মধুর সাথে রসুন ঃ যৌবন শক্তি বৃদ্ধি

 


মধুর সাথে রসুন ঃ যৌবন শক্তি বৃদ্ধি

এক কোয়া রসুন ধরে রাখতে পারে আপনার যৌবন

নিজের যৌবন চিরকাল ধরে রাখতে চান? তা হলে রসুন খান। কারণ রসুনে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা স্কিনকে সতেজ রাখে।



রসনাতে রসুনের গুণ আমরা সবাই জানি। কিন্তু রান্না ছাড়াও রসুনের বিবিধ গুণ রয়েছে। সে বিষয়ে অনেকেই জানি না। বিশেষ করে চুল আর ত্বকের পরিচর্যায় রসুন অব্যর্থ দাওয়াই।

রসুনের উপকারিতাগুলি একবার জেনে নেওয়াই যাক-

ব্রণ কমাতে 

রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ব্রণ কমাতে বেশ সাহায্য করে। ব্রণর জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করে। এর জন্য কাঁচা রসুনের একটা কোয়া চিবিয়ে খেতে পারলে ভালো। রোজ খেতে না পারলেও সপ্তাহে তিন চারদিন খান। রসুন খাবার পর ঠান্ডা জল খান।


ব্ল্যাকহেডস দূর করতে

আমাদের ত্বকে সাধারণত অতিরিক্ত তেল জমে ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়। ব্ল্যাকহেডস কমাতেও রসুন বেশ সাহায্য করে। কীভাবে?
একটু রসুন ও টম্যাটো মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। মুখে মেখে ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন। এটা ব্ল্যাকহেডস দূর করবে যেমন, সঙ্গে ত্বককেও উজ্জ্বল করবে।

স্কিন এজিং নিয়ন্ত্রণে রাখতে

নিজের যৌবন চিরকাল ধরে রাখতে চান? তা হলে রসুন খান। কারণ রসুনে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা স্কিনকে সতেজ রাখে। স্কিন এজিং-এর একটা বড় কারণ হল ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি। রিঙ্কেল, ফাইন লাইনস, এজ স্পট, ডার্ক স্পট থেকে স্কিনকে দূরে রাখে রসুন। শুধু কাঁচা রসুন ১ কোয়া মধু ও লেবুর সাথে চিবিয়ে খেতে হবে। তা হলেই দেখতে পাবেন রসুনের কেরামতি।

 


চুল পড়া কমায়

রসুন যেমন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তেমনই অতিরিক্ত চুল পড়াও নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েকটা রসুনের কোয়া কেটে নিয়ে স্ক্যাল্পে ঘষুন। বা রস ও করে নিতে পারেন। এই রস সপ্তাহে দু’দিন লাগান। এক মাসের মধ্যেই ফল পাবেন। এ ছাড়া অলিভ অয়েলের মধ্যে রসুন ভালো করে ফুটিয়ে সেই তেলটা স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। চুল পড়া বন্ধ হতে বাধ্য।

ত্বকের ইনফেকশন নিরাময়ে

মাঝে মধ্যেই  তা হলে অবশ্যই কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। রোজ খেতে হবে না, এতে আবার পেট গরম হতে পারে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খান। স্কিন ইনফেকশন থেকে মুক্ত থাকবেন।

 


খুশকি কমাতে

খুশকি কমাতে অনেক টাকা খরচ করে নানারকম শ্যাম্পু কেনেন। কিন্তু বাড়ির এই সহজ উপাদানটি অনেক ভালো যে কোনও খুশকি স্পেশাল শ্যাম্পুর থেকে। রসুনের রস স্ক্যাল্পে লাগান। এতে চুল পড়াও যেমন কমবে, তেমনই খুশকিও কমবে।

চুল কালো রাখতে

অল্প বয়সেই চুল পেকে যাচ্ছে? বাঁচার একমাত্র উপায় রসুন। কারণ রসুন এই অকালপক্কতা কমাতে দারুণ উপকারী। এর কারণ এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেটা অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে। এর জন্য কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে তো ভালোই। সঙ্গে আরেকটি পদ্ধতিও দেখতেও পারেন। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েক কোয়া রসুন ও একটু গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার কম আঁচে ফুটিয়ে নিন। তেল ঠান্ডা হলে এটা ভিজে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে নিন। চুল থাকবে কালো ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.