কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে কোরআন
কোরআন পাঠ
উত্তম ইবাদত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, রাসূল (সা.) এরশাদ
করেছেন- যে ব্যক্তি আল কোরআনের একটি হরফ পাঠ করে সে এর বদলে একটি নেকি লাভ করে আর একটি
নেকি দশটি নেকির সমান (তিরমিজি)। তবে তা সুন্দর
করে পড়তে হবে। কেউ ইচ্ছে করে অবহেলা করলে সে গুনাহগার হবে। কোরআন পাঠের কতগুলো আদব
রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বিতাড়িত শয়তানের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া।
সূরা নাহলের-৯৮ আয়াতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন বলেন, অনন্তর যখন আপনি কোরআন পাঠ করবেন
তখন বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করুন। এছাড়া কোরআন পাঠে অবহেলা
করা যাবে না। মাদ-মাখরাজ-ওয়াক্ফ ঠিক রেখে ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে সহিহ-শুদ্ধ করে কোরআন
তিলাওয়াত কর। কোরআন মুসলমানদের জন্য পথপ্রদর্শক। তাই মুসলমান কখনও কোরআনের জ্ঞান থেকে
দূরে থাকতে পারে না। সূরা বাকারার প্রথমেই আল্লাহ বলেছেন, আলিফ লাম মীম। এটা এমন একটি
কিতাব, যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এটি হচ্ছে আল্লাহভীরুদের জন্য পথপ্রদর্শক কোরআনের
প্রথম নাজিলকৃত আয়াত হচ্ছে, পাঠ কর, তোমার প্রভুর নামে। তাই কোরআন পাঠ, মুখস্থ করা
ও বারবার পড়া প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। আমরা কোরআন পড়তে ভালোবাসি, কেউ নীরবে পড়ি,
আবার কেউ সরবে পড়ি। আবার কোনো কোনো জায়গায় হাফেজ সাহেব টাকার বিনিময়ে মাইকযোগে সারা
রাত কোরআন পড়েন এবং সকালে সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে সম্মিলিতভাবে দোয়া-মোনাজাত করেন।
রাসূল (সা.)-এর যুগে এ ব্যবস্থা ছিল না। তখন মসজিদে নববীতে কোরআন পাঠ করা হতো। কোরআন
পাঠের আওয়াজ বেশি হলে রাসূল (সা.) উচ্চস্বরে কোরআন পাঠ করতে নিষেধ করেন। কোরআন মুখস্থ
করা এবং মনে রাখা আল্লাহর একটি নেয়ামত। পৃথিবীর এমন কোনো বই নেই যা কোনো ব্যক্তি এমনকি
লেখকও দাঁড়ি-কমাসহ সম্পূর্ণ মুখস্থ বলতে পারবেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় পৃথিবীব্যাপী
মুসলিম শিশুরা তা এমনভাবে মুখস্থ করে নেয় যের, যবর, পেশের কোনো ত্রুটি হয় না। অথচ যে
ছেলেটি যে বয়সে কোরআন হেফজ করে সে বয়সে সে তার মাতৃভাষায়ও ততটা দক্ষতা লাভ করে না।
প্রত্যেকের সাধ্য অনুযায়ী কোরআন শেখার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ পাক বলেছেন কোরআনের
যতটুকু সহজ লাগে তা পাঠ কর। -মমিনুল ইসলাম মোল্লা July 31, 2015 06:20
![]() |
| কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে কোরআন |
