![]() |
| কৃষি ব্যাংক কৃষকদের প্রিয় বন্ধু |
কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এখন থেকে
প্রতি ত্রৈমাসিকের পরিবর্তে মাসিক
ভিত্তিতে আনুপাতিক লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি পর্যালোচনা করার
নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অর্থবছর শেষে কোনো ব্যাংক কৃষিঋণের
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে অনর্জিত অংশের তিন শতাংশ বাধ্যতামূলক বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখতে হবে। যার বিপরীতে কোনো সুদ
দেয়া হবে না। কিছুদিন আগে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে
ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে কৃষি প্রধান দেশ
কৃষকদের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
কৃষি ব্যাংক কৃষি উন্নয়ন ঋণদান সংস্থ’া ১৯৫২ হচ্ছে এক্ষেএে
পথিকৃত। ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান কৃষি ব্যাংক স্থাপিত
হয়। বাংলাদেশে কৃষি ব্যাংক
স্থাপিত হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে সরকার
পরিচালক মন্ডলী নিয়োগ করে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি
উপজেলায় এর শাখা রয়েছে। কৃষি ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্থিক সহায়তার
মাধ্যমে কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করা। এ ব্যাংকের মাধ্যমে পল্লীর বিলুপ্ত প্রায় ক্ষুদ্র ও কুটির
শিল্পগুলো প্রানি ফিরে পেতে পারে। বেকার সমস্যা নিরসনেও
কৃষি ব্যাংক বিশেষভাবে কাজ করে।
স্বল্প আয়ের গরীব ভূমিহীন কৃষকদের
উন্নতি উৎপাদনমুখী প্রকল্প ও সার্বিক গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে কৃষির ব্যাংক সাহায্যকরে। প্রতিটি মৌসুমে
এ ব্যাংক সাহায্য করে। এ ব্যাংক কৃষকদেরকে স্বল্প মেয়াদী মধ্যমেয়াদী ও
দীর্ঘ মেয়দী ঋণ প্রদান করে থাকে। স্বল্প মেয়াদী ঋণের মেয়াদ ১ বছর থেকে ১৮
মাস পর্যন্ত। এ ধরনের ঋণ সাধারণত শস্য উৎপাদনের
জন্য দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রকৃত কৃষককে এসব ঋণ দিচ্ছে কি-না, তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া চলতি অর্থবছর থেকে ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃষি ঋণের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রাধিকার বিবেচনায় ব্যাংকগুলো কৃষিতে বেশ জোর দিচ্ছে। ঋণ নিয়ে কৃষকগণ কৃষি যন্ত্রপাতি অগভীর নলকূপ হস্তচালিত পাম্প গবাদি গশু ইত্যাদি ক্রয় এবং হাঁস মুরগীর খামার তৈরী করে। এছাড়া ট্রাক্টর গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ ,সেচযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় জমি উন্নয়ন কৃষিভিত্তিক শিল্প চা বাগান তৈরী, সবজি বাগান ও মাছ চাষের জন্য র্দীমেয়াদী ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে জমির দলিল অথবা সম্পত্তি সরবরাহ করতে হয়। এছাড়া সরকারী সঞ্চয়পত্র, বীমাপত্র ,শস্য ও স্বর্ণ ইত্যাদি জামানত হিসেবে রাখা হয়। ঋণের জামানতের সত্যতা অনুসন্ধান করে ঋণ প্রদান করা হয়। কৃষি ব্যাংক বিঋিণœ প্রকল্পে ঋণ দান করে। অনুন্ধানকারী কর্মকর্তা ও মাঠ পরিদর্শকগন বিপ্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে ঋণ দিয়ে থাকেন। প্রকল্প মূল্যায়নের ক্ষেএে কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। প্রতিটি কৃষি মৌসুমের আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওয়ার্ড মিটিং এ ঋণ প্রত্যাশীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং মেম্বার চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত তালিকা থেকে গত মৌসুমে ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ মাঠ পরিদর্শকের পূরনকৃত ঋণের আবেদনপত্র শাখা ব্যবস্থাপকের নিকট জমা দেয়া হয়। মঞ্জুরীকৃত ঋণ মেম্বার ও চেয়ার ম্যানদের সম্মুখে বিতরণ করা হয়। দ্রব্যে বিতরণকৃত ঋণের ক্রেডিট ভাউচার দেয়া হয়। মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পসমূহে ও প্রকল্প মুল্যায়ন করা হয়। ১৫ থেকে ২০ একর জমি চাষ করে এমন কৃষক আবেদন করতে পারেন। আবেদনের পর কৃষি ব্যাংক সরেজমিনে তদন্ত করে ঋণ দেয়। এ ঋণ জামানতযোগ্য। