তুমি শোক নও তুমি শক্তি,


”  তুমি শোক নও তুমি শক্তি ”

শোক দিবসের দোয়ায়-মেয়র লিটন

বেনাপোল ( যশোর ) প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন আগষ্ট মাসের আমাদের যে ক্ষত, আমাদের যে ব্যথা, এই ক্ষত এবং ব্যথা যদি আমরা যুগ যুগ কাল, কাল বয়ে নিয়ে বেড়াই তবে জাতির জনকের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হবে। তাই আমি বলতে চাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তুমি শোক নও তুমি শক্তি, তুমি ভয় নও তুমি সাহসি, তুমি স্বৈরাচার নও তুমি গনতান্ত্রিক, তুমি অত্যাচারী নও তুমি মানবিক, তুমি স্বেচ্ছাচারী নিতীভ্রষ্ট বেঈমান না তুমি মানবিক দেশ প্রেমিক। কারন তোমার জন্য বাংলার মাটি পবিত্র হয়েছে। তোমার জন্মের মধ্যে দিয়ে এদেশের সঙ্গীত সমৃদ্ধ হয়েছে। তোমার জন্মের মধ্যে দিয়ে এদেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। কারন তুমি আমার সেই গর্বিত সন্তান তুমি বাংলা মায়ের সেই পবিত্র সন্তান; কারন যে সন্তান বাংলার প্রতিটি মাকে নিজের মায়ের জায়গায় বসিয়েছে, বাংলার প্রতিটি বাবাকে নিজের জায়গায় বসিয়ে রেখেছে এবং ভাইয়ের বয়সী ভাইকে নিজের ভাই ভেবে সন্তান এর বয়সী সন্তানকে নিজের সন্তান ভেবে তাদের জন্য জীবন যৌবন বাজী রেখে বারংবার কারা বরন করেছে। শার্শার পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনকের ৪৬ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে বারপোতা মাদ্রাসা মাঠে কথাগুলো বললেন প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন। বৃহস্পতিবার (১৯শে আগস্ট)বিকাল ৪ টার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদৎ বার্ষিকী পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত বারপোতা মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক পুটখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফফার সরদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটনর বলেন, আমি সেই সন্তান এর কথা বলতে এসেছি, যে সন্তান যুগ যুগ নয় কাল কাল মহাকাল বাংলার এই ভুখন্ড মাটি যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুকে লালন করবে। আমরা মানুষ অনেক সময় বেঈমান হয়ে উঠি, আমরা মানুষ অনেক সময় না বুঝে অত্যাচারী হয়ে উঠি, আমরা মানুষ ক্ষমতা কাকে বলে অনেক সময় বুঝতে পারি না। আমরা মানুষ অজ্ঞতার কারনে ভাল এবং মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারি না আমরা সুন্দরকে সুন্দর বলতে পারি না। আমরা সাহস করে অত্যাচারির মুখো মুখি হতে পারি না। আমারা বিশ্বাস করে একটি সত্য বলতে পারি না এর প্রতিটি কথায় কিন্তু ইমানের অংশ। ভাল কে ভাল বলার মত শক্তি থাকতে হবে ভালকে ভাল বলার মত সাহস না থাকলে সেই ব্যক্তি ইমানি মানুষ হতে পারে না। জাতির জনকের ন্যায্য সংগ্রাম যদি আমরা উত্থাপন করি তাহেল আমাদের ভয় করার কিছু নেই।কারন ভীত মানুষকে মানুষ আঘাত করে কোন সাহসী মানুষকে মানুষ আঘাত হানতে পারে না। আজকে জাতির জনকের অনুপস্থিতে তার কন্যা তার বাবার দেখানো পথ মানুষকে ভাল বাসার উজ্জল দৃষ্টান্ত এক অনন্য সাহস নিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উচ্চতার শিখরে পৌছে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমারা বাঙালী জাতি আমাদের এক হাত থাকে পায়ে এক হাত থাকে গলায়, আমাদের আকিকা আমাদের আখলাক আমাদের চরিত্র শক্তিশালী নয় । আমরা সুুবিধা বাদির পক্ষে থাকি সবসময়। আজকে নৌকা প্রতীকের নেত্রত্বে মহান মুক্তি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধিন হয়েছ। আার সেই নৌকা প্রতীক এর বিরোধিতা করে আনারস প্রতীক নিয়ে আজ চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়ী হয়ে নৌকা প্রতীকের লোককে অত্যাচার নির্যাতন করে এটা কাম্য নয়। আজ নৌকা প্রতিকের লোককে যে ভাবে ওই বিএনপি জামাত থেকে আসা হাইব্রিড আওয়ামীলীগের লোক দমন পীড়ন নির্যাতন করছে প্রকৃত আওয়ামীলীগদের একত্ব হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তাই আপনাদের অধিকার আপনারা বুঝে নিবেন। বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা সব কিছু আপনারা বুঝে নিবেন। জননেত্রী দিচ্ছে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়ে সমৃদ্ধ করতে বরাদ্দ। আর আনারস এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আপনারা যদি এই আনারস প্রতীকদের ছাড় দেন তবে বঙ্গববন্ধুর হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সব সময় নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছে।নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের জন্য জীবন যৌবনের সোনালী দিনগুলো তিনি কারাগারে কাটিয়েছে। সেই সোনালী দিন গুলো তার ত্যাগ তিতীক্ষায় সাড়ে সাত কোটি বাঙালী একত্রিত হয়ে একটি লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছে। আমার দু-লক্ষ মা-বোনের সম্ব্রমন হানি হয়েছে। ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে । সেই শহীদদের রক্তে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রীষ্টান এর অসম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আবাসন এই বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন জাতির জনক শত্রুকেও সন্মান দিয়ে কথা বলতেন। আনারসের চেয়রম্যান আর দেশ চালাচ্ছে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকের প্রধানমন্ত্রী। নৌকা সরকার উন্নয়ন পাঠায় আর আনারস মার্কা এখানে তার কার্যক্রম প্রসারিত করে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। জাতির জনকের কন্যা সকল ৬৫ নারী পুরুষ বছর বয়স্ক মানুষ এর জন্য বয়স্ক ভাতা চালু করেছে। এদেশের যত অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তত জাতির জনকের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কোন অপশক্তিকে আপনারা প্রশ্রয় না দিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যান। জাতির জনক এমন একজন মানুষ ছিলেন যে তিনি শত্রুর সাথেও ভালো ব্যবহার করত। তাকে মানুষ ভাল বেসে বাঁশের লাঠি দিয়ে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনে স্বাধীন সার্বোভৌম ভুখন্ড । অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন মায়া, আওয়ামীলীগ নেতা দলিল উদ্দিন, মোক্তার মেম্বার, যুবলীগ নেতা সাহেব আলী শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.