কুমিল্লার মুরাদনগরে মুক্তিযুদ্ধাকে হয়রানি
বিভাগ : সংবাদ প্রকাশের সময় :১০ জানুয়ারি, ২০২১ ৫:২২ : অপরাহ্ণ
মমিন মোল্লা মুরাদনগর, কুমিল্লা :
কুমিল্লার মুরাদনগরে জমি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ মাস্টারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানি থেকে রেহাই পেতে তিনি সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেছেন। এতে ওই চক্রটি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার কেনা জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করলে তিনি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার আরেকটি মামলা করেন। আদালত মুরাদনগর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় চক্রটি মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ মাস্টারের বাড়িতে গিয়ে বাউন্ডারির দেওয়াল ভেঙে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসেন। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি পুনরায় সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ দিকে পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আদালত, অপর দিকে তিনটি মামলা করেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন আলী আহাম্মদ মাস্টার।
ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ মাস্টার (৬৮) নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি গ্রামের মৃত আলী আকবর মুন্সীর ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের মৃত রোশন আলী ভুইয়ার ছেলে ফজলুর রহমান, মৃত লুৎফুর রহমান ভুইয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ভুইয়া, আবদুস ছালাম, রফিকুল ইসলাম, মৃত আলী আজগরের ছেলে লুৎফুর রহমান, মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল গনি ও গণি মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া।
আলী আহাম্মদ মাস্টার বলেন, ‘রহিমপুর মৌজার ৫০০ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৭৬৬ ও ৭৬৭ দাগের সাড়ে ১৯ শতক জমির আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। স্থানীয় জমি ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান আমার জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নিতে চাইলে, আমি কুমিল্লার সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলার পরও প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা করতে গেলে পুনরায় আমি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করি। আদালত স্থানীয় থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।থ
তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রতিবেদন দিতে সময়ক্ষেপণ করছেন। এ সুযোগে ফজলুর রহমান গংরা আমার জায়গায় প্রবেশ করে বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙে ফেলে আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে গেছেন। নিরূপায় হয়ে আমি আবার সাতজনের নাম উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেই। এখন শেষ বয়সে আমি আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনযাপন করছি।থ
অভিযুক্ত জমি ব্যবসায়ীর মূল হোতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমি জায়গা কেনা-বেচা করেছি। যারা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে বিষয়টি তাদের ব্যাপার।থ
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদিও জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন, রাস্তার জন্য একটু জায়গা ছেড়ে দিলে মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হতো। আমি জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।