মুক্তিযুদ্ধে মুরাদনগরঃবধ্যভুমি ও গণকবর
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠন:
পাকবাহিনী জানঘরের মুক্তিযোদ্ধা চারু মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। চাপিতলায় ২ শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কামাল্লা বাজারের দক্ষিণের হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। মুরাদনগর সদরের কৃষ্ণনাথের বাড়িতে আগুন লাগায়। কোম্পানীগঞ্জ নিকটে নগরপাড়ের রায় বাড়িতে, রায়তলার গনি সুবেদার বাড়ি, পালাসুতার মতিন কমান্ডারের বাড়িতে পাক সেনারা অগ্নিসংযোগ করে।
পাকবাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র: কোম্পানীগঞ্জের গোমতী নদীর দক্ষিণ পাশে ভিংলাবাড়ি গ্রামে পাক বাহিনীর টর্চার সেল ছিল। এছাড়া চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ গ্রামবাসীকে নির্যাতন করা হতো।
বধ্যভূমি ও গন কবর: উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হত্যাকান্ড ঘটে চাপিতলা ও রামচন্দ্রপুরের নিকটবর্তী বাখরাবাদ গ্রামে। তবে তাদেরকে একত্রে কবর দেয়া হয়নি। অধিকাংশ শহীদদেরকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে খামারগ্রামে ৩জন মুক্তিযোদ্ধার কবর একসাথে রয়েছে। এর মধ্যে ২ টি পাকা কবর। এরা হচ্ছেন বলিঘরের আবুল বাশার ও পুস্কুনীরপাড়ের রমিজ উদ্দিন। এছাড়া দরানীপাড়া ৬ জনকে পাশাপশি বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক: যুদ্ধকালীন সময়ে মুরাদনগর থানা কমান্ডার ছিলেন কামরুল হাছান ( বাবুটিপাড়া)। সহকারী কমান্ডার গিয়াস উদ্দীন, (সিদ্ধেশ্বরী ), প্লাটুন কমান্ডার রওশন আলী । সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশারফ । তৎকালীন এম এন এ আলাহাজ্ব আবুল হাশেম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন।
উপজেলায় স্বাধীনতা বিরোধী দল বা সংগঠন: জামায়াতে ইসলামী: মুসলীম লীগ কাইযুম,মুসলীম লীগ কাউন্সিল।