✎মুরাদনগরের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় স্কুলগুলো পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহার হওয়ায় নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়গুলো
কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় ক্লাসে সিলেবাস শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে
শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা নেয়ার মতো নির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষা হল না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি
হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, মুরাদনগর
উপজেলার শিক্ষার হার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক কম। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই
উপজেলায় শিক্ষার হার ৪৬ শতাংশেরও কম। প্রতিবছর পিএসসি, জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি/ দাখিল,
ডিগ্রি,আলিম, কামিলসহ ৬/৭টি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজের
ক্লাস রুমে। ফলে ওই সময়গুলোতে ক্লাস বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ ক্লাস বিরতিতে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বছরে
৩৬৫ দিনের মধ্যে সাপ্তাহিকসহ সরকারি ছুটি ১১০ দিন। আর জেএসি/জেডিসি পরীক্ষা চলে ২৫
দিন। এসএসসি/দাখিল পরীক্ষা চলে ৩৫/৩৬ দিন। এছাড়াও পিএসসি আর মাদ্রাসায় আলিম-ফাজিল পরীক্ষাসহ
বিদ্যালয় আর মাদ্াসায় ক্লাস হয় না ২২০ দিন। বাকি ১৪৫ দিনে ক্লাস করে বিশাল সিলেবাস
কাভার করা যায় না। ফলে পরীক্ষায় তারা ভালো ফল করতে পারছে না। এমন সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
বিদ্যালয়গুলো হলো, মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রী কলেজ, অজিয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোড়াশাল আ: করিম উচ্চ
বিদ্যালয়, পীরকাশিমপুর আরএন উচ্চ বিদ্যালয়, বাঙ্গরা উমালচন উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীকাইল
কেকে উচ্চ বিদ্যালয়, বাশঁকাইট পিজে উচ্চ বিদ্যালয়, দারো দ্বীনেশ উচ্চ বিদ্যালয, রামচন্দ্রপুর
রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাকান্দা দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসা, শুশুন্ডা ফাজিল মাদ্রাসা,
দারোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোরাশাল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত
হওয়ার ফলে বহু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়গুলোর
প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে।
বিশেষ প্রতিনিধি।।