মিডিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মিডিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সত্য ও সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতায় আসতে হবে

সত্য ও সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতায় আসতে হবে

 

সত্য ও সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতায় আসতে হবে

সত্য ও সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতায় আসাতে হবে। ‘মফস্বল সাংবাদিকদের দায়িত্ব-করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি সভায় এ আহবান জানান অনুষ্ঠানের আলোচক ও অতিথরা।
শুক্রবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অতিন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে দিন ব্যাপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও উপ-সচিব ড. মোঃ সফিকুল ইসলাম।

মাছরাঙা টেলিভিশনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রিয় পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর গনি।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের হালিম সৈকত এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি ও ছাড়াকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, অধিকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মানবাধিকার কর্মী আলী আকবর মাসুম, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক মাসুদুল ইসলাম মজুমদার, রিপোর্টার্স ইউনিটি কুমিল্লা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরটিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক আবুল খায়ের।

করোনাকালে নিহত সাংবাদিক দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার চীপ রিপোর্টার হুমায়ুন কবীর খোকনসহ প্রয়াত অন্যান্য সাংবাদিকদের স্মরণে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও প্রভাষক মমিনুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনটিভি ও আমাদের নতুন সময়ের কাজি রাশেদ, দৈনিক সমাচার পত্রিকার শাহেদুল আলম শাহেদ, আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার আব্দুল আউয়াল সরকার, শিক্ষক ও সাংবাদিক শাহনুর আলম খান, বাংলাদেশ বুলেটিন ও কুমিল্লার কাগজের ইসমাইল নয়ন, যুগান্তরের সৌরভ মাহমুদ হারুন, দৈনিক মানবজমিন মুরাদনগর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক মানবজমিন এর মেঘনা প্রতিনিধি মোঃ শহীদুজ্জামান রনি প্রমূখ।
আলোচনা সভায় সাংবাদিকের দায়িত্ব, কর্তব্য, মর্যাদাবোধ, কাজের পরিধি, সীমানা এমনকি এই গুরুত্বপূর্ণ পেশার ঝুঁকি, সামাজিক বাস্তবতার নানান দিক উঠে আসে। আলোচকগণ বলেন, সাংবাদিকদের কাজের মাধ্যম এখন শুধু সংবাদপত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, বর্তমানে তা টেলিভিশন ও অনলাইনে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থেকে সত্য ও সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতায় আসতে হবে। তারা বলেন, সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে সত্য উদ্ঘাটন ও সত্যের বিকাশ ঘটানো। একজন সাংবাদিককে আত্মসচেতনতার মাধ্যমে পেশার দায়িত্ব ও নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের সেবা নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে সময়ের সাহসী সন্তান সাংবাদিকরা তাদের ওপর অর্পিত গুরুদায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের সেবা অব্যাহত রাখার আহবান জানান, অনুষ্ঠানের উদ্বোধক, প্রধান অতিথিসহ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ।

শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কুমিল্লা জেলা শাখা, বিভিন্ন উপজেলা শাখার সদস্যগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন, চলন পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কাশেম, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর রিয়াজ উদ্দিন রানা, দৈনিক মানবকন্ঠের তরিকুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এন.এ.মুরাদ, দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সফিকুল ইসলাম, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার নাজমুল হোসেন, দৈনিক আমাদের সময়ের হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ রাজিব আহমেদ, দৈনিক সমাজকন্ঠের মোঃ ওবায়দুল্লাহ, দৈনিক ভোরের সূর্যোদয়ের মোঃ জুমান আলী, দৈনিক দেশসেবার সম্পাদক এইচএম ওবায়দুল হক, দৈনিক দেশ রূপান্তরের মনোয়ার হোসেন, মাইটিভির সাবেক প্রতিনিধি ডা. মোঃ এনামুল হক, দৈনিক রূপসী বাংলার মাসুদ রানা, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির ফয়েজ আহাম্মদ, দৈনিক সময়ের বাংলাদেশের আজগর হোসেন শাহিন, দৈনিক আলোকিত সকালের জায়ফুল্লাহ খন্দকার, কুমিল্লা টাইমস এর পাপিয়া সরকার, দৈনিক বর্তমান কথা’র কামাল হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সাদ্দাম হোসেন, দৈনিক বাংলার আলোড়নের এস.এ.ডিউক ভূইয়া, দৈনিক দিনকালের আঃ মান্নান, দৈনিক কুমিল্লার কাগজের জহিরুল ইসলাম মাহির, দৈনিক ভোরের সময়ের সাকিব হোসাইন, দৈনিক সমাচার পত্রিকার হেলাল সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর নুরুন্নবী চৌধুরী জুয়েল, দৈনিক পেনব্রিজ পত্রিকার এমরান হোসেন রিটন, দৈনিক কালজয়ীর মোঃ দেলোয়ার হোসেন, দৈনিক সংগ্রামের মোঃ আবু ইউসূফ, সাপ্তাহিক নবজাগরণ এর রুহুল আমিন, দৈনিক বজ্রশক্তির সাইদুজ্জামান ভূইয়া, দৈনিক গণমুক্তির আলমগীর হোসেন এবং দৈনিক কালজয়ীর জাফর ইকবাল প্রমূখ।

