এলাহাবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এলাহাবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এলাহাবাদ পূর্ব বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১টি দোকান ভষ্মিভূত

এলাহাবাদ পূর্ব বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১টি দোকান ভষ্মিভূত

 কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী


এলাহাবাদ পূর্ব বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঔষধ, কোকারিজ, মনোহরী, বস্ত্র, লাইব্রেরী, ভেরাইটিজ, হার্ডওয়ার, বিকাশসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ১১টি দোকান ভষ্মীভূত হয়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন ভোক্তভূগিরা। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় এলাহাবাদ মধ্যবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। কি ভাবে এবং কোন দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত তার সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস ও ভোক্তভ‚গি ব্যবসায়িরা।

স্থানীয়রা জানায়, রাত পৌনে ২টায় এলাহাবাদ পূর্ব বাজারের মধ্যগলিতে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। বাজারের নৈশপ্রহরীদের সূর চিৎকারে এলাকাবাসী বাজার এবং বাড়ির মসজিদের মাইকে অগ্নিকান্ডের সংবাদ ছড়িয়ে দিলে তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরাসহ শত শত মানুষ এসে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হন। অপরদিকে ট্রিপল নাইনে ফোন করলে, বুড়িচং, ও মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট রাত ৩ টায় ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২ ঘন্টাব্যপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ততক্ষনে ১১ দোকানের সমস্ত মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ইনসাফ মেডিকেল হল ও বিকাশ সার্ভিস সেন্টারের মালিক কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। নগদ টাকা সহ প্রায় ৬০লক্ষাধিক টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়েগেছে। ব্যবসায়ে ব্যাক্তিগত পূঁজি ছাড়াও ব্যাংক লোনের প্রায় ২০লক্ষ টাকা বিনীয়োগ ছিল আমার। আগুনে আমাকে পথে বসিয়েছে।
ব্যবসায়ী প্রবাসী বাবুল মিয়া বলেন, গত সোমবার রাত ৮টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। রাত ২টার দিকে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার সংবাদ শুনে বাজরে এসে দেখি আগুন লেগেছে। আমার হার্ডওয়ার ও ফার্নিচারের দুটি দোকানের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব শেষ! আমার এখন পথে বসার উপক্রম।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নজরুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ব্রাক ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে হার্ডওয়্যারের দোকান দিয়েলিাম। দোকানের আয় দিয়ে পরিবারের খরচ চলতো। রাতে পাহারাদার কবিরের মোবাইল ফোনে আগুনের সংবাদ শুনে বাজারে এসে দেখি আমার দোকানের ১৫/১৬ লাখ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমার পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

এছাড়াও আরো যেসব দোকান ভষ্মিভ‚ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তমিজ উদ্দিনের সৈনিক বস্ত্রালয়, মোস্তফা কামালের সামিয়া ষ্টোর্স, ইসমাইল হোসেন’র মিম ভেরাইটিজ ষ্টোর্স, আজাদ কামাল’র বাবরি ফ্যাশন, মহসীন ভূইয়ার ভূইয়া কালেকশন’,শাহীন আলমের শাহীন ট্রেডার্স, এবং উন্নত জাতের একটি কবুতর’র দোকান।

মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব- অফিসার আব্দুর রব বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা মুরাদনগর ও বুড়িচং থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যেয়ে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছি। তবে কি কারনে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত এবং ভষ্মিভ‚ত ১১টি দোকানের ক্ষয়ক্ষতি পরিমান কত তা এমূহুর্তে বলতে পারবনা। তা তদন্ত কমিটি ঘটনপূর্বক ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই বলতে পারব।

শ্রীকাইল সরকারি কলেজের প্রভাষক অধ্যাপক সেলিম মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সকল দোকান মালিক ব্যক্তিগত পূঁজী ছাড়াও ব্যাংক লোনের উপর নির্ভর ছিল, বর্তমানে নিস্বঃ ব্যবসায়িদের উন্নয়নে এবং ঘুরে দাড়াতে বিনা সূদে বা স্বল্পসূদে লোন প্রদানে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এলাহাবাদ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কালু মূন্সী বলেন, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত কিভাবে বা কার দোকান থেকে ঘটেছে তা বলা যাচ্ছেনা। আমরা যখন টের পেয়েছি তখন সবকটি দোকানের লেলিহান

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান লিমন ভেরাইটিজ ষ্টোর্স’র মালিক বাবুল হোসেন বলেন, নগদ টাকাসহ তার প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল, চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের অপর একটি টিম আসতে চাইলে ওই টিলোকজন বলছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসাকিট থেকে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। নজরুল মিয়ার হার্ডওয়ার ও ব্যাটারী চার্জার দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলেও একাধিক ব্যাক্তি ধারনা করছেন।

অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ উপমহাদেশের বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা। ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন কুমিল্লাতেই। ভিক্টোরিয়া কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ইউনেস্কো থেকে ডিপ্লোমা করেন। কর্মজীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করে পরে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। তবে এর ব্যাপ্তিকাল খুব কম (১৯৫২-১৯৫৪)। ১৯৩৭ সালে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হলেও ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপনা ছেড়ে পূর্ণভাবে যোগ দেন রাজনীতির ময়দানে। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিজ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রীকে ধরাশায়ী করে রাজনীতির ময়দানে এক নতুন প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে ন্যাপের প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। এর কিছুদিন পরই পড়েন আইয়ুব সরকারের রোষানলে। জারি হয় হুলিয়া। আত্মগোপনে কাটে দীর্ঘ আট বছর। ১৯৬৬ সালে আবার প্রকাশ্য রাজনীতির ময়দানে।

