ট্রাক্টর উল্টে ডোবায় পড়ে নিহত শ্রমিক রাসেলের পরিবার যখন জীবন বাঁচাতে

 কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক্টর উল্টে ডোবায় পড়ে নিহত শ্রমিক রাসেলের পরিবার যখন জীবন বাঁচাতে


হিমশিম খাচ্ছে তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোম্পানীগঞ্জমিডিয়া সেন্টার।


শুক্রবার সকালে মিডিয়া সেন্টারের সংবাদকর্মীগণ নিহত রাসেলের স্ত্রী তানজিনার সাথে কথা বলে জানতে পারেন- তার স্বামীই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবের সংসারে নেমে এসেছে আরো অভাব। এযেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তাদের কোন জমিজমা নেই। শশুড়ের দেওয়া একশতক জায়গায় ছোট একটি ঘর। শশুর অন্ধ । তিনি ভিক্ষা করেন। সৎ-শাশুড়ি নিয়ে আলাদা থাকেন। শশুর সাহায্য করেন কিনা এমন প্রশ্নে তানজিনা বলেন, তিনি নীজেই চলতে পারেন না আমাকে দিবে কোথায় থেকে


ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়েই আমি এই ভাঙ্গা করে থাকি। আয় রোজগারের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রতিবেশীরা দিলে খাই আর না দিলে এভাবেই পড়ে থাকি। কিভাবে বাঁচব এই ভেবে জীবনের কোন কুল কিনারা পাইনা। রাত হলেই ছেলে বাবার জন্য কেঁেদ উঠে। তার এমন করুন পরিস্থিতির কথা শুনে মিডিয়া সেন্টারের পক্ষ থেকে সংগ্রহীত নগত ছয় হাজার টাকা তুলে দেন সাংবাদিক এস এ শাহেদ এসময় সাথে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মোল্লা , খোরশেদ আলম ও আলমগীর হোসে


মিডিয়া সেন্টারের সংবাদকর্মী এন এ মুরাদ বলেন, আমরা তাকে আজকে যেই সহায়তা দিয়েছি ওটা সাময়ীক অভাব দূর হলেও সে চিরস্থায়ী গরীব থেকে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিহত রাসেলের স্ত্রী তানজিনাকে সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি মেশিন কিনে দেওয়া হবে। এতে করে সে স্বনির্ভর হয়ে নীজের পায়ে দাঁড়াতে পার


উল্লেখ্য গত (০৯ এপ্রিল) শনিবার ভোর ৫ টায় উপজেলার নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের মোচাগাড়া দরিপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন দুর্ঘটনায় নিহত হন উপজেলার ১৪ নং- নবীপুর প‚র্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের অন্ধ শাহ-আলমের ছেলে রাসেল মিয়া (২২), শহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৩), ও একই গ্রামের বাবুল ড্রাইভারের ছেলে টুটুল মিয়া (২২) । তাদের মধ্যে দুইজন ছিল বিবাহিত। ড্রাইভার টুটুল মিয়া ছিল অবিবাহিত।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.