অনুষ্ঠান শেষে মাছরাঙা টেলিভিশনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুলকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও ভোরের কাগজের হালিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রিয় পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর গনি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অচীরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন তিনি।

কুমিল্লা শহরের ধর্মসাগরপাড়ের নন্দী পরিবার

কুমিল্লা শহরের ধর্মসাগরপাড়ের নন্দী পরিবার

 মামুন সিদ্দিকী

কুমিল্লা শহরের ধর্মসাগরপাড়ের নন্দী পরিবার। বিশিষ্ট রাজনীতিক ও অাইনজীবী রজনীনাথ নন্দী বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ত্রিপুরা শাখা প্রভৃতির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন সক্রিয়ভাবে। সিংহ পরিবার ('ত্রিপুরা হিতৈষী' পত্রিকার সম্পাদক গুরুদয়াল সিংহ), দত্ত পরিবার (শিক্ষাবিদ দ্বিজদাস দত্ত, তাঁর পুত্র বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত) ও নন্দী পরিবার ব্রাহ্মসমাজের সূত্রে ছিল অভিন্ন বাঁধনে।

আরো পড়ুনঃঘুরে দেখুনঃ রাজা প্রতাপাদিত্যের সাতক্ষীরা

রজনীনাথ নন্দীর সন্তান রজতনাথ নন্দী (১৯০১-১৯৭৫) ছিলেন কুমিল্লায় নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক। তাঁর সাংবাদিক জীবনের অনেক গল্প ছড়িয়ে আছে। তাঁর বড়ো ভাই অজিতনাথ নন্দী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। তাদের ভাইবোনেরা সবাই ছিলেন অকৃতদার।

শিক্ষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় এ পরিবারটির সুখ্যাতি ছিল সত্তর দশক পর্যন্ত। এর পূর্বাপর সময়ে পরিবারটি পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়। ২০১০ সালে একান্ত ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক ইতিহাসের দায় থেকে গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছিলাম। নন্দী পরিবারের কেউ জানে না এই বইয়ের খবর। এই বইয়ে যথাসাধ্যভাবে ধরা অাছে বিশ শতক জুড়ে একটি পরিবারের দুই পুরুষের মহত্তম অর্জন ও অবদান। কিন্তু এ বই বিদ্বৎসমাজে বিশেষ মনোযোগ পায়নি। এ নিয়ে কোনো আলোচনাও বের হয়নি পত্র-পত্রিকায়। সাংবাদিকতায় অনেকেই তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন। চর্বিতচর্বন, মায়াকান্না ও অাত্মসর্বস্বতার যুগে এখন কে অার এসব মনে রাখে! দরকার কী পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটার! 'তাই রে নাই রে না'!

সাংবাদিকতা-সাংবাদিক আর রাজি //বই পরিচিতি

সাংবাদিকতা-সাংবাদিক আর রাজি //বই পরিচিতি

 সাংবাদিক আর রাজি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।

সাংবাদিকতা-সাংবাদিক আর রাজি //বই পরিচিতি
তিনি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এ নবিশ প্রতিবেদক হিসেবে আর রাজীর সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর কাজ করেছেন দৈনিক প্রথম আলাে, আজকের কাগজ, যায়যায়দিন প্রতিদিন, আমাদের সময় ইত্যাদি


কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

 


কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা ০৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।

নজরদারিতে অনলাইন পোর্টাল

নজরদারিতে অনলাইন পোর্টাল

 

সংবাদ ডেস্ক

দ্রুত, সঠিক নির্ভুল সংবাদ প্রচার করায় অনলাইন নিউজ পত্রিকাগুলো (পোর্টাল) দেশে আজ বেশ জনপ্রিয় অধিকাংশ অনলাইন গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করলেও বেশ কিছু অনলাইন তা করছে না এতে অনেক সময় সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে তাই অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে সরকার

 