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদের জীবনে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় সূচিত হয় ১৯৬৭ সালে; ন্যাপ যখন বিভক্ত হয়ে পড়ে চীনপন্থি ও মস্কোপন্থি শিবিরে। চীনপন্থি ন্যাপের সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আর মস্কোপন্থি শিবিরের খান আবদুল ওয়ালী খান। এই শিবিরের পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি হন অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ। তিনি অবিভক্ত পাকিস্তান ন্যাপের ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও। তখন থেকেই মস্কোপন্থি ন্যাপ মোজাফ্‌ফর ন্যাপ হিসেবে পরিচিত পায়। ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের কারণে করেন কারাবরণ। একাত্তর পর্বে তিনি আরও সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গঠিত সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের ছিলেন অন্যতম সদস্য। মুক্তিযুদ্ধকালে বামপন্থি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন গড়ে তোলায় তার অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীন বাংলাদেশে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭৯ সালে। ১৯৮১ সালে বামপন্থি ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তারপর স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আবার হন কারারুদ্ধ।

রাজনৈতিক জীবনের বাঁকে বাঁকে সময় তাকে নির্ণয় করেছে ইতিহাসের স্বতন্ত্র আখ্যানরূপে। 'কুঁড়েঘরের মোজাফ্‌ফর'- এই পরিচিতও তাকে দিয়েছিল তার রাজনৈতিক জীবন অধ্যায়েই। বিস্তৃত রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরতে পরতে তার দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক মননশীলতা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, নির্মোহ তাকে করে তোলে দৃষ্টান্তযোগ্য। সাংগঠনিকভাবে তার দলের রাজনৈতিক ব্যাপ্তি যা-ই থাকুক না কেন, তিনি অনন্য ছিলেন তার আদর্শের কারণে। সুবিধা তাকে বারবার হাতছানি দিয়েছে, কিন্তু প্রলুব্ধ হননি। ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ৯৮ বছরে তার প্রয়াণ ঘটে। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে যখন পুরোপুরি রাজনীতিতে যোগ দেন, তখন তিনি ৩২ বছর বয়সের তেজি-সাহসী এক অবিচল রাজনৈতিক যোদ্ধা। সফলতা-ব্যর্থতার চিহ্ন মানুষের জীবনে আছে, থাকবেও। অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদও এর ঊর্ধ্বে ছিলেন না। কিন্তু তিনি নমস্য এ কারণেই, জীবনের শেষ পর্যন্ত আদর্শচ্যুত হননি। আস্থা হারাননি বামপন্থায়। তার রাজনৈতিক জীবনের ট্র্যাজেডিও কম নয়। তিনি যাদের সঙ্গী করে রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই একে একে তাকে ছেড়ে চলে গেলেও তিনি শেষ পর্যন্ত ছিলেন কুঁড়েঘরেরই বাসিন্দা।

'ধর্মকর্ম সমাজতন্ত্র'- ৭৫-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে তার এ স্লোগান রাজনীতির ময়দানে সমালোচনার খোরাক জোগালেও তিনি যে আদর্শের কথা বলতেন, তা আজও বামধারা এবং প্রগতিশীল দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা নানা আঙ্গিকে ধরে রেখে রাজনীতি করছেন। রক্তস্নাত বাংলাদেশে তিনি প্রথম জাতীয় সরকার গঠনেরও দাবি উত্থাপন করেছিলেন। দেশের বহুধা বিভক্ত বাম রাজনীতির ক্ষয় ধরেছে অনেক আগেই। এর প্রেক্ষাপট কীভাবে তৈরি কিংবা এর কার্যকারণই বা কী- এসব নিয়ে নানা কথা থাকলেও অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ যে এ ভূখণ্ডের রাজনীতিতে পঞ্চাশের দশক থেকে অবিচ্ছেদ্য অংশ- এ সত্য এড়ানোর কোনো পথ নেই। শিক্ষকতার পর রাজনীতিই ছিল তার উপাস্য। তার রাজনীতি দেশ-জাতির কল্যাণে কতটা এসেছে, এ বিচার করবে মহাকাল। তার 'সমাজতন্ত্র কী এবং কেন'; 'প্রকৃত গণতন্ত্র তথা সমাজতন্ত্র সম্পর্কে জানার কথা'; 'মাওবাদী সমাজতন্ত্র ও কিছু কথা' বাম রাজনীতির আদর্শ শিক্ষার অমূল্য গ্রন্থ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্বাধীনতা পদক প্রত্যাখ্যান করে প্রমাণ করে গেছেন- ভোগের নয়, ত্যাগের দীক্ষায় দীক্ষিত হয়েই রাজনীতির ময়দানে তিনি পা রেখেছিলেন। আজ যখন পদ-পদবি, পদক, ক্ষমতা ইত্যাদি রাজনীতির বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তখন মনে পড়ে অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদের স্বাধীনতা পদক গ্রহণে অসম্মতি শুধু একটি দৃষ্টান্তই নয়; 'নগদ যা পাও হাত পেতে নাও'-এর যুগে গভীর বিশ্নেষণেরও দাবি রাখে। তার রাজনৈতিক আদর্শ নবরূপে, নবধারায় আবার জাগবে, না আরও ক্ষীয়মাণ হবে, তা নির্ভর করছে আজকের বামপন্থি রাজনীতির ধারক-বাহকদের চিন্তা-চেতনা ও কর্মপন্থার ওপর। অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী



 Viral news bd ,online verson আজ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী । মোজাফ্ফর আহমেদ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থানার এলাহাবাদে ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেন।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্তদানকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি যা সংক্ষেপে ন্যাপ নামে পরিচিত। বর্তমানে এদলটির নেতৃত্ত দিচ্ছেন বর্ষিয়ান নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করার পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও ঢাকা কলেজে ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু শিক্ষকতা পেশা তাকে বেশি দিন আটকে রাখতে পারে নি। তিনি শোষিত, নিপিড়িত, নির্যাতি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়েে চলে আসেন জনগণের কাতারে।বাংলাদেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট আঃ গাফ্ফার চৌধুরি বলেন,১৯৫১-৫২ সালে আমি যখন ঢাকা কলেজের ইন্টরমেডিয়েটের ছাত্র তখন তিনি অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি তখন যুবক, এবং ক্লাশে অর্থনীতির মতো দুরূহ, বিষয়, এমন অন্তরঙ্গভাবে পড়াতেন যে কেমন করে ঘন্টা কেটে যেতো তা আমরা ছাত্ররা অনেক সময় বুঝতেও পারতাম না ।” অত্যাচারী ও প্রজানিপিড়ক শাসকের নিকট থেকে জনগনের অধিকার আদায় করতে গিয়ে বহুবার  তিনি করাবরন করেছেন। সততাকে আকড়ে ধরে এখনও বেঁচে আছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন যোগাতে  তার অবদান ছিল অনবদ্ধ। ১৯৩৭ সালে তার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি; যদিও সক্রিয়ভাবে (চাকুরি ছেড়ে দিয়ে) রাজনীতিতে আসেন ১৯৫৪ সালে। তখন তিনি দেবিদ্ধার আসন থেকে খান বাহাদুর কায়দে আযম মাওলানা মফিজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে তিনি পূনরায় জাতীয় সংসদের সদস্য পদ লাভ করেন। আশির দশকে তিনি একবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তালিকাভূক্ত এবং নিবন্ধনকৃত একটি রাজনৈতিক দল। । দলটির নির্বাচনী প্রতিক কুঁড়ের ঘর। অন্যদিকে বাংলাদেশ  ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ নামে) আরেকটি রাজনেতিক দল নিবন্ধন লাভ করেছে। দলটির মার্কা হচ্ছে গাভী। বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবের রহমান গনি। অভিবক্ত ন্যাপের জন্ম হয় ১৯৫৭ সালের ২৭ জুলাই। ঢাকার রুপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল আত্ম প্রকাশ করে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৯৬৬ সালে ৬ দফার মাধ্যমে প্রাদেশিক স্বায়ত্বস্বাশন দাবী করলেও ন্যাপ নেতৃবৃন্দ দাবী করে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বাংলার স্বায়ত্বশাসনের একটি প্রস্তাব উথ্বাপন করেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহুত রাওয়ালপিন্ডির গোলটেবিল বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ৬৬ সালের ৬ দফা এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথ্বানে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট , লেখক, ও গবেষক আঃ গাফ্ফার চৌধুরি লিখেছেন-(ন্যাপের ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকিতে) “১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের সাথে রাওয়ালপিন্ডির গোলটেবিল বৈঠকে আপোস প্রস্তাবে অসম্মত শেখ মুজিব ঢাকায় ফিরে এলে বিমান বন্দর থেকে কাকরাইল পর্যন্ত জনতার সংবর্ধনা ও মিছিলে খোলা ট্রাকে জনতার অভিভাবদনের জবাব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বঙ্গব›ধুর পেছনে খালা ট্রাকেই জনতার অভিভাদন গ্রহণরত এই নেতাকেও আমি দেবদারু বৃক্ষের মত শির উচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।”
১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি অভিভক্ত ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক ও  ছিলেন। ২০১২ সালে ন্যাপের ৫৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যেসব দল নেতৃত্ব দান করেছিল তাদের মধ্যে ন্যাপ  (মোজাফ্ফর) অন্যতম। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পারন করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। এ সরকারে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ স্থান পেলেও সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটিতে অন্যান্য দলের নেতাদের স্থান দেয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত এ কমিটির আহবায়ক ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, মাওলানা আঃ হামিদ খান ভাসানী, মনোরঞ্জন ধর ও কমরেড মনিসিং। তিনি বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন আদায়ের লক্ষে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে যোগদান করা করেন। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করেন। ৪ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করা হলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করে। ৫ ডিসেম্বর একই প্রস্তাব আনা হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ২য় বার ভেটো দেয়। এসময় “তাস ” মারফত এক বিবৃতিতে সোভিয়েট সরকার “পূর্ব বাংলার জনগণের আইন সঙ্গত অধিকার ও স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানের দাবী জানানো হয়। আমেরিকা যখন দেখল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে তখন পাকিস্তানের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ৯ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয়া হলে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রবেশ করলে সোভিয়েট ইউনিয়ন একটি অত্যাধুনিক নৌযান পাঠায়। এসংবাদ পেয়ে ৭ম নৌবহর পিছু হটে যায়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল  আওয়ামী পার্টি মুক্তিযুদ্ধকালীন সংবাদ জনগণের মধ্যে পৌছেঁ দেয়ার লক্ষে “নতুন বাংলা” নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের সম্পাদনায় মুজিবনগর থেকে পত্রিকাটি প্রকাশ পেত। ১৯ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয় । এতে মুক্তিযুদ্ধের খবর ছাড়াও সরকারের পরামর্শদাতা কমিটির কার্যক্রমের উপরগুরুত্ব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপের আলাদা গেরিলা বাহিনী ছিল। ন্যাপ, সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেবিদ্ধার উপজেলার নলআরায় (ফতেহাবাদ গ্রামে) এবং অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের গ্রামে (এলাহাবাদ) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ক্যাম্প থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে চলে যেত। ন্যাপের গেরিলাা বাহিনী পাক-বাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের অনেকেই সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। বিশেষ করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়াার যুদ্ধে বেশ কয়েকজন নিহত হন। প্রতি বছর ১১ নভেম্বর বিতিয়ারা দিবস পালন করা হয়। বেতিয়ার যুদ্ধে শহীদ হন নিজাম উদ্দিন আজাদ, বশির মাস্টার, সিরাজ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা। উল্লেখ্য,  তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয় ছিল । কিন্তু দুই পাকিস্তানে সমান জনপ্রিয় ছিল ন্যাপ পার্টি। ন্যাপ সম্পর্কে কতগুলো শাশ্বত উক্তি হচ্ছেঃ ন্যাপের মূলমন্ত্র-ধর্ম-কর্ম গণতন্ত্রের নিশ্চয়তাসহ সমাজতন্ত্র, রাজনীতির ধারক ও বাহক হচ্ছেসংগঠন, সমাজতন্ত্র ছিলআছে, থাকবে। বাঙ্গালী তুমি ক্ষুদ্র নও, তুমি তুচ্ছ নয়। একবার জেগে উঠ,দেখবে তুমিও বিশ্ববিজয়ী হতে পারবে। কিছুকাল আগে এনটিবির সাথে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন- রাজনীতি কোন ব্যবসা নয় , পেশা ও নয়, রাজনীতি একটি ওয়াদা। এর মূল লক্ষ্য মানুষের সেবা করা। রাজনীতির মূল ভিত্তি হলো স্বীয় দেশের প্রতি মমত্ববোধ, দেশের কল্যাণ এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণে অবিরাম সংগ্রাম । ১৯৬৯ সালে আঈয়ুব খানের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয় তাতে তিনি ”ডাক” গঠনে নেতৃত্ব দেন। এসময় তাকে করাবরন করতে হয়। এছাড়া এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোন করতে গিয়ে তিনি কারারুদ্ধ হন। বর্তমানে তার স্ত্রী আমেনা আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত  মহিলা  আসনের সদস্য। এই মহান নেতা সম্পর্কে তিনি জীবিত থাকাকলীণ সময়ে  বিশিষ্ট গবেষক কলামিস্ট আঃ গাফ্ফার চৌধুরি বলেছিলেন -নীতিহীন রাজনিিতর এই দেশে তিনি নীতি ও চরিত্রের প্রতীক হয়ে আরও দীর্ঘকায় বেঁচে থাকুন।
লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক , (দৃষ্টান্ত ডট কম), কুমিল্লা,



