কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতি ও মাধ্যমিক শিকআর আধুনিকায়ন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে এ পর্যন্ত বহু গবেষনা এবং বহুবিধ প্রকল্প বা কমিশন গঠন করা হয়েছে।কোন কোন প্রকল্প আলোর মুখ দেখলেও অধিকাংশ পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়েছে। মাধ্যমিক শিকআর উন্নয়নে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ২০১০ সালে শুধু মাত্র বাংলা ১ম পত্র ও ধর্ম বিষয়ে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য পাঠ্য পুস্তকের কোন পরিবর্তন হবে না।
প্রচলিত পরীক্ষার ব্যবহৃত ৮০ শতাংশ প্রশ্ন স্মৃতি নির্ভর (মুখস্ত নির্ভর)। তাই শিক্ষার্থীদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে পরীক্ষায় পাশ করেও অনেক শিক্ষার্থী প্রকৃত জ্ঞান লাভের অধিকারী হয় না। এছাড়া বিষয় নির্বাচনের দ্বারা পরীক্ষার ফলাফল প্রভাবিত হচ্ছে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি প্রশ্নে চারটি দক্ষতার মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে জ্ঞানের স্তর যাচাই একটি এর অর্থ হচ্ছে
পূর্বে জানা শোনা কিছু স্বরন করা। দ্বিতীয় হচ্ছে অনুধাবন দক্ষতা অর্থ্যাৎ বিষয়ের অর্থ বোজার ক্ষমতা। তৃতীয় স্তরে থাকছে প্রয়োগ দক্ষতা - প্রয়োগ বলতে বোঝায় পূর্বের অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবনকে নতুন পরিস্থিতে কিংবা অপরিচিত পরিস্থিতে ব্যবহার করা দক্ষতা। সর্বশেষে রয়েছে উচ্চতর চিন্তন দক্ষতা। উচ্চতর দক্ষত বলতে কোন বিষয় বস্তুর বিশ্লেষন (বিশেষ থেকে সাধারন) ও সংশ্লেষন (সাধারন থেকে বিশেষ) এবং বিচার বিবেচনা করার দক্ষতা। ইংরেজী ১ম, ইংরেজী ২য় এবং বাংলা ২য় সহ কিছু কিছু বিষয় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের আওতায় আনা হয়নি। এতদিন বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ৫০ এবং রচনামূলক প্রশ্নে ৫০ নম্বর ছিল। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলা ১ম পত্র, সাধারন গণিত, ধর্মীয় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, পৌরনীতি, ব্যবসায় পরিচিতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যেগ ও বণিজ্যিক ভূগোল বিষয়ে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নে ৬০ নম্বর ও বহু নির্বাচনী প্রশ্নে ৪০ নম্বর থাকবে। এছাড়া পদার্থ, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞানে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন থাকবে ৪০ নম্বর, বহুনির্বাচনী ৩৫ এবং ব্যবহারিক হবে ২৫ নম্বর। কম্পিউটার শিক্ষায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ৪০, বহু নর্বিাচনী ৩০ এবং ব্যবহারিক ৩০ নম্বর এবং গার্হস্থ অর্থনীতি ও কৃষি শিক্ষা বিষয়ে কাঠামো বদ্ধ প্রশ্ন ৪০, বহু নির্বাচনী প্রশ্নে ২৫ এবং ব্যবহারিক ৩০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের চারটি অংশের সবগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। অংশগুলো ক,খ,গ এবং ঘ আকারে থাকবে। (ক) অংশের জন্য ১ নম্বর, (খ) অংশের জন্য ২ নম্বর, (গ) অংশের জন্য ৩ নম্বর, (ঘ) অংশের জন্য ৪ নম্বর। সাধারন গণিত , উচ্চতর গণিত এবং হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নে ৩টি অংশ থাকবে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের বা অংশে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের মত হবে। প্রশ্নের শেষে কে, কি, কখন, কোথায়, কি বোঝে, কাকে বলে ? ইত্যাদি প্রশ্নবোধক শব্দ থাকবে। দ্বিতীয় অংশে কি বোঝায় ? বিষয়টি ব্যাখ্যা কর, অথবা বর্ণনা কর ইত্যাদি প্রশ্নবোধক শব্দ থাকবে। তৃতীয় অংশে ( দৃশ্যকল্পের ব্যক্তি)
