আজকের সঞ্চয় আগামী দিনের সম্পদ। সঞ্চয় করার জন্য আমরা ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানীর উপর নির্ভরশীল। বীমা কোম্পানীগুলো মৃত্যু ঝুঁকি বহন করে ; তাই আমার বাবা জনাব অহিদুর রহমান একটি লাইফ ইন্সুরেন্সে একটি বীমা করেন। বীমা করার সময় বীমার এজেন্ট বলেন এক লক্ষ টাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫ বছর পরপর বোনান্স পাবেন এবং মেয়াদ শেষে লাভ সহ আসল টাকা ফেরৎ পাবেন। এছাড়া আরো বলা হয় এক কিস্তি জমা দিয়ে মারা গেলেও ১লক্ষ টাকা এবং দুর্ঘটনায় মারা গেলে পাবেন ২লক্ষ টাকা । আমার বাবা স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে এক কিস্তির টাকা দিতে দেরী হয়। পরে লাইফ ইন্সুরেন্সর নিয়ম অনুযায়ী বীমাটি বীমা পত্র নং ০৮২৯৬৭৮-১) সচল করা হয়, এবং সচল হওয়ার কিছু দিন পর তিনি মারা যান। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা; কিন্তু বীমা অফিসে যোগযোগ করলে বলা হয় তিনি মৃত্যুর ৬ মাস পূর্ব থেকে স্বাকাকষ্টে ভুগছিলেন এবং বীমাটি সচল করার মাত্র ১৪ দিন পর মারা যাওয়ায় তিনি কোন টাকা পাবেন না। অবথচ বীমার চুক্তিপত্রে এ ধরণের কোন শর্ত ছিলনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীমা কর্মীর মতে ৯০% বীমা গ্রাহককে কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে বীমার টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়া বীমা করানোর পূর্বে বীমা গ্রাহকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখানো হয়। তাই সুধী পাঠবাদেব নিকট বিনীত অনুরোধ ভেবে চিন্তে বীমা করুন।
মোঃ সাইফুল ইসলামসদস্য,
কনফিডেন্ট (লিসেনার্স )ক্লাব
গ্রাম+ডাকঃ এলাহাবাদ,
দেবিদ্বার, কুমিল্লা -৩৫৩১