স্বাস্থ্যসেবায়এলাহাবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন

স্বাস্থ্যসেবায়এলাহাবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন

 viral news bd 

এলাহাবাদজনকল্যাণ ফাউন্ডেশন  এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে চিকিৎসা বিষয়ক সেবা করা।


আমাদের সাধ্যমত মানুষকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা।আমাদের কার্য বিবরণী উল্লেখ করা হলো;-

১, করোনা(মহামারি) নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বাড়ানো।

২, এলাকার কোন লোক রোগাক্রান্ত হলে! ডাঃকামরুল হাসান (রুবেল) ভাইয়ের পরামর্শ ক্রমে, রোগী "করোনায়" আক্রান্ত কি না! বা তার কোনো "ডায়াবেটিকস" অথবা "শ্বাসকষ্ট" আছে কি!না! তা নিশ্চিত হওয়া এবং সে অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্তা গ্রহন করা।
২, এলাকার করোনা সাসপেক্টেড রোগীর অক্সিজেন লেভেল দেখে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং রোগীর অক্সিজেন এর প্রয়োজন হলে তা ব্যবস্তা করে সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখা।
৩, মাঝে মধ্যে আমাদের জনকল্যাণ স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন এর অফিসে মেডিক্যল ক্যম্প করা হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষের সাস্থ্য সেবা পেতে কষ্ট করে দেবিদ্ধার/চান্দিনা যেতে না হয়!
৪, মেডিকেল ক্যাম্প এ দেখা কোন রোগীর সমস্যা হলে প্রেসক্রিপশন এর ছবিসহ অনলাইনে ডাঃ কামরুল হাসান (রুবেল) ভাই এর সমাধান দিবেন।।
৫,, করোনার লক্ষণ নিয়ে কোনো লোক মারা গেলে তার দাফন,কাফন এর ব্যবস্তা গ্রহন করা।
সকলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন, আমীন
রাসেল আহমেদ, এলাহাবাদ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন
দেবীদ্বার মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

দেবীদ্বার মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন


 ২১আস্টের গ্রেনেট হামলায় নেত্রীকে হত্যার জঘন্য অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিল মানবঢাল। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজী রেখে দেশমাতৃকাকে শত্রæমুক্ত করেছিল দেশপ্রেমিক জনতা, তেমনি ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের আরো একটি ভয়াবহ কলঙ্কময় দিনে শক্তিশালী গ্রেনেটের আঘাতে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বিরোধীদলের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করার জঘন্য অপচেষ্টার রুখেদিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) শোয়েব, ব্যক্তিগত স্টাফ নজীব আহমেদসহ দেহরক্ষীরা মানব ঢাল তৈরী করে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন।


শনিবার সকাল ১১টায় মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদের পিতা সাবেক উপজেলা পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেরাজুল হক পেস্কার’র ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা, দোয়া-মাহফিলে আলোচকরা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।

মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মোবারক হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আমিরুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মোঃ এজাজ মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, আ’লীগ দেবীদ্বার উপজেলা কমিটির সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান বাবুল ভ‚ঁইয়া।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশনেন, বীর মূক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী আকবর, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আবুল হাসেম ভ‚ঁইয়া, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সুলতান আহমেদ, অধ্যাপক বশিরুল আলম প্রমূখ।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন, মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আ’লীগ নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদ ও তার প্রয়াত পিতা সাবেক উপজেলা পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেরাজুল হক পেস্কার’র কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল, তাবারুক বিতরণের আয়োজন করা হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছেন-কুমিল্লার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান শিক্ষকেরা

করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছেন-কুমিল্লার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান শিক্ষকেরা

 



মমিনুল ইসলাম মোল্লা :


করোনায় শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিলেও সংগ্রাম করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমদাদুল হক মাইনাস। নগরীর একটি ননএমপিও কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন তিনি। কলেজ বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তা হয়ে যান তিনি। শীত-বসন্তে অনলাইনে মধু বিক্রি আর এ মৌসুমে আম বিক্রি করে বেশ সফল মাইনাস।গণিত থেকে স্নাতকোত্তর করে ১৪তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হন বিল্লাল হোসেন। প্রথমবার গণবিজ্ঞপ্তি হলেও প্রতিষ্ঠান পাননি বিল্লাল। এরপর আবার অপেক্ষা। মাঝে গণবিজ্ঞপ্তি বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার চাকরি নেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার এক জুনিয়র স্কুলে। এরপর বিয়েও করেন বিল্লাল। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পরপরই শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠান কয়েকমাস তার বেতন চালু রাখে। এক পর্যায়ে বেতন বন্ধ করে দেয় তার স্কুল। বর্তমানে তেমন প্রাইভেট-কোচিংয়ের সুযোগও নেই। এ নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছেন তিনি।

কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেটের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত আছেন ইকবাল হোসেন। লম্বা সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে হিজামা থেরাপির কাজ করছেন তিনি। ইকবাল জানান, ‘তাবলিগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাই ছাত্রদের অভিভাবকরা খুব পছন্দ করত। এ কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও প্রায় ৪মাস অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় বেতন পাঠিয়ে দেন। বন্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় বেঁকে বসেন তারা। হিজামি থেরাপির প্রশিক্ষণ জানা ছিল। তা দিয়ে কোনোমতে জীবন পার করছি।থ
করোনায় শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিলেও সংগ্রাম করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমদাদুল হক মাইনাস। নগরীর একটি ননএমপিও কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন তিনি। কলেজ বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তা হয়ে যান তিনি। শীত-বসন্তে অনলাইনে মধু বিক্রি আর এ মৌসুমে আম বিক্রি করে বেশ সফল মাইনাস। শিক্ষকতার চেয়ে তুলনামূলক ভালো উপার্জন হওয়ায় চলতি মাসে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন তিনি। সফল উদ্যোক্তা হয়ে বাকি জীবন কাটানোর ইচ্ছা রয়েছে তার।বিল্লাল হোসেন জানান, ‘চাকরিহারা হয়ে কুমিল্লায় একটা টিউশন শুরু করি। এখন সেটাও নেই। কিছুদিন পূর্বে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। রিটের কারণে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। জটিলতা কাটলেও কখন নিয়োগ হয়, তা নিয়ে ভাবনায় আছি।
 মুরাদনগরে করোনা মোকাবেলায় ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

মুরাদনগরে করোনা মোকাবেলায় ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ



 মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কোভিড-১৯ করোনা মহামারীর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তান্ডবে কুমিল্লার মুরাদনগরের পরিস্থিতি যখন অবনতির দিকে ঠিক তখনি তা মোকাবেলায় দ্রæত সময়ের মধ্যে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী ও জনবান্ধব উদ্যোগ গ্রহন করে প্রশংসায় ভাসছে কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (এফসিএ)।

উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের সেবায় যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম করোনায় আক্রান্তদের পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী, তাদের চিকিৎসায় অক্সিজেন, ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ঔষধ প্রদান এবং করোনায় মৃতদের দাফন করা। আর এসব সেবা প্রদানে খোলা হয়েছে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরের পাশে কন্ট্রোল রুম। সেখানে রয়েছে দু’টি হট লাইন নাম্বার: ০১৭৫২১৯০৬৫২, ০১৭৪৩০২৭৫৬৯ ফোন করলেই বাড়ীতে পৌছে যায় চাহিদা মত সেবা। এর বাইরে লকডাউন চলাকালিন সময় উপজেলার সকল এতিমখানা ও মাদ্রাসা সহ নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে দেয়া হয়েছে খাদ্য সামগ্রী।

জানা যায়, মুরাদনগরে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন শুরুর পর এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজস্ব অর্থায়নে ১.৩৬-২৪টি, ৭.৫-১৫টি, ৯.৮-৬টিসহ মোট ৪৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেন। নতুন করে চালু করেন ২০ বেডের একটি করোনা ইউনিট। করোনায় আক্রান্ত ও অসহায়দেয় দ্রæত সেবা দেয়ার লক্ষে মুরাদনগর উপজেলা ও বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু সদস্যদের নিয়ে ৩টি টিম গঠন করে আলাদা আলাদা কার্যক্রম শুরু করেন। যার মধ্যে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ রুহুল আমিন ও বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগের বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন করা, জরুরী প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা এবং রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য দু’টি ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে বিনা খরচে সাধারন মানুষের করোনা টিকার নিবন্ধনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে কৃষকলীগের আহŸায়ক আবু মুসা আল কবির ও যুগ্ম আহŸায়ক মো: হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম মুরাদনগর ও বাঙ্গরায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেয়াসহ বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ও ফলমূল পৌছে দিচ্ছেন। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিন ও আবুল কাশেমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা পরীক্ষার ইউনিটে ফরমপূরণ ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে সহযোগীতা করছেন। পাশাপাশি টিকা কেন্দ্রে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখা সহ তাদের সুশৃংখলভাবে টিকা গ্রহনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে সাংসদ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন প্রতিদিন নিজে ফোন করে সকল নেতাকর্মীসহ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নিবিড় পর্যবেক্ষন করছেন। প্রতিদিন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার।

এর আগেও ২০২১সালে প্রথম করোনা সংক্রমন শুরুর পরে করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। তখন মুরাদনগরের সংসদ সদস্য তার ব্যাক্তিগত অর্থায়নে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে প্রায় ২কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। করোনা রোগীদের অক্সিজেন সংকটের কথা বিবেচনা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দশ বেডের একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেন। করোনা রোগীদের হাসপাতালে যাতায়াতের সুবিধার্থে দুইটি ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স চালু করেন। প্রথম ধাপের করোনা পরবর্তী সময়ে উপজেলার মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলোয় যখন খাদ্য সংকট দেখা দেয় তখন এমপির নিজস্ব তহবিল থেকে কৃষকলীগের আহŸায়ক আবু মুসা আল কবির ও যুগ্ম আহŸায়ক মো: হাসানের মাধ্যমে শতাধিক মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুইধাপে প্রায় ৯০লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। করোনা মহামারীর মধ্যে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত অর্থায়নে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন উপজেলার সুশীল সমাজ ও সুবিধাভোগীরা। এব্যাপারে সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (এফসিএ) বলেন করোনা মহামারী থেকে শুরু করে সকল দুর্যোগে উপজেলার জনসাধারনের সেবায় আমাদের এই টিম গুলো কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও উপজেলাবাসীর সকল প্রকার সেবা নিশ্চিত করতে আমার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 

 

