পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ নেক রমণী

মমিনুল ইসলাম মোল্লাঃ রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একজন মুসলিম পুরুষের জীবনে সঙ্গী নির্বাচন করার জন্য একজন নেক ও সৎ রমণী প্রয়োজন। আর মুসলিম রমণীর উপর আবশ্যক হচ্ছে, নেক স্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। এ অবস্থায় আল্লাহ দুজনের উপরই সন্তুষ্ট হন। তাই নেককার রমণীর মাধ্যমে শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনই নয় আখিরাতের জীবনও শান্তিময় হতে পারে। সংসারে ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতার খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীকেই বেশি ধৈর্যশীল হতে হয়।
রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করা যায়। ধৈর্যের অনুশীলনের মাধ্যমে সহিষ্ণু হওয়া যায়। যে ব্যক্তি কল্যাণ লাভের চেষ্টা করে তাকে কল্যাণ প্রদান করা হয়” [ছহিহুল জামে, হাদীস নং২৩২৮]। আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পৃথিবীটা হচ্ছে ভোগের বস্তু। আর পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে নেক রমণী।” [মুসলিম শরীফ : হাদীস নং ২৬৬৮]।
মুসলিম রমণীগণ সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করলে তিনি বেহেস্তে প্রবেশ করবেন। মুসনাদে আহমদ এ বলা হয়েছে, “মুসলিম রমনী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রমযানের ছিয়াম পালন করে নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তবে তাকে বলা হবে, জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি প্রবেশ কর।” পর্দা মুসলিম বোনদের জন্য শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটি একটি অবশ্যপালনীয় কাজ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহীহ হাদিসে বার বার এর উপর তাকিদ দিয়েছেন। মনের পর্দার সাথে সাথে বাইরের পর্দাও পালন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই মনের খবর জানেন। তাই মুসলিম বোন ও আমাদের মা-চাচিদেরকে বাড়িতেও পর্দার সাথে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। পর্দার সাথে যৌনতা, অশ্লীলতা ও বেহায়হাপনা সংশ্লিষ্ট।
আমাদের দেশে রাস্তাঘাটে কিংবা কর্মস্থলে যতগুলো যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে তার চেয়ে বেশি ঘটে নিজ বাড়িতে ও প্রতিবেশী যুবকদের মাধ্যমে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলারা তা গোপনে সহ্য করে নেন। কোন ক্ষেত্রে তা প্রকাশ পেলেও লোক-পারিবারিক/বংশীয় সম্মান রক্ষা ও লোক-লজ্জার ভয়ে সেগুলো ধামা-চাপা দেয়া হয়। সেজন্য মুসলিম নারীকে অবশ্যই বাড়িতে পর্দার নিয়ম মেনে চলতে হবে।
পর্দা রক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে না দিলে পিতা, স্বামী ও পুত্রের আল্লাহর কাছে জবাবদেহী করতে হবে।
আল্লাহ বলেন, “হে নবী! আপনি আপনার পত্নগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।” [সুরা আহযাব : আয়াত ৫৯]
তাছাড়া মহিলারা সুগন্ধী ব্যবহার করে বাইরে বের হবে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “যে নারী সুগন্ধী মেখে ঘর থেকে বের হয় অতঃপর মানুষের সম্মুখ দিয়ে হেটে চলে যাতে করে তারা তার সুবাশ অনুভব করে তবে সেই নারী ব্যভিচারী।” [তিরমিজি, আবু দাউদ]।
গৃহিণীকে স্বামীর সামর্থ, সুবিধা-অসুবিধার কথা বুঝতে হবে। ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধানের আলোকে একজন পুরুষ পরিবার পরিচালনা করবেন। প্রতিটি পরিবারকে সুখের নীড়ে পরিণত করতে আল্লাহ পাকের নির্দেশনা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা প্রয়োজন। সহীহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে, “রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উষ্ট্রারোহী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয় মহিলারা সর্বোত্তম। তারা শিশুদের প্রতি স্নেহশীলা এবং স্বামীর মর্যাদা রক্ষার্থে উত্তম হেফাজতকারিণী ” [বুখারি শরীফ : হাদীস নং ৪৭১১]।
