মহিলাদের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ

মহিলাদের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ
মহিলাদের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ



বিভাগঃনারী/নামাজঃ- দু:খের বিষয় হল পবিত্র হাদিসে উল্লেখ থাকা সত্বেও   দেখা যায় অনেকে মেয়েদের ঈদের সালাতে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করেন৷ অনেকে বাধা দেন৷ আবার কোথাও মহিলাদের জন্য ঈদের  সালাতের ব্যবস্থা করলে কটাক্ষ করেন। ধর্মীয় ঐতিহ্যের গ্রাম এাহাবাদ। এখানে আজ থেকে ৭০০ বছর আগে ইসলাম প্রচার হয়েছিল। বর্তমানে এটি আয়তন ও জনসংখ্যায় এলাহাবাদ ইউনিয়নের ১ম দেবিদ্বারের দ্বিতয়ি গ্রাম।বাংলাদেশ পরিরসংখ্যান ব্যুরো ২০১০ এর হিসেব অনুযায়ী-এখানকার জনসংখ্যা ৭৮২৬ জন। এর মধ্যে ১৮২জন হিন্দু বাদে বাকী সবাই মুসলমান। এখানে ২৪টি জামে মসজিদ রয়েছে।  কয়েকটি মসজিদে নিয়মিত মহিলারা জুম্মার নামাজ আদায় করেন। দেবিদ্বর থানায় অনেক আগে থেকেই মহিলাদের জামাদেত ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এবছর এলাহাবাদের  ১০ টি ঈদগাহের মধ্যে মহিলাদের জামাতে নামাজের জন্য ৩টি ঈদগাহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়,এলাহাবাদ বাদেও গৌড়সার, বারুর, তুলাগাাঁওসহ বিভিন্ন যায়গায় আহলে হাদিস এর অনুসারীরা মহিলাদের জন্য জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে।  এগুলোতে পুরুষ ঈমাম ছাড়াও মহিলাদের সাথে আসা তাদেও স্বামী, ভাই, বা ছেলেদের  নিয়ে প্রথম কাতার পুরা করা হয়। তারপর পর্দার ব্যবস্থা রেখে মহিলাদের জন্য চারদিক  পর্দা ঘেরা অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়।এমনই একটি জামাতের ঈমাম মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান, ‘উম্মে আতিয়া রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আমাদেরকে রাসূলুল্লা সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে সালাতের জন্য বের করে দেই ; পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনী সহ সকলকেই৷ কিন্তু ঋতুবতী মেয়েরা (ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়া প্রত্যক্ষ করতে অংশ নিবে৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের মাঝে কারো কারো ওড়না নেই৷ (যা পরিধান করে আমরা ঈদের সালাতে যেতে পারে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে৷’ (বর্ণনায় : মুসলিম)।এলাহাবাদে ও ৩ যায়গায় মহিলাদেও জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হচ্ছেঃ
কামাল ডাক্তারের বাড়ি ঃ এলাহাবাদ বাজারের উত্তর দিকে কামাল ডাক্তরের বাড়ির পাশ্ববর্তী ময়দানে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতের উদ্যেক্তা বিশিষ্ট হোমিও চিৎিসক ডাঃ কামাল হোসেন বলেন-২০০৮ সাল থেকে এ জামাত চলছে, ধীরে ধীরে মহিলাদের উপস্থিতি বাড়ছে। এখানে জামাত হবে সকাল ৯ টায়, ঈমামতি করবেন মোঃ মোনতাছির মোল্লা। মাদ্রাসা ময়দানঃ উত্তর পাড়ায় অবস্থিত।  এলাহাবাদ ডিজেএস দাখিল মাদ্রাসা ময়দানে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নামাজ পড়ান ক্বারী আব্দুল হাই এর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ। ছনুদ্দীর বাড়ির মসজিদঃ এটি এলাহাবাদ -সীমারকান্দা রোডেঅবস্থিত। মসজিদের পাশের খালি যায়গায় মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ঈমামতি করেন মাওলানা ঈব্রাহীম। এবং সার্বিক ত্তাবধানে রয়েছেন ডাক্তার আবু তাহের। মসজিদে নারীদের জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম মসজিদের মহিলা শাখার কর্মকর্তা শরাবান তহুরা বলেন, 'মসজিদে নারীদের জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে ইসলামে কোনো নিষেধ নেই। রাসুল (সা.)-এর সময় থেকে নারীরা জামাতে নামাজ পড়ে আসছেন। যেসব নারী বায়তুল মোকারম মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন তাঁদের বাধা দেওয়া হয় না। কারণ আল্লাহর ঘরে আসতে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
