স্যার কে জি এম ফারুকী ওরফে শোভা মিয়া দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৪ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি তার কলকাতাস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। আমরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বর্তমান ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৮৯০ সালে তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রিয়াজ উদ্দিন মাহমুদ ফারুকী। তিনি ছিলেন সাবরেজিস্টার। বাড়িতে থাকা গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে তার লেখাপড়ায় হাতে খড়ি হয়। এছাড়া ৩ জন ইংরেজ শিক্ষকের নিকট তিনি লেখাপড়া শিখেন। তিনি ঢাকা কলেজে ্আইএ ও বিএতে অধ্যয়ন করেন। এভাবেই তাঁর শিক্ষা জীবন সমাপ্ত হয়।শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার কমিশনার হন। তারপর ১৯২৬-২৯ সাল পর্যন্ত তিনি ত্রিপুরা জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের আস্থা অর্জণ করতে সক্ষম হন। বাংলার স্বায়ত্বশাসন, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, সমবায়, ও জনকার্যক্রমের মন্ত্রী হন ১৯২৯-১৯৩৭ সাল পর্যন্ত। এসময় তিনি সমবায় ও শিল্প ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে সারাজীবন মুসলিমলীগপন্থী ছিলেন। ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মিস্টার কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কুমিল্লায় এসে তাঁর আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। ফারুকী ছিলেন নিঃসন্তান। তিনি ১৯১৮ সালে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট স্কুল তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তিনি তার সন্তানের মতো দেখতেন। কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯২২ সালে খানবাহাদুর, ১৯৩৪ সালে নওয়াব, ও ১৯৩৬ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক , (দৃষ্টান্ত ডট কম), কুমিল্লা
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.