নারীরা অতিরিক্ত কল্পনাপ্রবণ। এতে অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নারী জাতি স্বভাবতই স্নেহ আদর-ভালোবাসার প্রত্যাশী। পরিপূর্ণ আদর-সোহাগে সে সাংসারিক কাজে আরো গতিশীল হয়ে উঠে। অন্য দিকে অবহেলা ও লাঞ্ছনায় সে লজ্জাবতী লতার মতো নুইয়ে পড়ে। তবে এটাও চিন্তার বিষয় একজন নারী দীর্ঘদিন ধরে লাভ করা বাবার স্নেহ, ভাইয়ের আদর ও মায়ের সোহাগপূর্ণ একটি পরিবেশ ছেড়ে এসেছে। তাই পরিবর্তী পরিস্থিতি মেনে নিতে কিছুটা সময় লাগে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র স্বামী বেচারাই তার কষ্ট লাঘব করতে পারে । আর স্বামীও যদি তাকে প্রশ্রয় না দেয় তাহলে তার মনের জমানো কথাগুলো বলার মতো কোন যায়গা সে খুঁজে পায় না , তাই সংসারে ধীরে ধীরে অশান্তি নেমে আসে।
সংসারের শান্তির জন্য আকাশ কুসুম কল্পনা, অনিশ্চিত ধারণা ও অযৌক্তিক অনুমান থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। বিয়ের পর স্ত্রীর ভরণ-পোষণ, কাপড়-চোপড়, সোনা-গয়নাসহ সকল চাহিদা স্বামীকে পূরণ করতে হবে। তাই বলে আপনি যা খুশি তা চাইতে পারবেন না। না দিতে পারলে বলতে পারবেন না “তোমার সংসারে এসে একদিনও শান্তি পেলাম না,” তোমার মতো অকর্মার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে, না জানি সামনে আরো কত দুর্গতি আছে,” অথবা আপনি যদি বলেন, রহমান সাহেবও তো তোমার মতো চাকরিই করেন, উনি পাঁচ তলা বাড়ি করতে পারলে আমরা সারা জীবন ভাড়া বাসায় থাকবো কেন ? এমনও শোনা যায় কাদের সাহেবও তো ব্যবসা করেন, তোমার ব্যবসায় বার বার লোকসান হবে কেন ? যদি বলা হয় যা চাই তা দিতে না পারলে তিন কথা বলে আনছো কেন ? অথবা কেউ কেউ বলেন আমাকে সেচ্ছায় বিদায় করে দাও, আামি কারো কাছে কোন অভিযোগ করবো না।
এ ব্যাপারে তিরমিযি শরীফে বলা হয়েছে, যে নারী কোনরূপ অসুবিধা ছাড়াই বিনা কারণে স্বামীর নিকট তালাক চায়, তার জন্য জান্নাতের সুঘ্রাণ হারাম”। স্বামীর কথার বাইরে স্ত্রীর চলার কোন ব্যবস্থা নেই। ইবনে আবদে রাব্বেহী আন্দালুসী “ত্ববায়েউন নেসা” গ্রন্থে লিখেছেন, মেয়েটিকে নিয়ে তিনি ২০ বছর সংসার করেছেন। আমি সর্বদাই তার উপর খুশি থেকেছি। একদিন আমি ঘরে ফজরের দুরাকাত সুন্নত আদায় করলাম। এমন সময় মুয়াজ্জিন নামাজের ইকামত দিতে লাগলো। হঠাৎ একটি বিষধর বিচ্ছু দেখে আমি সেটি একটি পাত্র দিয়ে ঢেকে স্ত্রীকে বল্লাম যয়নাব! আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত নাড়াচাড়া করবে না, নামায শেষে ফিরে দেখি বিচ্ছুটি তাকে দংশন করেছে। যেহেতু তাকে বলেছিলাম আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত তুমি নড়াচড়া করবে না, তাই বিচ্ছুটি পাত্রের নীচ থেকে বের হয়ে তাকে দংশন করল কিন্তু সে আমার নির্দেশের লংঘন করল না এবং সেখান থেকে পালিয়ে গেল না । সে স্বামীর এতদূর আনুগত্যকারীনী ছিল।
আজকাল স্বামী একটু সচ্ছল হলেই স্ত্রী কাজের মেয়ে রাখার জন্য চাপাচাপি করেন। অথচ হাদিসে আছে, নবী কন্যা ফাতেমা রা. সব কাজ নিজ হাতে করতেন, আটা বানানোর যাতা ঘুরাতে ঘুরাতে হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল, কলসি দিয়ে পানি আনতে আনতে কোমড়ে দাগ পড়ে গিয়েছিল। অনেক মহিলা তার স্বামীর উপর প্রভাব বিস্তার করতে চান। এটি নিতান্তই গর্হিত কাজ। আল্লাহ বলেন, “পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ জন্য যে, আলাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় আনুগত্যা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। [সুরা নিসা : আয়াত ৩৪]।
বিয়ের পর স্বামীর সংসারকে আপন করে নিতে হয়। সংসারের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে সকল কাজে স্বামীকে সাহায্য করতে হবে। হযরত আবু বকর রা. এর কন্যা আসমা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুবাইর রা. আমাকে যখন বিবাহ করেন তখন একটি ঘোড়া বাদে অন্য কিছুই তার ছিল না। আমি ঘোড়াটিকে দানাপানি খাওয়াতাম, ঘাস ও খড়ের যোগান দিতাম। ঘোড়ার জন্য খেজুরের আঁটি কুটে তার খাদ্যে মিশাতাম, সার্বক্ষণিক তাকে খাওয়াতাম ও পানি পান করতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইরকে যে জমি দিয়েছিলেন সেখান থেকে আমি খেজুরের বিচির বোঝা নিজের মাথায় নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি আসতাম। ঐ স্থানটি আমাদের বাড়ি থেকে দু মাইল দূরে ছিল [মুসলিম শরীফ : হাদীস নং ২১৮২]।

এটা পড়ুন – ইসলাম ও নারী