দেবিদ্বারের এলাহাবাদের  অবনী ডাক্তার স্মৃতিতে অম্লান

দেবিদ্বারের এলাহাবাদের অবনী ডাক্তার স্মৃতিতে অম্লান

দেবিদ্বারের এলাহাবাদের মুক্তিযোদ্ধা অবনী ডাক্তার স্মৃতিতে অম্লান

 

 

দেবিদ্বারের এলাহাবাদ বাজারের  মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার অবনি মোহন চক্রবর্তী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করেছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। । ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের লক্ষে ভারতের ত্রিপুরা যান। সেখানকার বিশালঘর থানার মুরাবাড়ি ক্যাম্পে গিয়ে ন্যাপ (মোজাফ্‌ফর) পার্টির নেতাদের সাথে দেখা করেন। সেখানে তিনি মতিয়া চৌধুরি ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সঙ্গে তার দেখা হয়।অত:পর ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদেও নির্দেশে তিনি দেশে চলে আসেন। নিজ এরাকাঢয় এসে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদেও চিকিৎসা দেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেলেও পরবর্তীতে আকস্মিকভাবে তার ভাতাবন্ধ কওে দেয়া হয়।তার দুই ছেলে নিতাই চক্রবর্তী ও সত্যরঞ্জন চক্রবর্তী এলাহাবাদ ও কাচিসাইর গ্রামে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।তারাও পিতার মতো সুনামের সাথে জনসাধারণের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। এলাহাবাদ গ্রামের আ: গনি বলেন- তিনি রোগীদের অহেতুক হয়রানী করতেন না। রোগীদেও মানসিক সাহস যোগাতেন। অতিরিক্ত টেস্ট দিতেননা।” শুভপুর গ্রামের হোস্নেয়ারা বেগম বলেন -আমি বহুবার অবনীবাবুর কাছে গিয়েছি। দেহের ক্ষতি হয় (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে) এমন কোন ঔষধ তিনি লিখতেন না। অত্যন্ত মনযোগ সহকারে রোগী দেখতেন। রিপ্রেজেন্টিটিভদের কথায় প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত ঔষধ দিতেন না। রোগীর সাথে ভাল ব্যবহার করতেন।

মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার অবনীমোহন চক্রবর্তী আর নেই। তিনি ৭ নভেম্বর ১০৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করেছেন।তাঁর বাড়ি ছিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদের  শুভপুর গ্রামে।  আগের মতো হেঁটে হেঁটে যেতে না পাড়ায় শেষ বয়সে রিক্সাযোগে রোগীদের বাড়িতে গেয়ে চিকিৎসা করেছেন। রোগীদের হাসিমাখা মুখ দেখে তিনি পুলকিত হতেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। সেসময় দেবিদ্বারের শুভপুরে অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের মতই দিন কাটতে থাকে বালক অবনীর।  ১৯৪৫ সালে তিনি মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। তৎকালীন সময়ে মেট্রিক পাশ করেই অনেকে চাকুরি জীবন শুরু করতেন। বাবা অশ্বীনী কুমার চক্রবর্তী তাকে চাকুরি নেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে লাগলেন। কিন’ অবনী মোহনের তাতে মন সায় দেয়নি। তিনি দেখলেন চিকিৎসার অভাবে বহু কষ্ট পেয়ে বহু লোক মারা যাচ্ছে। গ্রামের রাস্তা-ঘাট ভাল না হওয়ায় শহরের ডাক্তারগন গ্রামে আসেন না। রাস্তার অভাবে জটিল রোগীদেও দূরে নিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন না। এসব কথা চিন্তিা করে  তিনি গ্রাম ছেড়ে কুমিল্লা শহরে চলে যান। তখন কুমিল্লায় পল্লী চিকিৎসার উপর একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন ডা: প্রমোদ পাল। তখন কুমিল্লা গিয়ে লেখা পড়া করা খুব কষ্টকর ছিল। তারপরও তিনি লেখা-পড়া চালিয়ে যান। দৃঢ় মনেবলের কারণে অবশেষে তিনি সাফল্য লাভ করেন।

 তিনি ইচ্ছে করলে কুমিল্লা শহরে চেম্বার দিতে পারতেন। কেউ কেউ তা করার পরমর্শও দিলেন। কিন’ কারও পরামর্শ তিনি কানে তুল্লেন না। তিনি সোজা চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। পাশ কও গে্রামে আসার পর অনেক লোক তাকে দেখতে এসেছিলেন। তৎকালীন সময়ে এলাহাবাদসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাক্তার ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন। হোমিও ডাক্তার ছিলেন মো: আ: জলিল, শ্রী সুরেশ চন্দ্র শিং, ও মো: রোফন আলী ডাক্তার। জনসাধারণ তাকে পেয়ে খব খুশী হন। তিনি জনসাধারণরক বিমুখ করেন নি। সরকারি চাকুরির সুযোগ পেয়ে ও তিনি সেখানে যান নি। নিজের গ্রামে ফিরে এসে এলাহাবাদ বাজারে চেম্বার দেন। তিনি মাত্র পাঁচ টাকা ভিজিটে ঊষা রাণী নামক এক মহিলাকে প্রথম ব্যবস্থাপত্র দেন। তৎকালীন সময়ে আরো বেশি টাকা নেয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি জনগণের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে বেশি টাকা নেননি।

 বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে প্যাথলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তখন জেলা শহর বাদে এক্সরে মেশিনও ছিল না। ডা: অবনী মোহন চক্রবর্তী এলাকাবাসীর সে অভাব দূর করেছেন। তিনি তার ব্যাগে সবসময় রাখতন-স্টেথেস্কোপ, থার্মেমিটার, পিচকারী, ইনজেকশন, স্যালাইন ,গজ, ব্যন্ডেজসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ। তাঁর সম্পরর্ক এলাহাবাদের হারাধন চক্রবর্তী বলেন- অবনী বাবু ‌এলাহাবাদ বাজারে চেম্বার দেয়ার আগে তাদের বাড়িতে ১৫ বছর চিকিৎসা করেছেন। তিনি৭০-৭৫ বছর এলাকার সেবা করেছেন। তাঁর মত ডাক্তার অতীতে কেউ ছিল না বর্তমানেও কেউ নেই, ভবিষ্যতেও কেউ তার মতো সেবা দিতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।

