মোহাম্মদ
আলাউদ্দিন, কুমিল্লা | সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
কুমিল্লার
চান্দিনা পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা। সড়কগুলো
সংস্কার করার এক বছর
অতিবাহিত হতে না হতেই
পুরোনো চেহারায় ফিরে গেছে অধিকাংশ
সড়ক। আবার
কিছু সড়কের কাজ শেষের
মাত্র ৬ মাস পার
হতেই বড় বড় গর্ত
সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী
হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর
অধিকাংশ স্থানেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
এই সব সড়কে যান
চালাতে অনীহা জানান চালকরা। যে
কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ
যাত্রী ও পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেহাল
সড়কগুলোর মধ্যে চান্দিনা উপজেলা
ও পৌর সদরের প্রধান
সড়কটি অন্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল থেকে পালকি সিনামা
হল পর্যন্ত পুরো সড়কটিতে অগণিত
গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আরসিসি ঢালাই অংশটি
ভালো রয়েছে। কার্পেটিং
(পিচ ঢালা) অংশটিতেই বেশি
সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
চান্দিনা খাদ্য গুদাম ও
হাসপাতালের সামনের অংশটিতে কমপক্ষে
১০টি স্থানে বড় গর্ত
হয়ে সড়কের এক পার্শ্বে
দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ
হয়ে গেছে। এই
সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন
হাজার হাজার মানুষ উপজেলা
প্রশাসন, থানা, ভূমি, সাব
রেজিষ্ট্রি অফিস, হাসপাতাল ও
স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। উপজেলা
সদরের সাথে সংযোগ সড়ক
চান্দিনা-বরকইট ও চান্দিনা
রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ
রোড দুটি সংস্কারের ছয়
মাস অতিবাহিত হওয়ার আগেই বিভিন্ন
স্থানে ছোট-বড় গর্ত
সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে
পরিণত হয়েছে। এছাড়া
চান্দিনা মোকামবাড়ি, ফায়ার সার্ভিস হয়ে
পূর্ব বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কটি
প্রায় ৩ বছর ধরে
যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে
আছে। বড়
গর্ত, খানা-খন্দে ভরপুর
এই অংশটি। সামান্য
বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে
যায়। এ
অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী
যানবাহন বেশ ঝুঁকি নিয়েই
চলাচল করতে হয়।
পথচারী মো. আবদুল্লাহ আল
মামুন জানান, পালকি সিনামা
হল থেকে চান্দিনা বাজার
অংশে কোন যানবাহন নিয়ে
প্রবেশ করতে রাজি হন
না চালকরা। সরকারি
হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক হওয়ায়
এই সড়কটি ব্যবহার করছে
পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার ও বরুড়া উপজেলার
বাসিন্দারাও। জরুরি
মুহূর্তে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এসে
বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। চান্দিনা
চান্দিনা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো.
শাহিন সার হোসেন জানান,
ভারী যানবাহন চলার কারণে এসকল
সড়ক টেকসই হয় না। এগুলো
আরসিসি মানের সড়কে উন্নীত
করার পরিকল্পনা চলছে। চান্দিনা
পৌরসভার মেয়য় মো. শওকত
হোসেন ভূইয়া জানান, পিচ
ঢালা রাস্তা থেকে আরসিসি
রাস্তা টেকসই হয়।
আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আরসিসি রাস্তা
করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
দুই-এক দিনের মধ্যেই
ভাঙা অংশগুলো সংস্কার করা হবে।