হে মুসলিম বোন! আমাদেরকে একদিন আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। মহিলাদেরকে জীবনের সিংহভাগই স্বামী ও সন্তানের সেবায় কাটাতে হয়। সন্তানকে বকা-ঝকা বা গালি-গালাজ না করে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ? সন্তানকে সঠিক সময়ে আদব কায়দা শিক্ষা না দিলে পরবর্তীতে তারা মানতে চায় না। এক্ষেত্রে গালমন্দ না করে আমরা আল্লাহর কাছে হেদায়েত চাইব। আল্লাহর কাছে দু হাত তুলে বলব, “আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম। [সুরা আহকাফ : আয়াত ১৫]।
যাদের সন্তান নেই তারা আল্লাহর কাছে বলবেন, “হে আমার প্রতিপালক আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে সৎ বংশধর দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবনকারী” [সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ৩৮]।
হাদিসে আছে প্রতিটি শিশু ইসলামি ফিতরাত নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার পিতা-মাতাই তাকে অন্য ধর্মে দীক্ষিত করে। তাই শিশু যখন কথা বলতে শিখে তখন সোনামনি “আব্বু‘” বল, না বলে আল্লাহু, আল্লাহু আকবর, সুবহানাল্লাহ্ ইত্যাদি শেখাতে হবে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় “বিছমিল্লাহ” বলে খাওয়াতে হবে। অন্যথায় শয়তানের বাচ্চা তাতে অংশ নিবে। শিশুদেরকে ছোট থাকতেই ইসলামি আদব কায়দা শেখাতে হবে। শৈশবে শিক্ষা না দিলে পরবর্তীতে শিক্ষার ভিত্তি দৃঢ় হয় না। আমরা যদি ঘুম পাড়ানোর গান কিংবা ছড়া দিয়ে ঘুম না পাড়িয়ে সুবহনাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইত্যাদি জিকিরের সাথে ঘুম পাড়াই, তাহলে জিকিরের সওয়াব যেমন পাবেন তেমনি আপনার অবুঝ সন্তানের মধ্যেও এর প্রভাব পড়বে। মা বাবা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিজ হাতে খাওয়ার সময় ডান হাতে খাওয়ার শিক্ষা দেবেন। কেননা ডান হাত দিয়ে সামনে থেকে এবং ডান দিক থেকে খাওয়া শুরু করার কথা বুখারি শরিফে (৫৩৭৬) বর্ণিত হয়েছে। তবে খাওয়ার শুরুতে বিছমিল্লাহ্ এবং খাওয়ার শেষে আলহামদুলিল্লাহ্, বলার শিক্ষা দিতে হবে। খাওয়ার পর পানি খেতে হয়। এসময় ডান হাতে গ্লাস ধরা, বসে পান করা, পানির পাত্রে শ্বাস না ফেলা এবং তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা সুন্নত। ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা থেকে আবার ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছুই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে করতে হবে এবং শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে। নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা ভাল। চুল অচড়ানোর সময় ডান দিক থেকে শুরু করতে হবে। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু, চুল-দাড়ি আচড়ানো ও জুতা পরিধানসহ অন্যান্য সকল (শুভ) কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। [বুখারি শরীফ : হাদীস নং ১৬৮]।
শিশুদেরকে দাঁত পষ্কিারের অভ্যাস করাতে হবে। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মিসওয়াক মুখ পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়” [নাসাঈ শরীফ : মিসওয়াক করার উৎসাহ প্রদান অনুচ্ছেদ, হাদীস নং ৫]।
ঘরে ঢুকতে বিছমিল্লাহ বলে ঢুকতে হবে। এছাড়া ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে সালাম দিতে হবে। ছেলে-মেয়েদেরকে আমরা অনেক সময় অন্যের ঘরে বিভিন্ন প্রয়োজনে পাঠাই। এক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ তিনবার অনুমতি প্রার্থনার পরেও যদি তাকে অনুমতি না দেয়া হয়, তাহলে সেখানে না যাওয়াই উত্তম। [বুখারি শরীফ]।
শিশুদেরকে সালাম দেয়া/নেয়া শেখাতে হবে। কারও সাথে সাক্ষাৎ হলে সালাম বিনিময়ের পর ডান হাতে মুসাফা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ সময়কালের কৃতকর্মের হিসেব দিতে হবে। বিধর্মীদের মতো যাচ্ছে-তাই করে চললে হবে না। জান্নাতি নারীর গুণাবলী আপনার মধ্যে কতটুকু আছে একটু ভেবে দেখুন। একজন পুণ্যবতী নারী ইচ্ছে করলে তার বেনামাযী স্বামীও সন্তানদেরকে ইসলামের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন। তাই বলা যায়, একজন আদর্শ রমণী আখেরাতের জীবনকেও সুন্দর করতে সাহায্য করে।
লেখক : মমিনুল ইসলাম মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ও সাংবাদিক, কুমিল্লা

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.