বিভাগঃ ইসলাম/দানঃ রমজান
মাসে দান-খয়রাত করলে
সওয়াব বেশি। তাই
এ সময় মুসলমানরা অধিক
পরিমাণে দান করেন।
ফলে রমজানে জাকাত-ফিতরাসহ অন্যান্য আর্থিক ইবাদত এ সময় বেশি করে পালন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। জাকাত ফরজ, সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। এ দুটি সাধারণত রমজান মাসে আদায় করা হয়। রমজানে আমরা যে গরিব লোকটিকে দান করলাম তার অভাব কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। শাওয়াল মাসে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা যদি বলি, ভাই আবার রমজান মাস এলে আমার কাছে এসো, তাহলে সে হয়তো বলবে বাকি ১১ মাস খাব কী, বাঁচব কী করে? তাই প্রতি মাসেই কিছু কিছু দান-খয়রাত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, হালাল সম্পদ ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত। সাহাবায়ে কেরাম অবৈধ সম্পদশালীদের জন্য দোয়া করতেন না। তাদের খাবার গ্রহণ করতেন না। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বসরার প্রশাসককে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে গেলে তার জন্য দোয়া চাইলে তিনি দোয়া করতে অস্বীকার করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এক হাদিসে ইরশাদ করেন, যার খাদ্য হারাম, পোশাক হারাম, পানীয় হারাম ও হারাম উপার্জনের মাধ্যমে তার রক্ত-মাংস বেড়ে উঠেছে, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে? -সহিহ মুসলিম।
ফলে রমজানে জাকাত-ফিতরাসহ অন্যান্য আর্থিক ইবাদত এ সময় বেশি করে পালন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। জাকাত ফরজ, সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। এ দুটি সাধারণত রমজান মাসে আদায় করা হয়। রমজানে আমরা যে গরিব লোকটিকে দান করলাম তার অভাব কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। শাওয়াল মাসে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা যদি বলি, ভাই আবার রমজান মাস এলে আমার কাছে এসো, তাহলে সে হয়তো বলবে বাকি ১১ মাস খাব কী, বাঁচব কী করে? তাই প্রতি মাসেই কিছু কিছু দান-খয়রাত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, হালাল সম্পদ ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত। সাহাবায়ে কেরাম অবৈধ সম্পদশালীদের জন্য দোয়া করতেন না। তাদের খাবার গ্রহণ করতেন না। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বসরার প্রশাসককে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে গেলে তার জন্য দোয়া চাইলে তিনি দোয়া করতে অস্বীকার করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এক হাদিসে ইরশাদ করেন, যার খাদ্য হারাম, পোশাক হারাম, পানীয় হারাম ও হারাম উপার্জনের মাধ্যমে তার রক্ত-মাংস বেড়ে উঠেছে, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে? -সহিহ মুসলিম।
আমাদের
সমাজে যারা খাদ্যের অভাবে
কষ্ট পাচ্ছে, তারা আমাদের মতোই
মানুষ। আমাদের
ক্ষুধা লাগলে আমরা যেমন
কষ্ট পাই, তেমনি তারাও
কষ্ট অনুভব করেন।
আমাদের কোনো চাহিদা পূরণ
না হলে আমরা যেভাবে
মর্মাহত হই, তারাও তা
অনুভব করেন। এ
বিষয়টি আমাদের খুব গভীরভাবে,
হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে
অনেক অভাবী আছেন, যারা
তাদের অভাবের কথা কাউকে
প্রকাশ করেন না, অন্যের
কাছে কাকুতি-মিনতি করে
ভিক্ষা প্রার্থনা করেন না লোকলজ্জার
ভয়ে_ এমন লোকদের চিহ্নিত
করে তাদেরকে গোপনে দান করতে
হবে। বস্তুত
সর্বোত্তম দান হচ্ছে সদকায়ে
জারিয়া। এটি
হলো এমন দান যার
কার্যকারিতা কখনও শেষ হবে
না। তা
কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
সদকায়ে
জারিয়ার মধ্যে রয়েছে মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, এতিমখানা নির্মাণ, গরিব ছাত্রদের বৃত্তি
প্রদান, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, পুকুর খনন, নলকূপ
বসানো, পাঠাগার স্থাপনসহ বিভিন্ন জনহিতকর কাজ। এ
ছাড়া সেতু নির্মাণ, জনগণকে
ধর্মীয় বই-পুস্তক প্রদান
ও বৃক্ষরোপণও সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
দান-খয়রাতের বিষয়ে সূরা বাকারায়
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, 'যদি
তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত করো
তবে তা কতই না
উত্তম। আর
যদি দান-খয়রাত গোপনে
করো এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে
দাও, তবে তা তোমাদের
জন্য আরও উত্তম।
আল্লাহতায়ালা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর
করে দেবেন। আল্লাহ
তোমাদের কাজকর্মের খোঁজখবর রাখেন।'
প্রকাশ:
২৫ জুলাই ২০১৪
