করোনায় মারা যাওয়া চলচ্চিত্র পরিচালক মুরাদনগরের মাসুদ কায়নাতের কর্ম ও সাধনা

 

করোনায় মারা যাওয়া চলচ্চিত্র পরিচালক মুরাদনগরের মাসুদ কায়নাতের  কর্ম ও সাধনা

 বিভাগ : ফিচার  প্রকাশের সময় :১১ আগস্ট, ২০২১ ৫:৪৭ : অপরাহ্ণ

মমিন মোল্লা

মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে নির্মাতা মাসুদ কায়নাতের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাতেই তাঁর মরদেহ নিয়ে তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ছোট ভাইসহ নিকট আত্মীয়রা রওনা হন গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে  তাঁকে দাফন করা হয়। মাসুদ কায়নাত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য ছিলেন।

মাসুদ কায়নাতের বন্ধু লিটন এরশাদ ফেসবুকে দুটো ছবি পোস্ট করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখেন, ‘বিদায় বন্ধু। করোনা তোকেও কেড়ে নিল। ফোন করে আর কখনো বলা হবে না, কই? দেখা হবে তো? কী নির্মম, শেষ বিদায়েও দেখা হলো না! আর দেখা হবে না। নতুন করে স্বপ্ন বোনা হবে না।  রকম জটলা করে আর ছবিও উঠবে না। ওপারে ভালো থাকিস।’লিটন জানান,  এপ্রিল দিবাগত রাতে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে কোথাও জায়গা পাওয়া যায়নি। ভোর ছয়টার দিকে একটি হাসপাতালে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। সেখানে আইসিইউ খালি না হওয়ায় বিকেলে বনশ্রীর আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে রেখে গেছেন মাসুদ কায়নাত।

মাসুদ কায়নাত মূলত বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা ছিলেন। দুই শতাধিক বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্র, নাট্যনির্মাতা, উপস্থাপক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি আছে। নিজের লেখা গল্পে তাঁর পরিচালিত একমাত্র চলচ্চিত্র ‘বেইলী রোড’। এই ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় নিলয় আলমগীরের। এখানে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আঁচল আঁখি। ‘বেইলী রোড’ ছবিতে বাপ্পা মজুমদার আর মিলার গাওয়া ‘দেহ গেলে কি যায় বলো, মন গেলে তো সবই যায়’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন মিলা।তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব  মরহুমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিটন মাসুদ কায়নাত বড় পর্দায় নতুন হলেও মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণের জন্য বেশ সুপরিচিত।  পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। এছাড়া নির্মাতা হিসেবে মাসুদ কায়নাত-ই প্রথম বাংলাদেশি যিনি হিন্দি ভাষায় বিদেশী পণ্যের বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে নির্মাণ করে আলোচিত হন।

ছোট পর্দার একজন উপস্থাপক হিসেবেও তাকে চেনেন অনেকেই। বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘লুক-থ্রো’ এবং এটিএন বাংলায় প্রচারিত টকশো ‘অন্যচোখে’-এর গ্রন্থনা  উপস্থাপনায় তাকে দেখা গেছে। তিনি নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা  চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়েও একটি (বিএসআরএম প্রতিষ্ঠানের) টিভি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন যা বেশ প্রশংসনীয় হয়েছিলো


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.