‘কার্যকরী কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে যে কোন স্কুল ভাল ফলাফল করতে পারে’


 
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
 오কুমিল্লার দেবিদ্বারের ৪৫ টি 오মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ - পেয়েছে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট হাই স্কুল। প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ টি জিপিএ - পেয়েছে। এছাড়া বড়শালঘর এমইউএ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬টি দেবিদ্বার অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২২টি জিপিএ - পেয়েছে।
১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবিদ্বারের সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয় দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
তিনি বলেনআমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যাপারে সচেতন থাকায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।তার সাথে ব্যাপারে বিস্তারিত কথা হয় মমিনুল ইসলাম মোল্লার সাথে। নিম্নে আলাপচারিতার বিষয়টি সাক্ষাৎকার আকারে উপস্থাপন করা হলোঃ
. প্রশ্নঃ আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতজন জিপিএ- পেয়েছে ?

প্রধান শিক্ষক: এসএসসি পরীক্ষায় দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট হাই স্কুল থেকে ৫৭ জন জিপিএ- পেয়েছে। এছাড়া এসএসসি ভোকেশনাল শাখা থেকে জনসহ মোট ৬০ জন ছাত্র জিপিএ - পেয়েছে।

. প্রশ্নঃ কতজন পরীক্ষা দিয়ে কতজন পাশ করলো ?

প্রধান শিক্ষক: ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠান থেকে ২১৩ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৫৭ জন জিপিএ - , ৮২ জন জিপিএ- পেয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্বল করেছে। এছাড়া কারিগরি শাখায় ১০৭ জন পরীক্ষা দিয়ে প্লাস পেয়েছে জন এবং গ্রেড পেয়েছে ১০০ জন।

. প্রশ্নঃ গত বছরের ফলাফল কেমন ছিল ?

প্রধান শিক্ষক: ২০১২ সালে জিপিএ - পেয়েছে ৩৪ জন (সাধারণ কারিগরি শাখা মিলে)

. প্রশ্নঃ আপনার শিক্ষক স্টাফ সম্পর্কে কিছু বলুন।
প্রধান শিক্ষক: বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৪৪ জন। তাদের মধ্যে ৮০% স্নাতোকোত্তর এছাড়া সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ায় শিক্ষাদানে তারা উন্নত পদ্বতি অবলম্বন করতে পারেন

. প্রশ্নঃ আপনি প্রতিষ্ঠানে কত বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন ?

প্রধান শিক্ষক: আমি বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছি।

. প্রশ্নঃ চার বছরে প্রতিষ্ঠানে কি কি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে , বলবেন কী ?

প্রধান শিক্ষক: কাজী মহিউদ্দিন ফারুকী মিলনায়তন, (৩তলা বিশিষ্ট ভবন), মডেল ভবন ( তলা) , প্রধান শিক্সকের কক্ষ, বাউন্ডিারী ওয়ালসহ, বিভিন্ন যায়গায় মাটি ভরাট ছাত্রাবাসের উন্নয়ন।

. প্রশ্নঃ কত বছর ধরে আপনারা ধারাবাহিকভাবে সফলতা পাচ্ছেন ?

প্রধান শিক্ষক: আমি ২০১০ সালে যখন এসেছি তখন প্লাস পেয়েছে ২২ জন তারপর থেকে ক্রমাগতভাবে বেড়েছে এবং সাফল্যের ধারা অব্যহত রয়েছে।

. প্রশ্নঃ ভাল ফলাফলে কাদের ভূমিকা বেশী ?

প্রধান শিক্ষক: কার্যকরী কমিটির আন্তরিকতা তদারকি, মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষকদের উন্নত পদ্বতিতে পাঠদানের কারণে রেজাল্ট ভাল হয়েছে বলে আমি মনে করি।

. প্রশ্নঃ সন্তানের লেখাপড়ায় অভিভাবকদের ভূমিকা কী হতে পারে ?
প্রধান শিক্ষক: বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বাড়িতে তদারকির মাধ্যমে লেখা পড়া নিশ্চিত করা।

১০. প্রশ্নঃ কেউ কেউ বলেনবিদ্যালয়ের গূণে নয় নিজস্ব উদ্যোগে বাসায়/প্রাইভেট পড়েই ছাত্ররা ভাল বকরেছে যুক্তি খন্ডন করুন।

প্রধান শিক্ষক: ভুল ধারণা। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাশের মাধ্যমে দুর্বল মেধাসম্পন্ন ছাত্রদের ভাল করার চেষ্টা করা হয়।

১১. প্রশ্নঃ বর্তমানে বিদ্যালয়ে সকল প্রকার শাস্তি নিষিদ্ধ, অবস্থায় ছেলেদের নিয়ন্ত্রণে কোন সমস্যা হয় কি না ?

প্রধান শিক্ষক: সমস্যা হয়।

১২. প্রশ্নঃ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে নম্বরের প্রতিযোগীতায় ব্যাস্ত। নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারে কেউ ভাবে না।

প্রধান শিক্ষক: আমাদের বিদ্যালয়ে নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

১৩. প্রশ্নঃ সৃজনশীল পদ্বতি কতটুকু কার্যকর হচ্ছে ?

প্রধান শিক্ষক: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে সৃজনশীলতা পুরোপুরি বস্তবায়ন হবে

১৪. প্রশ্নঃ কেউ কেউ বলছেন -দেশে প্লাস বাড়ছে কিন্তু শিক্ষার মান বাড়ছে না-আপনার অভিমত কী ?

প্রধান শিক্ষক: অমূলক নয়। গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত সকলকে আন্তরিক হতে হবে।

১৫. প্রশ্নঃ আপনার স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে প্লাস বৃত্তি পাওয়া ছাত্ররা ভর্তি হয় , তারাই আবার এসএসসিতে প্লাস পায় কিন্তু অজ পাড়াগাঁয়ের একটি বিদ্যালয় কিভাবে ভালো করতে পারে ? আপনার পরামর্শ কী।

প্রধান শিক্ষক: শিক্ষক, অভিভাবক কার্যকরী কমিটির সমন্বয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতসহ শ্রেণী পাঠক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন্ করতে হবে। বছরের প্রথম থেকে পরিকল্পনা নিলে যে কোন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল ফলাফল করতে পারবে।

১৬. প্রশ্নঃ আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রধান শিক্ষক: ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে পাঠকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি

05  / 05/   2017  মমিনুল ইসলাম মোল্লা 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.