প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ ও এর আশেপাশের ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। ধীরে ধীরে নখ ভাঙ্গার প্রবণতা কমে যাবে এবং নখ হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।
আয়রনের ভালো উৎস
আয়রনের অভাব দেখা দিলে আমাদের দেহাবস্থিত টিস্যুগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আয়রন শরীরে শক্তি উৎপাদনের এক দারুণ উৎস। আয়রনের ঘাটতি দূর করতে প্রতিদিন কালো জলপাই খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন রয়েছে। সর্বোপরি শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিমিত পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
অলিভ অয়েল বাথ
এক বালতি পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোসল করুন। অথবা, গোসলের আগে অলিভ অয়েল দিয়ে পুরো শরীর ম্যাসাজ করে নিলে ভাল ফলাফল পাবেন।
মেক-আপ রিম্যুভার
বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের মেইকাপ তোলার জন্যও সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অলিভ অয়েল। চোখের পাপড়িতে লাগানো মাশকারা ওঠাতে কিংবা চোখের নিচের কালো দাগ এবং রিঙ্কল দূর করতেও এটি ভালো কাজ করে। অলিভ অয়েল চোখের চারপাশের কুঁচকে থাকা ত্বককে হাইড্রেট করে আরো নরম করে তোলে। আর ত্বকের মেকআপ তুলতে আঙ্গুলের ডগায় অথবা কটন প্যাডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর সার্কুলার মোশনে আস্তে আস্তে সমস্ত মেক-আপ তুলে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে আপনার মেক-আপ তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
অলিভ অয়েল মুখে দিলে কি হয়
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্টস্ রয়েছে যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই বাইরে বেরোনোর আগে মুখে খানিকটা অলিভ অয়েল মেখে নিন।
তাছাড়া অলিভ অয়েল ব্রণ প্রতিরোধকও বটে। মুখে ব্যবহারের জন্য ৪ টেবিল চামচ লবণের সাথে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই পেস্ট ২ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। নিয়মমতো এক সপ্তাহ এই পেস্ট ম্যাসাজ করলে আপনি অবশ্যই মুখের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
এমনকি, অন্য যেকোনো তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল খুবই হাল্কা বিধায় এটি খুব সহজেই মুখের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সেজন্য ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে একটি সলিউশন তৈরি করুন, যা রাতে ঘুমানোর সময় নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল স্কিনকে নরম করে তোলে, এবং ভিনেগার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ত্বকের সুরক্ষা প্রদান করে।
চুলে অলিভ অয়েলের উপকারিতা
আপনার চুলের সুরক্ষায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ ওয়েল ময়েশ্চরাইজার হিসেবে চমকপ্রদ ফল দেয়।
অলিভ বা জলপাইয়ের তেল চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল নিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল কোমল ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। চায়ের লিকার, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিয়েও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটা হেয়ার ট্রিটমেন্টের কাজ করে।