আহলে হাদিস এর জামাতঃ এলাহাবাদে আহলে হাদিস এর জামাত ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ১. নয়ারচর ঈদগাহঃ এটি এরাহাবাদের প্রাচীন ঈদগাহ। সুজাত আলী নায়েবের বাড়ির পাশে এটি অবস্থিত। এখানে ঈমামতি করেন প্রভাষক মোঃ মোখলেছুর রহমান। মোঃ সিরাজুল ইসলাম ( কালু মুন্সী) এর তত্তাবধানে এখানে ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার নামজ অনুষ্ঠিত হয়।  ২. মোকাম বাড়ি ঈদগাহঃ এলাহাবাদ উটখাড়া রোডে ও মোকামবাড়িতে এটি অনুষ্টিত হয়। এখানে ঈমামতি করেন জাফরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। ৩. নিজাম উদ্দিনের বাড়িঃ  এটি এলাহাবাদ-চরবাকর রোডে জামে মসজিদের পাশে এটি অবস্থিত। এখানে নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা চাঁন মিয়া ( চাঁন মিঞা খলিফা)।
হানাফি  মাযহাবের ঈদগাহঃ  হানাফি মাযহাবের অনুসারীদের রয়েছে ৪টি ঈদগাহ। এখানে শুধুমাত্র পুরুষরা নামাজ আদায় করতে পারেন। ১. নলপুকুরিয়ার ঈহগাহ ময়দানঃ এলাহাবাদ ধামতি রোডের নলপুকুরিয়ায় এটি অবস্থিত। বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মমতাজ উদ্দিন আহমদের তত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। এখানে নামাজ পরিচারনা করেন প্রভাষক আব্দুল মান্নান। ২. উটখাড়া ঈদগাহঃ  হযরত শাহজাল (রহঃ) এর সফরসঙ্গী  হজরত শাহ কামাল ও শাহ জামাল (রহঃ) এর মাজারের পাশে একটি প্রাচীন ঈদগাহ রয়েছে। এখানে প্রায় ২ হাজার মুসল্লীর নামাজের  ব্যবস্থা রয়েছে। এ ঈদগাহ কমিটির সভাপতি  আঃ মালেক মাস্টার, ঈমাতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। ৩. বটতলের বাড়ির ঈদগাহঃ এটি খালের দক্ষিণ পাড়ে বটতলের বাড়ির পাশে অবস্থিত। এখানে ঈমামতি করেন মাওলানা এজহারুল ইসলাম। ৪. দক্ষিণ পাড়া ইদগাহঃ এটি এলাহাবাদ -চান্দিনা রোডে করিম সরকারের বাড়ির পাশে অবস্থিত। ঈদগাহ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব তোরাব আলী। এখানে ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার। 
 মমিনুল ইসলাম মোল্লা, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি,, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক ও সাংবাদিক, কুমিল্লা। ০১৭১১৭১৩২৫৭    সধসরহসড়ষষধয@ুধযড়ড়.পড়স
পত্রিকা লাগবে ৫০টি
মুরাদনগরে উপবৃত্তির টাকা কেটে রাখার অভিযোগ
কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি
ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে উপবৃত্তির টাকা কেটে রাখার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার মুরাদণগর উপজেলার আমপাল- নেয়ামতকান্দি দারুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারষ্ট্যানডেন্ট ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে অভিযোগটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার। এ দিকে টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সেখানকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। অভিযোগে প্রকাশ, শনিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দাখিল ১০ শ্্েরনী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে টাকা বিতরনকালে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ওয়ালি উল্লাহের নেতৃত্বে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ২ শ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক আদায় করছেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মাদ্রাসা থেকে নাম কেটে দেওয়া, পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না দেওয়াসহ নানা ভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। এ বিষয়ের অভিযোগটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এতিম ও গরীব ছাত্র মিজানুর রহমান সাংবাদিক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথম বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে তা স্বীকার করে টাকা ফেরতদানের অঙ্গীকার করেন সুপার মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ। তবে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের জানানোয় অনেকের টাকাই ফেরত দিতে স্বীকার করেছেন শিক্ষকরা। মুরাদনগণগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, তিনি ছাত্র ছাত্রীদেরকে কাউকে কোন টাকা দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো জানান, তার অজান্তে কেউ টাকা দিয়ে বা নিয়ে থাকলে তার কিছু করার নেই।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
৫.৮.২০১৩


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.