নিবন্ধন পেতে অন্তত চারটি যোগ্যতা (বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, অফিসসহ চাহিদা মাফিক জনবল, নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ, আবেদনকারীর কর শনাক্ত নম্বর টিআইএন) থাকতে হবে একটি প্রতিষ্ঠানকে তার ভিত্তিতেই নিবন্ধন দেওয়া হবে কার্যক্রম খুব সহসাই শুরু হবে বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র

 

 

সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে দেশের মানুষ ক্রমেই দেশে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছে ফুটপাতের দোকানদার থেকে কোটিপতি সবার হাতেই ইন্টারনেট ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচানী ইশতেহার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা আর বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলছে পাশাপাশি অনলাইন গণমাধ্যমগুলো বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে যে কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে নিমেষেই

 

অনলাইন গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের  জন্য  মনিটরিং জন্য অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে বর্তমানের একটি দৈনিক পত্রিকা বের করতে নামের ক্লিয়ারেন্সসহ অনুমতি নিতে হয় ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন দেওয়া হবে

 

অনলাইন নিবন্ধনের জন্য প্রায় আট হাজার আবেদন করা হয়েছে এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিন হাজার ৫৯৭টি আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেগুলো সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ইনভেস্টিগেশন করতে পাঠানো হয় তারা ইতোমেধ্যে কয়েকশঅনলাইনের তদন্তকাজ শেষ করে পাঠিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয় এগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবে

 

 

 

 

দেখা গেছে ঘরে বসে কয়েকজন মিলে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করে দেয় তবে এখন আর এসব নাম সর্বস্ব অনলাইন পত্রিকা করতে দেওয়া হবে না পাশাপাশি যারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে না, এসব ভুয়া পোর্টালের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে সরকার

 

 

নিবন্ধনের পর থেকে এভাবে আর অনলাইন পত্রিকা চালানো যাবে না অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে সে আলোকেই তাদের চলতে হবে নিবন্ধন পাওয়ার পর বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে

 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘একটি দৈনিক পত্রিকাকে যেভাবে অনুমোদন নিতে হয়, সেই আদলেই অনলাইন পোর্টাল পত্রিকাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে ইতোমধ্যে সরকারের কয়েকটি সংস্থার তদন্ত শেষে বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালের সার্বিক তথ্য এসেছে এগুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে অধিকাংশ অনলাইন মনিটরিং করা হচ্ছে যেসব অনলআইনগুলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে এবং অফিস, পর্যাপ্ত সংবাদকর্মী আছে তাদের নিবন্ধন প্রথমে দেওয়া হবে

 

 

 

তিনি বলেন, ‘‘আবেদনের মধ্যে এমন অনেক পোর্টাল আছে, যেসব পোর্টাল যারা চালাচ্ছেন তাদের সাংবাদিকতাসহ অন্য কোনো পেশায় কাজ করার যোগ্যতা নেই তারা অনলাইন খুলে বসে কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে নিজেদের তাদের মতো কয়েক জনের জন্য বৃহত্তর সাংবাদিক পরিবারের বদনাম হয়

 

এটি যাতে না হয় সেজন্য অনলাইন নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে নিবন্ধন দেওয়ার পর যেসব গুজব কিংবা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ এগুলোর ডোমেইন বন্ধ করে দেওয়া হবে

 

তথ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে ১১ বছর আগে পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৭৫০টি, এখন এক হাজার ৩০০ এর বেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ছিল ১০টি এখন ৩৪টি সম্প্রচারে আছে এবং ৪৫টির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আমাদের দেশে ১১ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল এখন কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকা রয়েছে

 

 

 

অনলাইন পত্রিকাকে স্বীকৃতিসহ মনিটরিং করতে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে কেননা অনলাইন পরিচালনার জন্য নিবন্ধন নিতে হচ্ছে না তাই যে কেউ একটি ডোমেইন কিনে অনলাইন পত্রিকা খুলছে

 

তিনি বলেন, ‘দেশে নয় কোটির বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজবও ছড়ানো হচ্ছে এটিকে শৃঙ্খলায় আনার জন্য নিবন্ধন দেওয়া হবে

 

তথ্যমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সহসাই অনলাইন সংবাদ পোর্টালের নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশন) হবে আর যেসমস্ত অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে না, হীন উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আর যেসমস্ত অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে, গণমাধ্যম জগতে সত্যিকার ভূমিকা রাখছে, তারা রেজিস্ট্রেশন পাবে সহসাই এসব অনলাইনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করব