দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ২০২১-২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ে যাবেন। এছাড়া অন্যান্য ক্লাস একদিন চলবে।একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে একদিন চলবে বলেও মন্ত্রী জানান।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুরুর দিন (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। ২০২১-২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি দেবে তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে
ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে।
স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। ফিজিক্যাল
অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে,
তবে স্কুলে আপাতত কোনও
অ্যাসেম্বলি হবে না। দীপু
মনি বলেন, মাস্ক ছাড়া
কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে
না। শিক্ষার্থী,
শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে
জড়িতদের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে
কম বয়সী যারা, তাদের
কোনও সংকট হচ্ছে কিনা,
সেটা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে
আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.
আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন
ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম,
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
মো. জাকির হোসেন ও
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
জাহিদ আহসান রাসেল।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল
ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক
ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব
হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা
বিভাগের সচিব মো. আমিনুল
ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক
আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের
মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ
সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত
ছিলেন।
গত বছর ৮ মার্চ
দেশে করোনা রোগী শনাক্ত
হওয়ার পর ১৭ মার্চ
থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ঘোষণা করা হয়।
দফায় দফায় বাড়িয়ে সম্প্রতি
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী
১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
থাকবে।