শাক -সব্জী খান,ক্যান্সার তাড়ান
খাদ্য ক্ষয় পূরণ, দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষুধা নিবারন করে। আমরা অনেকেই গুণাগুণ হিসেব না করেই খাই। যা পাই, তাই খাই। ভাল খাবারও খাই, অপ্রয়োজনীয় খাবারও খাই। ফলে আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। আমরা মিষ্টি ও চর্বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পছন্দ করি। প্রকৃতপক্ষে শাক-সব্জি সবার জন্য উপকারী খাদ্য। অথচ কেউ কেউ বলেন শাক , লতা -পাতার মধ্যে কোন গুন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৫৯ লাখ মানুষ। খোদ বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতি বছর মারা যাচ্ছে দেড় লাখ। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে ২ লাখ।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রিচার্জ ডল ও রিচার্জ পেটো বলেন, শুধু পরিমিত শাক - সব্জি খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার এক তৃতীয়ংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে কমলা, টমাটো, তরমুজ, আঙ্গুর, কাগজী ও বাতাবি লেবু অগ্নাশয়ের ক্যান্সার পেপে, লালশাক পুঁইশাক, কচুশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর বুক, পাকস্থলী ও মলাশায়ের , শিম, মশুর, মটর শুটি শিম, মূত্র গ্রন্থির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে তাই আমরা শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারনের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশি করে শাক -সব্জি খাব।মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
মুরাদনগরের ১১৫ গ্রামে বিদ্যুৎ চাই
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রশংসার দাবীদার তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পুর্ব শর্ত হচ্ছে সারাদেশে বিদ্যুতায়ন। মুরাদনগরের ৩০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র ১৮৫ টি গ্রামে বিদ্যুৎ রয়েছে। বাকী গ্রাম গুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত।
জোট সরকারের আমলে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়ানোর জন্য অথবা ¯্রফে ভোট আদায়ের জন্য মুরাদনগরের কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো ও তার টানা হয়। কিন্তু এ গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে এক বক্তব্যে জনান দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের বসস্থা করা হবে। এজন্যে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গ্রিডে ৭৪১.৫ মেগাওয়াট বিদুৎ যোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং মুরাদনগরের ১১৫ টি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামত বিভাগ
ভেবে চিন্তে বীমা করুন
আজকের সঞ্চয় আগামী দিনের সম্পদ। সঞ্চয় করার জন্য আমরা ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানীর উপর নির্ভরশীল। বীমা কোম্পানীগুলো মৃত্যু ঝুঁকি বহন করে ; তাই আমার বাবা জনাব অহিদুর রহমান একটি লাইফ ইন্সুরেন্সে একটি বীমা করেন। বীমা করার সময় বীমার এজেন্ট বলেন এক লক্ষ টাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫ বছর পরপর বোনান্স পাবেন এবং মেয়াদ শেষে লাভ সহ আসল টাকা ফেরৎ পাবেন। এছাড়া আরো বলা হয় এক কিস্তি জমা দিয়ে মারা গেলেও ১লক্ষ টাকা এবং দুর্ঘটনায় মারা গেলে পাবেন ২লক্ষ টাকা । আমার বাবা স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে এক কিস্তির টাকা দিতে দেরী হয়। পরে লাইফ ইন্সুরেন্সর নিয়ম অনুযায়ী বীমাটি বীমা পত্র নং ০৮২৯৬৭৮-১) সচল করা হয়, এবং সচল হওয়ার কিছু দিন পর তিনি মারা যান। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা; কিন্তু বীমা অফিসে যোগযোগ করলে বলা হয় তিনি মৃত্যুর ৬ মাস পূর্ব থেকে স্বাকাকষ্টে ভুগছিলেন এবং বীমাটি সচল করার মাত্র ১৪ দিন পর মারা যাওয়ায় তিনি কোন টাকা পাবেন না। অবথচ বীমার চুক্তিপত্রে এ ধরণের কোন শর্ত ছিলনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীমা কর্মীর মতে ৯০% বীমা গ্রাহককে কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে বীমার টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়া বীমা করানোর পূর্বে বীমা গ্রাহকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখানো হয়। তাই সুধী পাঠবাদেব নিকট বিনীত অনুরোধ ভেবে চিন্তে বীমা করুন।
