকে শুরু কওে সামরিক স্থাপনা , যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে রাস্তা-ঘাট ব্রিজ, কালভার্ট, ইত্যাদি মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়। দেবিদ্ধারের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা দেবিদ্ধার সুজাত আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ক্রাপ্টেন সুজাত আলী ও ভরতীয় মিত্র বাহিনীর মেজর পান্ডের নেতৃত্বে ১৯৭১ সারের ৪ ডিসেম্বও দেবিদ্বার-চান্দিনা এরাকা মুক্ত হয। চান্দিনা হাই স্কুল মাঠে মিত্র বাহিনীর কাছে ১৪/১৫শ পাকিস্তানী আর্মি আত্মসমর্পন করে।১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ট্রানজিট ক্রাম্পটি চালু ছিল। ট্রানজিট ক্যাম্পের অস্ত্র গুদামের দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জুয়েল। পরে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সবাই অস্ত্র জমা দিলে ট্রানজিট ক্যাম্পটির পরিমসমাপ্তি ঘটে। কুমিল্লার দেবিদ্বারের নলআরাও এলাহাবাদ ট্রানজিট ক্যাম্পটির স্মৃতি রক্ষায় সরকারিভাবে উদ্্েযাগ নেয়া উচিত। লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ও সাংবাদিক, কুমিল্লা।