অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব লেখার কৌশল
শুরুতে আকর্ষণ সৃষ্টি করাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান দায়িত্ব।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব এমনভাবে লিখতে হয়; যাতে পরীক্ষকের দৃষ্টি টেনে আনা যায়।
পরীক্ষক পুরো খবর না পড়েই মূল কাহিনী বুঝতে সক্ষম হন। তাই লিড বা ইন্ট্রো বা অনুধাবনমূলক
প্রশ্নের জবাব ভালোভাবে লেখার দক্ষতা অর্জন একজন শিক্ষার্থীর জন্য বেশ বড় একটি চ্যালেঞ্জ।পৌরনীতি
ও সুশাসন বিষয়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব লেখায় কমবেশি ‘ষড়-ক’ পদ্ধতি অনুসরণ করা
হয়। এই ‘ষড়-ক’ হচ্ছে সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি; অর্থাৎ কী, কে, কখন,
কোথায়, কেন ও কীভাবে- এ ছয়টি জিজ্ঞাসার সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়েই সংক্ষেপে প্রশ্নটির
মূল মূল তথ্য জানিয়ে দেয়া সম্ভব।
‘কী দিয়ে সূচনা’
(What Intro)
ঘটনাটি কী, অর্থাৎ ঘটনার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পেলে সেটি হবে ‘কী সংবাদ ১৯৪০
সালের লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।’
‘কেন সূচনা’
(Why Intro)
ঘটনার কারণ গুরুত্ব পেলে ‘কেন সূচনা’ করা যেতে পারে। যেমন-১৯১১
সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হং কেন ?
‘কোথায় সূচনা’
(Where Intro)
ঘটনার স্থান গুরুত্ব পেলে ‘কোথায় সংবাদ সূচনা’ লেখা যেতে পারে। যেমনশেরে বাংলা একে
ফজলুল হক ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য (
১৯৩০-৩২) সালে কোথায় গোল টেবিল বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।?
‘কীভাবে সূচনা’
(How Intro)
ঘটনাটি কেমন করে ঘটল? সূচনায় পাঠকের এমন জিজ্ঞাসা বা উত্তর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব
পেলে সেটিই ‘কীভাবে সূচনা’। ঘটনার পরিবেশ-পরিস্থিতি-মেজাজ মূল্যায়ন করে ও নানা
মাত্রার বিচিত্র ধরনের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব লেখা যেতে পারে। যেমনটাইপিং
মিস্টেকের কারণে লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারে নি। মন্তব্য
কর।
Ø অনুধাবনমূলক
প্রশ্নের জবাব লেখার একটি ভালো নিয়ম হচ্ছে ‘যেমনভাবে বলা, তেমনভাবে লেখার’ নীতি অনুসরণ
করা;
Ø প্রশ্নের
সূচনাটিকে পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসার অনুকূল হতে হবে;
Ø শিরোনামটি হতে
হবে আকর্ষণীয়- যাতে তা পড়েই পরীক্ষক বাকি
অংশ পড়তে আগ্রহী ও উৎসাহী হন;;
Ø বর্ণনা বা
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নয়, অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব হবে ঘটনার সংক্ষিপ্ত সার এবং তা
হবে প্রতিবেদনের মূল তথ্যনির্ভর;
Ø সূচনা যত কম
শব্দে লেখা যায়, ততই ভালো;
Ø অনুধাবনমূলক
প্রশ্নের জবাব হবে সরল, সাবলীল ও তথ্যসমৃদ্ধ;
Ø অল্প কথায় বেশি
ভাব প্রকাশের উপযোগী শব্দ ও বাক্য নির্বাচন করে অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব লেখার
চেষ্টা করতে হবে;
তবে ‘ষড়-ক’-এর সবক’টিকেই সংবাদ সূচনায় উল্লেখ করতে
গেলে বড় হয়ে যেতে পারে অনেক সময়। তাই কেন এবং কেমন- এ দুইটি প্রশ্নের উত্তর ভেতরের
কাহিনীতে উল্লেখ করলেও চলে। সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব যেন সবসময়ই তার আকর্ষণ ধরে
রাখতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্নের জবাব লেখার প্রথাগত একটি নিয়ম হলো সূচনায় ছয়টি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর
সাজিয়ে নিতে হয়। এ প্রশ্নগুলো হলো কী, কে, কোথায়, কেন, কখন এবং কীভাবে। এ
প্রশ্নগুলোকে সহজে বলা হয় ‘ষড়-ক’। কোনো প্রশোনর জবাবের সূচনা লেখার সময় এ
প্রশ্নগুলোর উত্তর সাজিয়ে উপস্থাপন করলেই একটি ভালো সূচনা লেখা যায়।
সারা বিশ্বে সংবাদপত্রগুলোয় অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জবাব লেখার কমবেশি ‘ষড়-ক’ পদ্ধতি
অনুসরণ করা হয়।
এই ‘ষড়-ক’ হচ্ছে
পাঠকের সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি; অর্থাৎ কী, কে, কখন, কোথায়, কেন ও
কীভাবে- এ ছয়টি জিজ্ঞাসার সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়েই সংক্ষেপে সংবাদটির মূল মূল তথ্য
পাঠককে সূচনার মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দেয়া সম্ভব।