অহির আলোকে- হায়েজ-নিফাস





 মাসিক ঋতুস্রাবের ব্যাপারে কোরানে আল্লাহ বলেন- লোকেরা তোমাকে হায়েজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, বল তা হলো অপবিত্রতা। সুতরাং হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক। আর তবে পাক হওয়ার পূর্বে তাদের সাথে মিলিত হয়ো না। তকে পাক-পবিত্র হলে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের কাছে যাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন। তিনি পবিত্রতা রক্ষাকারীদেরও ভালবাসেন। ( সুরা বাকারা )
। ইমাম আবু হানিফার মতে, যে ওয়াক্তে পবিত্র হবে শুধু ঔ ওয়াক্ত থেকেই নামাজ শুরু করবে। অর্থাৎ আসরের ওয়াক্তে হায়েজ বন্ধ হলে গোসল করে শুধু আসর পড়বে। এর আগের ওয়াক্ত থেকে শুরু করার দরকার নেই। হায়েজের সময় স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ জেনেও যারা তা করলো তাহলে তারা কুফরি করলো। ( তিরমিযি )
। মু,আয ইবনে ফাযাল (রঃ) বলেন উম্মে সালমা  (রাঃ)  থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক সময় আমি ও রসুল ( সাঃ ) একই চাদরের নিচে শুয়েছিলাম। আমার হায়েজ শুরু হলো। তখন আমি চুপিসারে বেরিয়ে এসে হায়েজের কাপড় পড়ে নিলাম। রাসুল্লাহ ( সাঃ ) আমাকে বল্লেন, তোমার কি হায়েজ শুরু হয়ে গেছে ? আমি বল্লাম হ্যা, তিনি আমাকে ডেকে নিলেন এবং আমি তাঁর সঙ্গে একই চাদরের নিচে শুয়ে পড়লাম। (বুখারি,খন্ন্ড১,হা/ ৩২০ )
আহমদ ইবনে ইউনুস (রঃ) বলেন, আয়েশা (রাঃ)  থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ ) বলেছেনঃ হায়েজ দেখা দিলে সালাত ছেড়ে দাও। হায়েজের সময় শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নাও এবং সালাত আদায় কর।” (বোখারি খন্ড-১ /৩২৭)
  হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) কে হায়েজের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাকে গোসলের নিয়ম বলে দিলেন যে, এক টুকরা কস্তুরি লাগানো নেকড়া দিয়ে পবিত্রতা হাসিল কর। মহিলা বল্লেন, কিভাবে ? রাসুলুল্লাহ সাঃ বল্লেনঃ তা দিয়ে পবিত্রতা হাসিল কর। মহিলা ( তৃতীয়বার ) বল্লেন, কিভাবে ? রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) বল্লেন সুবহানাল্লাহ ! তা দিয়ে পবিত্রতা হাসিল কর। “ আয়েশা ( রাঃ ) বল্লেন, তখন আমি তাকে টেনে আমার কাছে নিয়ে আসলামএবং বল্লামঃ তা দিয়ে রক্তের চিহ্ন বিশেষভাবে মুছে ফেল।” ( বুখারি,খন্ড ১, হা/৩১১ )
ইব্রাহিম ইবনে মুনযির আল হিযামি (রঃ ) বলেন, নবি পত্নী আয়েশা  ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, উম্মে হাবিবা ( রাঃ ) সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি এব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞস করলেন। তিনি তাকে গোসলের নির্দেশ দিলেন এবং বল্লেন এটি শিরা নির্গত রক্ত। এরপর উম্মে হাবিবা ( রাঃ ) প্রতি সালাতের জন্য গোসল করতেন। (বুখারি খন্ড ১ হা/৩২৬ )
হাদিসে আছে, রসুল  (সাঃ ) প্রথমে তার লজ্জাস্থান পরিষ্কার করে  নিতেন তারপর নিয়ম অনুযায়ী গোসল করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রঃ) বলেন মা আয়েশা থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ যখন জানাবতের গোসল করতেন , তখন প্রথমে তার হাত দুটো ধুয়ে নিতেন । তাঁরপর সালাতের ওযুর মতো ওযু করতেন। তারপর তার আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। তারপর তার উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সাড়াদেহে পানি পেীঁছে দিতেন। ” (বুখারি,খন্ড১ হা/ ২৪৮) 

মমিনুল ইসলাম মোল্লা ।






শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.