মোঃ সাইফুল ইসলামসদস্য,
কনফিডেন্ট (লিসেনার্স )ক্লাব
গ্রাম+ডাকঃ এলাহাবাদ,
দেবিদ্বার, কুমিল্লা -৩৫৩১
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিশ্চিত করুন
গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (৯৬-২০০১) সারা দেশে অসংখ্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর জোট সরকার গুলোরদিকে কোন নজর দেয়নি। ফলে বহু ক্লিনিক অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। জানা যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে আইডিপি’র অর্থায়নে গ্রামীন পর্যায়ে প্রতি ৬ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি স্যাটেলাইট কমিউ ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালের জুলাই মাস থেকে।
এ প্রকেক্টের আওতায় দেবিদ্বারের প্রতিটি ইউনিয়নে বহু ক্লিনিক স্থাপিত হয়। দেবিদ্বারবাসী আশা করেছিল এসব ক্লিনিক থেকে তারা নিয়মিতে সেবা পাবে। কিন্তু দুখজনক হলেও সত্য এগুলো চালু করা হলেও অধিকাংশ ক্লিনিকেই জনগণ পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না। অথচ এগুলো থেকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবাসহ ছোট খাট স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা যেত । আমরা আশা করি সরকার এগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিবে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
ওনারা ও কি ডাক্তার ?
কিছুদিন আগে আমাার ছোট সোনামনিটির ঠান্ডা জনিত সমস্যায় দেবিদ্ধারের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করি। একদিন যাবার পর শারিরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে বাসায় নিয়ে আসি। তবে আরো চারটি এন্টিবায়োটিক ইনজেকশান বাকী থেকে যায়। হাসপাতাল থেকে ফিট কওে দেয়া ক্যানোলাটি আমার সোনামনিটি হাত থেকে ফেলে দিলে ইনজেকশন দিতে সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জে বাজারের পাশে মুরাদনগর রোডে অবস্থিত একজন মেডিকেল এসিষ্ট্যান্টের সুরেণাপন্ন হলে তিনি একজন অভিজ্ঞ পল্লী চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেন। তিনি ও শিরায় ইনজেকশন পুশ করতে সমস্যায় পড়েন। পরবর্তীতে আবার ও ক্লিনিকে গিয়ে ইনজেকশনের কোর্স শেষ করি।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারে চিকিৎসক নামের আর এম পি ডিল্পোমাধারী ও ড্রাগিষ্টক এন্ড ক্যামিষ্ট রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এদের সকলেরই চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান ইনজেকশন পুশ করতে পারেননি। অথচ তারা সকলেই “ডাক্তার” নামে পরিচিত। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যারা একটি ইনজেকশন পুশ করতে পারেন না তারাও কি ডাক্তার। এছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স বাদেও অনেকে ডাক্তারী করছেন। তাদের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মোবাইল ফোনের হেল্প লাইন ফ্রি করা হোক
বাংলাদেশে বর্তমানে যে কয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানী ব্যবসা করছে সেগুলোর মধ্যে গ্রামীণ, একটেল, ওয়ারিদ, বাংলা লিঙ্ক, টেলিটক অন্যতম। প্রতিটি মোবাইল ফোনেরই হেল্প লাইন রয়েছে। কিন্তু হেল্প লাইনের সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা জটিল হওয়ায় অনেকেই হেল্প লাইনের সাহায্য নিতে চাচ্ছেন না। আপনি হয়তো কোন সমস্যায় পড়ে অথবা জরুরী বিষয় জানার জন্য হেল্প পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নাম্বারে ডায়াল করেছেন তখনই ও পাশ থেকে কম্পিউটার বলা হয় এটা জানতে হলে ওটা চাপুন, ওটা জানতেহলে এটা চাপুন ওভাবে এটা ওটা চাপতে চাইতেই হয়তো কয়েক মিনিট চলে গেল। আপনার ব্যালেন্স ও ফুরিয়ে গেল কিন্তু আসল কথাটিই জিজ্ঞেসা করা হলোনা। তার চেয়ে ভাল হতো কল করা মাত্র কম্পিউটারে সেইভ করা বাণী না শুনিয়ে সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেয়া। এছাড়া হেল্প লাইনে কথা বলা ফ্রি করা উচিত নয় কি ?এছাড়া হেল্প রাইনে শুধু নিজেদেে সার্ভিস সংক্রান্ত তথ্য না দিয়ে আগামীকাল হরতাল আছে কি না, হরতারের কারণে পরীক্ষা পেছালো কি না, রাস্তায় যানজট আছে কি না ? ইত্যাদি বিষয়ে ফোন কোম্পানীগুলো মেসেজের মাধ্যমে আগাম তথ্য দিতে পারে। কর্তৃপক্ষ আশাকরি ভেবে দেখবেন।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করুন
