দেবিদ্ধারের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম


স্মরণঃ দেবিদ্ধারের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম

দেবিদ্ধারের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিমখানের  বাড়ি দেবিদ্বারের বারুর  বামে। তার পিতা  মৃত সুন্দর আলী খাঁন। ৪০ বছর বয়সে তিনি জীবন ৰাজী রেখে দেশকে হানাদারমুক্ত করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তিনি আখাউড়ার মনতলী ক্যাম্পে ২১ দিন প্রশিক্ষণ নেন। শহিদ আবদুল হালিমের নিকট সশস্ত্র | প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন
এপ্রিল ১৯৭১ প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে

আখাউড়া চেকপোস্টে এবং পরে মনতলীতে যুদ্ধ করেন। মনতলী থেকে দেবগ্রাম আখাউড়া পর্যন্ত তিনি ২নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফের অধীনে যুদ্ধ করেন। শহীদ হাবিলদার আবদুল হালিম ছিলেন স্থানীয় কমান্ডার শহীদ হালিমের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলীম বল্লেন। সে দিনের কথা। যুদ্ধ প্রায় শেষ, তারিখটা ডিসেম্বরের ১৪/১৫ এর দিকে। হাবিলদার আবদুল হালিমের নেতৃত্বে সন্ধ্যার পর দেবগ্রাম থেকে আখাউড়ার দিকে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য আখাউড়াকে দখলমুক্ত করা। হঠাৎ করেই ইপিআর ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ শুরু হলো। /৩শ মুক্তিযোদ্ধা সহস্রাধিক পাকিস্তানী সৈন্যকে সাহসের সাথে মোকাবেলা করলেন।
মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তি যাচাই বাছাই তালিকায় তার আবেদন নং ১৪ তারিখ জানুয়ারী২০০৪ ।। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এখনও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলীম খান মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার নিশ্চয়তা পাননি। এব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বল্লেন এক জন মুক্তিযোদ্ধার নামও যদি নতুন করে তালিকাভূক্ত হয় তাহলে তিনি হবে আলিম খান
| কিন্তু কবে হবে সেই গেজেট ? মৃত্যুর পূর্বে কি তিনি ভাতা পাবেন ? প্রশ্ন আবদুল আলীমের জীবিত থাকাকালীন সময়ে ভাত না দিয়ে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনকে তিনি প্রহসন মনে করেন তিনি চোখে কম দেখেন, জীর্ণ শীর্ণ দেহে কোন কাজ করতে পারেন না। ৮টি ছেলে মেয়ে নিয়ে | বিপদে আছেন, তাই অতি সত্ত্বর ভাতার ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আবেদন জানাচ্ছেন।
মমিনুল ইলাম মোল্লা প্রকাশিত সাপ্তাহিক অঅমোদ 22/02/2007 ( নিউজ আর্কাইভ থেকে )





শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.