 তিনি তার কথা রেখেছেন। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বের রোগী দেখেছেন। রোগীরা তার সেবায় সনষ্ট হতেন। রোগী মারা গেলেও আত্মীয় স্বজন বলতেন ডাক্তার মহোদয় অনেক চেষ্টা করেছেন। রোগীর হায়াত নেই।

  প্রতিটি চিকিৎসককে ডাক্তারী শুরু কারার আগে কিছু কিছু বিষয়ে শপথ করতে হয়। ভাল ডাকাক্তারগন সারা জীবন এ শপথনামা মেনে চলেন।  ডাক্তার অবনী মোহন ছিলেন তেমনই একজন ডাক্তউল্লেখযোগ্য কয়েকটি শপথ হচ্ছে: “বিত্তশালী বা বিত্তহীন ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতির বিভিন্নতা, বর্ণ ও ভাষার বৈষম্য, শত্রুতা, বাব ন্ধুত্ব, হল মানুষের বিশেষত্ব। চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে আমি কোন বৈষম্য করবনা। সকল মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখব। মানবতার সম্মান করব। ধর্ম, বর্ণ, এবং জাতীয়তার বৈষম্য ভুলে রোগীর রোগ নিরাময়ের জন্য আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করব। এ চেষ্টা কখনও স্বার্থ দোষে দুষ্ট হবে না। রোগী যে ধর্মেরই হোক তাকে সম্মান দেখানো আমার কর্তব্য। তাকে ভলবেসে তার রোগ নিরাময়ের ভাবনা হবে আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ। “এ শপথনামায় সকল রেজিস্টার্ড চিকিৎসক স্বাক্ষর করলেও  অনেকই পরবর্তীতে শপথ বাক্যগুলো ভুলে গিয়ে নিজের খেয়ালি খুশি মত কাজ করেন। কিন’ অবনী বাবু সারজীবন এ বাক্যগুলো ভুলে যান নি।

  একটি বিখ্যাত ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি সুরেশ চন্দ্র পোদ্দার বলেন- তাঁর সাথে রোগীদের  মমতা, সহমর্মিতা, ও ভালবাসার পরশ বিদ্যমান ছিল। তিনি কখনও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতেন না। মহিলাদের প্রিয় ডাক্তার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার অবনীমোহন  চক্রবর্তী। সকল কথা পুরুষ ডাক্তারের কাছে খুলে বলতে চান না। কিন্তু অবনী ডাক্তারের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন। তিনি মন দিয়ে মহিলাদের কথা শুনে রোগ নির্ণয় করতেন। মহিলা রোগিদের সাথে সংযতভাবে ও ভদ্রতার সাথে বয়স্ক হলে মা কম বয়স্ক হলে বোন মেয়ে নাতনী ইত্যাদি ডেকে কৌশলে (মনস্তাত্তিক সূত্র ব্যবহার করে) সকল কথা জেনে নিতেন। তিনি বলতেন রোগীকে সহজভাবে নিতে না পানরলে তার মনের কথা বুঝতে না পারলে সঠিক রিাগ নির্ণয় সম্ভব নয়। বর্তমানে ডাক্তারগন রোগীকে খসখস করে কতগুলো টেস্ট আর ঔষধের নাম লিখে দেন। কোন্‌ কোন্‌ খাবার বেশি খেতে হবে বা কোন কোন খাবার বর্জণ করতে হবে এব্যাপারে অধিকাংশ ডাক্তার কোন পরামর্শ দেন না। কিন’ অবনী ডাক্তার ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম। তিনি রোগীকে খাদ্য ও চলাফেরার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন। স্বাস্থ্য পরিচর্যার মাধ্যমে যদি রোগ নিরাময় হয় তাহলে তিনি ঔষধ দিতেন না। তাই ৭৫ বছরের চিকিসক জীবন তার স্বার্থকতায় পরিনত হয়। 

 অধিক রাতে কোন রোগী এলেও তিনি কখনও বিরক্ত হতেন না। কাউকে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন এমন কোন নজির নেই।  রোগীদের সাথে হেঁটে গিয়েছেন বহু গ্রামে। শুভপুর, এলাহাবাদ, শাকতলা, ধামতী, শ্রীপুর, ভাবনীসাইর, হারসার, ফুলতলী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুরসহ দেবিদ্বারের বহু যায়গায় তিনি চিকিৎসা করেছেন। এছাড়া বুড়িচং, ব্রাহ্মনপাড়া, চান্দিনাসহ অনেক উপজেলায় তিনি বিচরণ করেছেন। রোগীরা তাকে শ্রদ্ধাভরে “বাবা’ বলে ডাকতো। জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া রোগীরা দীর্ঘ দিন তাকে মনে রাখতো। ২০০১ সালে বিপাড়ার একজন জটিল মাসনসিক রোগী তার স্মরনাপন্ন হলে তিনি তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে ভাল করেন। এটি তার জীবনের একটি স্মরনীয় ঘটনা। শেষ বয়সেও তিনি রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। রোগীরা সুস্থ হলে তিনি প্রফুল্ল বোধ করতেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে বলেছিলেন “ঠাকুর যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন ততদিন রোগীর সেবা করে যাব। ” তিনি এ পর্যন্ত লক্ষাধিক রোগী দেখেছেন। তিনি দেহত্যাগ করলেও জনগন তাকে তাদের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে রেখেছেন। কুমিল্লার  ডাক্তারদের ইতিহাসে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

 

লেখক:মমিনুল ইসলাম মোল্লা, শিক্ষক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট ।

 