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের মানচিত্র ,জাতীয় সাদ্দীত, জাতীয় পতাকা, জাতীয় ফুল, ফল ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়। এগুলোর মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। বিশেষ করে জাতীয় সাদীত ও জাতীয় পতাকার মর্যাদা অপরিসীম। জাতীয় সাঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা যত্র তত্র ব্যবহার করা যায়না। জাতীয় সাঙ্গীত বাজানো হলে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে শ্রদ্মা নিবেদন করতে হয়। জাতীয় পতাকা কখন পূর্ণভাবে কখন অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা যাবে সাইজ কি হবে ? কখন উঠাতে হবে কখন নামতে হবে। এগুলোর নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
দুঃখজনক হলো সত্য জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদা হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইলের রিংটো হিসেবে জাতীংয় সঙ্গীত ব্যবহার করায় এর অমর্যাদা হচ্ছে। তাই মোবাইলে জাতীয় সাঙ্গীত বাজানো নিন করা হোক। জাতীয় পতাকা. মানচিত্র, শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, কাপাড়, রিংবা বেøজারের বোতামে অথবা কোন দলীয় কাজে এ গুলোর অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত।তা না হলে আমাদের জাতীয় বিষয়গুলোর মর্যাদা রক্ষা হবে না। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামতঃ খেলনা পিস্তল নিষিদ্ধ করুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন সময় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলায় শিশুদেও খেলনা পাওয়া যায়। শিশুরা খেলনাা প্রিয়। মেলা থেকে আমরা হাতি, ঘোড়া, বিমান, জাতীয় খেলনার পাশাপাশি খেলনা পিস্তল দিয়ে থাকি। এ ধরনের খেলনা শিশুরা খুব পছন্দ করে। তাই আমরা আমাদের সোনামনিদের হাতে পিস্তল দিয়ে থাকি। আর এ পিস্তল নিয়ে তারা একে ভয় দেখায় ,ওকে ভয় দেখায় ,এভাবে সে মজা পায়।
শিশুরা বড়দের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করে। মুলত মা- বাবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ঘনিষ্ঠ জনদের নিকট সে শিক্ষা লাভ করে। তাই পিস্তল জাতীয় খেলনা দিয়ে শিশুকে ভাল কিছু শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বিভিন্ন যায়গায় ডাকাতির সময় অরিজিনাল পিস্তলের পাশাপাশি খেলনা পিস্তলও ব্যবহার করা হয়। তাই পিস্তল জাতীয় কোন খেলনা দেয়া অদৌ ঠিক কিনা ভেবে দেখা প্রয়োজন । তবে আমাদের মনে হয় সবচেয়ে ভাল হয় এধরনের বিপদজনক খেলনা উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা উচিত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
শিশুদের হাতে মোবাইল দেবেন কেন ?
বর্তমান যুগে মোবাইল আমাদের নিত্য সাথী মোবাইল ছাড়া এক মুহুর্ত ও চালতে পরি না। মোবাইলের আশির্বাদে আমরা সেকেন্ডের মধ্যেই পৃথিবীর যে কোন যায়গায় খবর পেতে পারি। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রটির যে কিছু ক্ষতিকার দিক রয়েছে সেটি কি আমরা কখনও ভেবে দেখেছি ? মোবাইল টাওয়ার থেকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর রশ্মি বেরুচ্ছে। মোবাইলে কথা বলার সময় ও সামান্য পরিমাণে ক্ষতি হয়। তবে শিশুদের বেশি ক্ষতি হয়। তাই শিশুদের হাতে মোবাইল দেয়া ঠিক নয়। কিন্তু মোবাইলের আওয়াজ পেলে শিশুরাই আগে সাড়া দেয় এবং তা নিতে চেষ্টা করে এবং না দিলে কান্না কাটি করে। তাই আমরা তাদের হাতে মোবাইল দিয়ে রাখি আযথা মোবাইলে তাদের সাথে কথা বলি।
শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তত্ত¡ীয় পদার্থ বিভাগের প্রধান ডঃ গোলাম মোহাম্মদ ভুঞা বলেন একটি শিশু মোবাইল ফোনে ২মিনিট কথা বলার ফলে তার মস্তিস্কে যে পরিমান প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে ঘন্টা খানেক সময় লেগে যায়। এ কারনেই ভারত সরকার শিশুদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে শিশুদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখা উচিত। কেননা সাময়িক আনন্দ বৃহত্তর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামত: মহিলারা পড়বেন না!
