কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালগুলোতে করোনা প্রতিরোধে নেই বিশেষ কোন সাবধানতা। যাত্রী, চালক, হেল্পার, সবাই নিজেদের খেয়াল খুশিমত চলাফেরা করছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণপরিবহনের ব্যবহারে সতর্কতা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থাকলেও কেউ তা মানছে না।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট, প্রান্তিক, নিউ জনতা, সুগন্ধা, বি-আরটিসি, নিউ শাপলা, টিপু, ফারজানাসহ অধিকাংশ কাউন্টার রাস্তার উপর হওয়ায় কোনটারই সৌচাগার ও হাত ধোয়ার জায়গা নেই। এদিকে তিশা ক্লাসিক ও তিশার ভিআইপি কাউন্টারে সৌচাগার আছে কিন্তু জীবণুনাশক বা হাত ধোয়ার সাবান অথবা স্যানিটাইজার নাই।এছাড়াও চালক, হেল্পার, যাত্রী ও কাউন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো মানছেন না। যেমন- যাত্রীরা পরিবহনে উঠার পূর্বে ও পরে জীবাণুনাশক সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, গ্লাভস ও মাস্ক পরা। চালক ও হেল্পাররা গাড়ি ছাড়ার পূর্বে ও পরে জীবাণুনাশক সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করা, যাত্রীকে স্পর্শ না করা।এছাড়াও মালিকদের করনীয়, নিয়মিত চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, প্রতিটি ট্রিপের শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে বাস, টেম্পু, লেগুনার সিট, হাতল, জানালার পাশ ভালভাবে পরিষ্কার করা।কোম্পানীগঞ্জ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বাস টার্মিনালটা ঠিক করে গাড়ি রাখার উপযুক্ত পরিবেশ করলে যাত্রীদের জন্য প্রতিটি কাউন্টারে ওয়াশ রুম করা সম্ভব হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গণপরিবহন এলাকাগুলো চলার নিয়ম ও নির্দেশনা দেওয়া আছে। না মানলে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেয়ার করুন

