শিশু কন্যা হত্যা।। মুরাদনগরে মায়ের স্বীকারোক্তি

 শিশু কন্যা হত্যা।। মুরাদনগরে মায়ের স্বীকারোক্তি 

শিশু কন্যা হত্যা।। মুরাদনগরে মায়ের স্বীকারোক্তি
 মমিন মোল্লা, মুরাদনগর, কুমিল্লা//

 মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামে ১৯ দিনের শিশু রাবেয়া বসরী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। শিশুকন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন ঘাতক মা রহিমা আক্তার রতœা (২০)।
নিহত শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, তার বড় ছেলে মুজিবুর রহমান ও মেজ ছেলে সজিবুর রহমান প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলে ঠিকমতো বেতন পান না। মেজ ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুুুুুুুই পা হারিয়ে বিদেশের হাসপাতালে আছে। সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে আমি এখনো মাঠে কাজ করি। অন্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবারে জমিতে কাছ করতে যাই। বাড়িতে এসে শুনি ১৯ দিনের নাতনী রাবেয়া বসরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থানায় গিয়েও জিডি করা হয়েছিল। পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে নাতনীর লাশ ভেসে ওঠে। এ খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসে এবং লাশের সাথে আমাদের সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও পুত্রবধূ রহিমা আক্তার রতœার কথায় সন্দেহ হলে তাকে থানায় রেখে দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে শুনতে পারলাম, সে নাকি স্বীকার করেছে যে, সে নিজেই মেয়েকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। তবে গত এক সপ্তাহ রতœা একা একা বসে থাকত। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর দিত না।
মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, শুরুতেই শিশুটির মা একেক সময় একেক কথা বলছেন। তার অস্থিরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে তিনি স্বীকার করেছেন, নানান টেনশনে পড়ে জিদ করে কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন, যা আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বলেছেন তিনি। এ ঘটনায় শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া মামলার বাদি হয়েছেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.