পুরুষের প্রধান সম্পদ তার পৌরষত্ব। যৌন শক্তি ধরে রাখার জন্য পুরুষকে খাদ্যের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখাতে হয়। এব্যাপারে খাদ্যেও দিকে নজর না দিয়ে অনেকেই ঔষধ খেয়ে নিজেকে সবল রাখতে চান। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর ইউনানী ব্যবসায়ীরা দেদারছে ব্যবসা করছে। বিভিন্ন বাস ষ্টেশন, রেলওয়ে ষ্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল সহ বিভিন্ন জনবহুল যায়গায় এক শ্রেণীর লোক “জীবনের শেষ চিকিৎসা হিসেবে ” লিফলেট বিতরণ করে যুবকদের বিভ্রান্ত করে থাকে ।
বড় ধরনের জটিল যৌন রোগ না হলে নিজেকে সবল রাখার জন্য ডাক্তারের নিকট যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিছু ফলমুল ও শাক- সব্জী খেয়ে আপনি ভাল থাকতে পারেন। এছাড়া মাছ মাংস খেয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখতে পারেন। এ ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি নিয়মিতভাবে রুই মাছ ,হাসের মাংস , গব্যঘৃত, গরুর দুধ, ঘোল, আলু, ডিম, ফুলকপি, বাধা কপি, আম, আদা, ইক্ষু, নারকেল, বেগুন, মাস,গম, ইত্যাদি বেশি করে খাবেন।দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে সঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে হবে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ, কুমিল্লা-৩৫৩১
সেল ফোন: ০১৭১১৭১৩২৫৭
প্রবীন বান্ধব পরিবেশ চাই
সৃষ্টিকর্তার দয়ায় একটি শিশু পৃথিবীর মুখ দেখাতে পায়। শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে এক সময় সে-ও শিশুর পিতা হয়। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষ করে প্রবীণের খাতায় নাম লিখায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের শক্তি -সামর্থ কমতে থাকে। ফলে একসময়ের দুরন্ত যুবকটি তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের উপর নির্ভরশীল হয়। শারীরিকভাবে দুর্বল, চিন্তা চেতনা নির্ভর অবসর জীবন সবার জন্য সুখের হয় না। বিশেষ করে ছেলেরা সংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বৃদ্ধ বাবার প্রতি আগের মত খোঁজ খবর রাখতে পারেনা। এছাড়া ছেলে বউরা নিজেদের বাবার মত বরের বাবাকে সম্মান ও সেবা যত্ম করেন না। তবে সকল মহিলাই যে একরকম এমনটি নয়। এর ব্যতিক্রম ও আছে। স¤প্রতি ভারত একটি বৃদ্ধ বান্ধব আইন করেছে , নতুন এ আইন অনুযায়ী, মা বাবাকে অবহেলার অভিযোগ প্রমানিত হলে কুলাঙ্গার সন্তানের জেল জরিমানা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে এমন ক্ষমতা দেওয়া আছে যাতে মা বাবাকে মাসিক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সন্তানকে বাধ্য পর্যন্ত করতে পারবে তারা। বাংলাদেশেও এমন একটি অইন তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা আশা করি আমাদের দেশে একটি প্রবীণ -বান্ধব আইন তৈরি করা হবে, যাতে আমরা আমাদের প্রবীণদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি। এব্যাপারে কার্র্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনিতভাবে অনুরোধ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার চাই
মাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের তথ্যমতে ২০০৮ সালে ৮৭টি ঘটনায় বাংলাদেশের ১৬৬ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মামলায় শিকার হয়েছেন ৪৪ জন উপস্থিত ২৪ জন ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২৩ জনকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকগন বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত, লাঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকার। এ ক্ষত্রে সাংবাদিকগণ যযোপযুক্ত সম্মানী পান না, দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এছাড়া অধিকাংশ সাংবাদিকের চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নেই , চাকুরি শেষে পেনশান বা আর্থিক সুবিধা লাভ করেন না। তারপরও তারা সাহসের সাথে এসব সমস্যা মোকাবেলা করে বস্তুনিষ্ঠভাবে সাংবাদিকতা করেন। সাংবাদিকগন সত্য ও ন্যায়ের অতন্ত্র প্রহরী তাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
বাতের সমস্যায় কি করবেন ?
