দেড়শ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে কুমিল্লার মুরাদনগর ডি আর সরকারি হাই স্কুল

দেড়শ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে কুমিল্লার মুরাদনগর ডি আর সরকারি হাই স্কুল

মমিনুল ইসলাম মোল্লা

একজন শিক্ষিত ব্যক্তি জ্ঞানের মশাল। আর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুর্যের সমত‚ল্য। যার আলোতে অজ্ঞতা দূর হয়ে গড়ে উঠতে পারে সুশীল সমাজ। কুমিল্লার মুরাদনগরে আজ থেকে দেড়শ বছর অবহেলিত জনপদে প্রদ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন বিশিষ্ট জমিদার শ্রী দুর্গারাম লোধ। তিনি ১৮৬০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মুরাদনগর ডি আর হাই স্কুল। ১ জুলাই ১৯৮৭ এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্তভর্‚ক্তহয়।  এ বিদ্যালয়ে উন্নত পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করা হয়। সূত্র জানায়, এ বিদ্যালয়ে ৩ একর ৮৭ শতক যায়গা, ৬টি ভবন, এবং ২৯টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, টিচার্স স্টাফ রুম, বিজ্ঞানাগার, অফিস ও কম্পিউটারের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। মুরাদনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টির নাম শ্রী দূর্গরামের নামে  রাখা হয় -ডি আর হাই স্কুল। শ্রী দূর্গারাম ছিলেন মুরাদনগরের মধ্যনগরের জমিদার। তার বংশধরগন এখনও মুরাদনগরে ঐতিহ্যের সাথে বসবাস করছেন। বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার উন্নয়নে তারা এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছেন।

ক্রিড়া শিক্ষকের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা, খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা করা হয়। প্রতি বছর উপজেলার অভ্যন্তরিণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা জেলা পর্যায়ে উনীœত হয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি উজ্জল করে। খেলাধুলা ছাড়াও এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা করে। প্রধান শিক্ষকসহ এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন।  তাদের  মধ্যে ১০ জনই মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ। এ বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু কৈলাশ চন্দ্র। শ্রী ফটিক চন্দ্র গাঙ্গুলি ১৯২০-১৯৪৯ সন পর্যন্ত এ উচ্চ বিদ্যালয়ের সুদক্ষ প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষকের তত্তাবধানে বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত ক্লাশের পাশাপশি বিকল্প ক্লাশ ও কোচিং ক্লাশ করানো হয়। জে এসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা বরাবরাই ভাল ফলাফর লাভ করছে। ৮ম শ্রেণির ছাত্রদের  মধ্যে ২০০৬ সালে ৮ জন, ২০০৭ সালে ৪ জন, ২০০৮ সালে ১৩ জন ছাত্র বৃত্তি পেয়েছে। বিদ্যালয়টির নিবেদিত প্রান শিক্ষক ছিলেন বদির উদ্দিন মাষ্টার। তিনি ২০০১ সারে মারা যান।মুরাদনগর ডি আর উচ্চ কিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন “রংধনু” বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করছে।   লেখক: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক, সাংবাদিক ও লেখক, কুমিল্লা। 




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.