![]() |
| ধান সংগ্রহে চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লাতে শীর্ষে |
ধান সংগ্রহে চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লাতে শীর্ষে
লটারিতে খুললো
কৃষকের ভাগ্য– নতুন নিয়মে কুমিল্লায় সরকারিভাবে কৃষকদের থেকে আমন ধান সংগ্রহ চলছে।
প্রতি কেজি ২৬ টাকায় ১২ হাজার ৯৮৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। এ বছর জেলার
১৩টি উপজেলায় লটারির মাধ্যমে ১১ হাজার ২৩২ জন কার্ডধারী কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন।
লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ায় অনেকটা ভাগ্য খুলেছে তাদের।
নিচু এলাকার
কারণে আমন ধান উৎপাদন কম হওয়ায় জেলার মেঘনা, হোমনা, মনোহরগঞ্জ ও তিতাস উপজেলার ধান
সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়নি। গত ২০ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহের কথা
থাকলেও কুমিল্লায় আমন ধানের ফসল দেরিতে আসায় ধান সংগ্রহ দেরিতে শুরু হয়।
সাম্প্রতি দেশে শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
থাকায় ধানের আদ্রতা কমাতে ধান শুকাতে পারেননি কৃষকরা। এই কারণে তারা যথাসময়ে ধান
গুদামে সরবরাহ করতে পারেননি। এ সব তথ্য জানিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য
নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্র লাল চাকমা।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদের নাম নিবন্ধন করা
অর্থাৎ কার্ডধারী কৃষকদের লটারির মাধ্যমে ধান বিক্রেতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইউএনও’র সভাপতিত্বে এ কমিটি লটারি কাজের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জেলার ধান সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত ১৩টি উপজেলার মধ্যে সদর
দক্ষিণ উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্য থেকে ধান বিক্রেতা নির্ধারণ করা হয়।
প্রত্যেক ধান সরবরাহকারী কৃষক গুদামে ধান বুঝিয়ে দেয়ার পর চেকের মাধ্যমে ব্যাংক
থেকে ধানের মূল্য তুলে নেবেন।
উপজেলাভিত্তিক ধান বিক্রেতা কৃষক সংখ্যা ও বিক্রির জন্য ধান
সংগ্রহের পরিমাণ হচ্ছে, আদর্শ সদর কৃষক ৬৪৯ জন এবং ধান ৬৬১ মেট্রিক টন। সদর
দক্ষিণে কৃষক ৬৫০ জন এবং ধান ৯৮৬ মেট্রিক টন। বুড়িচংয়ে কৃষক এক হাজার ৭৮৫ জন এবং
এক হাজার ৮৪ মেট্রিক টন। বরুড়ায় কৃষক এক হাজার ৩৯৪ জন এবং ধান এক হাজার ৩৯৪
মেট্রিক টন। চান্দিনায় কৃষক ৭৯৫ জন এবং ৮৯৩ মেট্রিক টন। দাউদকান্দিতে কৃষক ৩২ জন
এবং ধান ৩২ মেট্রিক টন। মুরাদনগরে কৃষক ৩৫৪ জন এবং ধান ৭২৫ মেট্রিক টন। দেবিদ্বারে
কৃষক ৪২০ জন এবং ধান এক হাজার ২৯২ মেট্রিক টন। ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষক ৫০৮ জন এবং ধান
৬৮৩ মেট্রিক টন। চৌদ্দগ্রামে কৃষক এক হাজার ৯২৪ জন এবং ধান এক হাজার ৯২৪ মেট্রিক
টন। লাকসামে কৃষক ৪৯৮ জন এবং ধান ৪৯৮ মেট্রিক টন। লালমাইয়ে কৃষক ৮ শ’ জন এবং ধান ৮
শ’ মেট্রিক টন এবং নাঙ্গলকোটে কৃষক এক হাজার ৪২৩ জন এবং ধান এক হাজার ৯১৪ মেট্রিক
টন।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য
নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্র লাল চাকমা বলেন, ধান দেরিতে আসা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার
কারণে ধান সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ৬শ’
মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ধান আমরা অবশ্যই সংগ্রহ
করতে পারবো। ধান সংগ্রহে নতুন নিয়মের কারণে কোনো রকম দুর্নীতি হবেনা। নতুন
ব্যবস্থায় কৃষকরা সন্তুষ্ট। ধান সংগ্রহে অতীতের দুর্নাম আমরা ঘোচাতে পারবো। নতুন
নিয়মে কৃষক ধানের নায্যমূল্য পেয়ে ধান চাষে আরো আগ্রহী হবেন।মমিন মোল্লা, কুমিল্লা উত্তর।।01711713257