এলাহাবাদের গর্বঃ সততার মূর্ত প্রতীক এ.কে ফরিদ

এলাহাবাদের গর্বঃ সততার মূর্ত প্রতীক এ.কে ফরিদ

এলাহাবাদের গর্বঃ সততার মূর্ত প্রতীক .কে ফরিদ



অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক পরিচালক মোস্তফা এক ফরিদের বাড়ি দেবিদ্ধারের এলাহাবাদ গ্রামে।  একে ফরিদ এলাহাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে গঙ্গামন্ডল রাজ ইনস্টিটিউট থেকেএসএসসি, নারায়নগঞ্জেয় তোলারাম কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন

তিনি ছাত্র জীবনেই নারায়নগঞ্জ পাটকলে চাকুরী করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে স্বল্পকালীন মেয়াদে দেবিদ্বার এসএ সরকারি কলেজে অধ্যাপনা, বনানীস্থ একটি হাই স্কুলে শিক্ষকতা, সোনালী ব্যাংকে চাকুরী করেন। পরবর্তীতে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে চাকুরী নেন। | এসময় তিনি দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ফলে একের পর এক প্রমোশন পেয়ে জয়েন্ট ডাইরেক্টর পদে আসীন হন। পদে বছর চাকুরী করার পর পরিচালক পদে প্রমোশন পান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পরিচালক পদে কর্মর্কত ছিলেন বছর পর তিনি চাকুরী থেকে অবসর নিতেন। জনাব মোস্তফা একে ফরিদ ছিলেন সততার মূর্ত প্রতীক। তিনি যথাসময়ে যথা নিয়মে তার দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি শুক্রবারেও কাজ করতেন

জনশ্রুতি রয়েছে একবার তাঁর দায়িত্বে পরিকল্পনা বিভাগে ১০ কোটি টাকার কাজ হয়। কাজ শেষে ১০ লক্ষ টাকা অবশিষ্ট থাকে। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হিসাব পেশ কালে প্রতিবেদন দাখিল কৱেন। কাজে কয়েকবার প্রতিবেদন পেশ করার পরও বস সন্তুষ্ট হননি। ব্যাপারটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় আরেকজন অফিসারের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন- আপনি কোন দেশে বাস করেন ? আপনার মত বোকা দেশে কেউ আছে নাকি ? ১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রেখেছেন কেন ? স্যারকে কিছু দিয়ে বাকিটা আপনি নিয়ে নেন। তাহলেইতো সহজে হিসেব মিলে যায় মোস্তফা একে ফরিদ তাতে রাজী হননি। ঘুষ দুর্নীতির কাছে কখনও মাথা নত করেননি। ফলে চাকুরী জীবনের দীর্ঘ ৩০টি বছর তিনি ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। ভাড়া বেড়ে কোকিল পাখীর মতো এক যায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতেনপ্রজাতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেও ভাড়া বাসায় থাকতেন কেন ? প্রশ্নপলে তার দ্বিতীয় মেয়ে মাহমুদ হোসনে আরিফা বলেন, কোর্য়াটার পেতে হলে ঘুষ দিতে হয় তাই তিনি কোয়ার্টার বা সরকারি বাসা পাননি

কোম্পানীগও বদিউল আলম কলেজ গণিত বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একদিন তার বাসায় গিয়ে দেখি তিনি হোগলা পাতার বিছানায় বসে ভাত খাছেন খাওয়া শেষে ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কিনা ? প্রশ্ন করলে বলেন, আমাদের মতো ছাপোষা কর্মকর্তাদের বাড়ি কেনার পয়সা কোথায় ? এছাড়া আমার স্থায়ী বাড়িতে এলাহাবাদে, সেখানে আমার পিতা মাতা ঘুমিয়ে আছেন

| মোস্তফা একে ফরিদের ভাই। তারা। হচ্ছেন মোস্তফা ফেরদৌস-উজ্জামান, মোস্তফা সফিক সোহরাওয়ার্দী আবু মোহাম্মদ ইকবাল। জনাব মোস্তফা তার চাকুরী জীবনে কাউকে চাকুরী দিতে পারেননি। তার ভাই চাকুরীর তদবিরের জন্য গেলে তিনি বলেন- তোমার যোগ্যতায় চাকুরী পেতে সক্ষম হলে চাকুরী কর। নইলে বাড়িতে গিয়ে কৃষি কাজ কর। আমার সুপারিশে চাকুরী হলে তুমি | যত বছর চাকুরী করবে তত বছর আমার কবরে পাপ জমা হতে থাকবে

একে ফরিদের জীবনের শেষ দিনগুলো বহু কষ্টে অতিবাহিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত গলার সমস্যায় ভুগছিলেন। ডাক্তাররা লন্ডন অথবা ভারতের ক্যান্সার হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিলেও আর্থিক - কারণে নেয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে তার সহকর্মীরা আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে তিনি রাজি হননি

তার স্ত্রী পরশমনি উম্মে ফাতিমা (গৃহিনী) বলেন- আমরা সারা জীবন কষ্টে দিনাতিপাত করলেও আমার স্বামীর সততায় আমি সন্তষ্ট। তার ছেলে শেখ আবদুল্লাহ-আল-নুর জিডি পাইলট। হিসেবে বিমান বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। কন্যার মধ্যে বড় কন্যা তাছলিমা দিনা মোস্তফা (ইংরেজীতে অনার্স, অধ্যয়নরত), ২য় কন্যা মাহমুদা হোসনে আরিফা (বাংলা সম্মানে) অধ্যয়নরত। তার ছেলে আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের ঢাকায় কোন জমি/বাড়ি নেই। বাবা কোন ব্যাংক ব্যালেন্স রেখে যাননি, তারপরও আমাদের কোন আফসোস নেই আমরা বাবার আদর্শ নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। জনাব মোস্তফা ১৫টি কোরআনিয়া মাদ্রাসার (মসিজিদের মক্তব) হুজুরের মাসিক বেতন প্রদান করতেন। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা এক ফরিদের জীবনাবসান হয়েছে। ২৩ জুলাই ২০০৬ তিনি ঢাকা  বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নেয়ার পথে ইন্তেকাল করেন।

(নিউজ আর্কাইভস থেকেঃ সাপ্তাহিক আমোদ,10/08/2006

#মমিনুল ইসলাম মোল্লা)