মুক্তিযুদ্ধে মুরাদনগরঃ সম্মুখ যুদ্ধ ও বীরসেনাদের কথা
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
পাক-বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রণীত “মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাস” নামক গ্রন্থে উল্লেখ করা হয় ৭ও৮ নভেম্বর চাপিতলার যুদ্ধ সংগঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ থেকে ৩ মাইল দূরে চাপিতলা গ্রাম। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কোম্পানীগঞ্জ থেকে নবীনগর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইট বিছিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে নিচ্ছিল। মুক্তিবাহিনী এ কাজে বাঁধা দেয়ার পরিকল্পনা করে। আর এ পরিকল্পনা করেন ক্যাপ্টেন হায়দার। ভারতের মেলাঘর ক্যাম্পের অনুমোদন সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাছান ১ কম্পানী যোদ্ধা নিয়ে তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চিন্তা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক চাপিতলায় ১ ব্যাটেলিয়ন সৈন্য আরশি নদীর উত্তরে তীরে অবস্থান নেয়। এ সময় পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিল চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল খামারগ্রাম মাদ্রাসায়। ৭ও৮ নভেম্বর,যুদ্ধ হয়। এত ৪৮ জন গ্রামবাসী ও ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ ৫১ জন শহীদ হন। এছাড়া ২১ জন নারী নির্যাতিত হয়, অগ্নিসংযোগ করা হয় ২০৬ টি বাড়িতে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও পরিচয় :