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে ঋণ। প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের নির্ধারিত তারিখের পূর্বে নোটিশ প্রদান করা হয়। তারপর ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময় দিয়ে আইনগত ব্যবস্থাা নেওয়ার নোটিশ দেয়া হয়। এরপরও ঋণ পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অর্থবছর সরকারি ছয় ব্যাংক ৮ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বিতরণের হার দাঁড়িয়েছে ১০৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত অর্থবছর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। তিন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং জিএমসহ ৫ হাজার ২৭০টি পদ খালি রেখে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিশেষায়িত এই ব্যাংকটি। তারপরও যথাসাধ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রকৃত কৃষককে এসব ঋণ দিচ্ছে কি-না, তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া চলতি অর্থবছর থেকে ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃষি ঋণের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রাধিকার বিবেচনায় ব্যাংকগুলো কৃষিতে বেশ জোর দিচ্ছে। ঋণ নিয়ে কৃষকগণ কৃষি যন্ত্রপাতি অগভীর নলকূপ হস্তচালিত পাম্প গবাদি গশু ইত্যাদি ক্রয় এবং হাঁস মুরগীর খামার তৈরী করে। এছাড়া ট্রাক্টর গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ ,সেচযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় জমি উন্নয়ন কৃষিভিত্তিক শিল্প চা বাগান তৈরী, সবজি বাগান ও মাছ চাষের জন্য র্দীমেয়াদী ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে জমির দলিল অথবা সম্পত্তি সরবরাহ করতে হয়। এছাড়া সরকারী সঞ্চয়পত্র, বীমাপত্র ,শস্য ও স্বর্ণ ইত্যাদি জামানত হিসেবে রাখা হয়। ঋণের জামানতের সত্যতা অনুসন্ধান করে ঋণ প্রদান করা হয়। কৃষি ব্যাংক বিঋিণœ প্রকল্পে ঋণ দান করে। অনুন্ধানকারী কর্মকর্তা ও মাঠ পরিদর্শকগন বিপ্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে ঋণ দিয়ে থাকেন। প্রকল্প মূল্যায়নের ক্ষেএে কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। প্রতিটি কৃষি মৌসুমের আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওয়ার্ড মিটিং এ ঋণ প্রত্যাশীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং মেম্বার চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত তালিকা থেকে গত মৌসুমে ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ মাঠ পরিদর্শকের পূরনকৃত ঋণের আবেদনপত্র শাখা ব্যবস্থাপকের নিকট জমা দেয়া হয়। মঞ্জুরীকৃত ঋণ মেম্বার ও চেয়ার ম্যানদের সম্মুখে বিতরণ করা হয়। দ্রব্যে বিতরণকৃত ঋণের ক্রেডিট ভাউচার দেয়া হয়। মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পসমূহে ও প্রকল্প মুল্যায়ন করা হয়। ১৫ থেকে ২০ একর জমি চাষ করে এমন কৃষক আবেদন করতে পারেন। আবেদনের পর কৃষি ব্যাংক সরেজমিনে তদন্ত করে ঋণ দেয়। এ ঋণ জামানতযোগ্য। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে ঋণ। প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের নির্ধারিত তারিখের পূর্বে নোটিশ প্রদান করা হয়। তারপর ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময় দিয়ে আইনগত ব্যবস্থাা নেওয়ার নোটিশ দেয়া হয়। এরপরও ঋণ পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অর্থবছর সরকারি ছয় ব্যাংক ৮ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বিতরণের হার দাঁড়িয়েছে ১০৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত অর্থবছর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। তিন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং জিএমসহ ৫ হাজার ২৭০টি পদ খালি রেখে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিশেষায়িত এই ব্যাংকটি। তারপরও যথাসাধ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
মমিনুল
ইসলাম মোল্লা
