কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অলিভ অয়েলের ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের যেকোনো বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা হ্রাস পায়।, অলিভ অয়েলে উপস্থিত polyphenols নামক উপাদানটি কোষের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণে arterial wall-এর ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি পায়। আমাদের পাকস্থলীর জন্য এ তেল দারুণ উপকারী।
ডায়াবেটিসকে দূরে রাখে
নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খান, দেখবেন ডায়াবেটিস আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ, অলিভ অয়েলে বিদ্যমান পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
পেটের রোগের প্রকোপ কমে
গ্যাস-অম্বলের সাথে বদহজমের সমস্যাও এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, তেমনি আছে বদহজমের সমস্যাও। অলিভ অয়েলে রয়েছে monosaturated fat যা bowel movement এর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তাই, বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়।
ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দূরে রাখে
জলপাইয়ের তেলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানকে ধ্বংস করে oxidative damage প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে এটি ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধ্বংস করে দেয়। নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের অস্বাভাবিক কোষ গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি এটি এপিজেনিক পরিবর্তন থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলিফেনাল মজুদ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাসায় তৈরি খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে কাঁচা অলিভ অয়েলও খেতে পারেন।
স্ট্রেস-ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমায়
অলিভ অয়েল খাওয়া মাত্র শরীরে serotonin নামে এক প্রকার ‘ফিল গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া অলিভ অয়েলে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মানসিক অবসাদ প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকর।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতে
ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। এতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডসমূহ মস্তিষ্কের উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, এটি ব্রেন সেলে তৈরি হওয়া Beta-Amyloid Plaque-ও দূর করে। এর ফলে স্নায়ু কোষগুলো সচল হয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
চটজলদি ওজন কমাতে অলিভ অয়েল খেতে ভুলবেন না। এটি হজমে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া জলপাইয়ে বিদ্যমান ভিটামিন-ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভেন-৩-ওলস, অ্যানথোসায়ানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিমারস্ ফ্রি radical প্রতিরোধ করে ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।