বাংলাদেশে কয়েকটি রোগ বিশেষ ভাবে দেখা যায় তাদের মধ্যে বাত অন্যতম। চিকিৎসা বিজ্ঞান বাতকে পুরোপুরি আটকে দিতে ব্যর্থ; তবে শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করলে সুস্থ মানুষের মতো জীবন যাপন করা যায়। বাত সম্পর্কে সাধারণ ধারণা শরীরের রস জমে বাতে ব্যথা বাড়ায়। তাই বেদনীরা শিঙ্গা দিয়ে শরীরের রসা টেনে নিয়ে বাত নামায় বলে একটি ভূল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কোন কোন চিকিৎসক বাতের রোগীদের কুমড়ো বোয়াল মাছ, পুটি মাছ ও ভাত খেতে নিষেধ করেন।
সাধারণত ৪০ বছর অতিক্রম করলে বাতের প্রকোপ বাড়ে। বাতে আক্রান্ত স্থানে ব্যাথা শুরু হয়, নড়াচড়া করলে ব্যাথা বাড়ে। কখন ও আক্রান্ত জয়েন্ট ফুলে যায়, হাত দিলে গরম লাগে। বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগে রাখতে হবে,এছাড়া কিছু কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া খাওয়ার দাওয়ার প্রতি নিজর রাখতে হবে। কিন্তু ফল ফলাদি ও শাক সব্জি বাতনাশক নামে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে ছাগলের মাংস, ডিম, কুমড়া, বেগুন, সীম, গম, কামরাঙ্গা, লেবু ও ডালিম অন্যতম। আমাদের দেশে বিশেষ কওে গ্রামগুলো বাতের ব্যথায় অংটি, খারু ও তাবিজ দেয়ার সিস্টেম চালু রয়েছে। এসব ই কুসংস্কার ,এগুলো না দিয়ে চিকিৎসা, ব্যায়াম ও নিয়মিত খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে বাত নিয়ন্ত্রন সম্বব।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
কুমিল্লার মুরাদনগরে পানিতে সব্জি চাষ
মুরাদনগরের অধিকাংশ এলাকা নীচু ভূমি হওয়ায় বছরের ৫/৬ মাস পানিতে নিমজিজত থাকে। ফলে এভাবে জমিতে ফসল আবাদ করা যায় না। কৃষি বিভাগ একটু উদ্যোগ নিলেই পুকুরে অথবা জলাশয়ে সবজি বাগান করা যেতে পারে। যে যায়গায় বাগানটি করা হবে সেখানে ৮মি. থেকে ২মি.উচু করে কচুরিপানা দিতে হবে। কচুরিপানা পাওয়া না গেলে ধানের খড় নারকেলের ছোবরা ও বাঁশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কচুরিপানা ও বাঁশের সাহায্যে একটি ভাসমান ভেলা তৈরী করতে হবে। ভেলাটা তৈরীর পর আরো বেশি করে কচুরিপানা দিতে হবে কচুরিপানার স্তুপটি ১ মিটার উচু হতে হবে। মূল কাঠামো বসানো শেষ হয়ে গেলে কঞ্চিগুলো সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ভেলাটি অবস্থান করাতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভেলাটি ভেসে না যায়। সাত থেকে দশ দিন পর ভেলার উপরে আরেক স্তর কচুরীপানা দিলে মাটির সাথে কম্পোষ্ট ও গোবর মিশ্রন ২৫ সে. মি. দূরত্বে দিতে হবে। তারপর ভেলার উপর চারা রোপন করুন। লাউ, বেগুন পেয়াজ, লাগাতে পারেন। ভেলার চারদিকে জাল বা কাঠি দিয়ে বেড়া দিয়ে হাঁস বা ইঁদুরের অক্রমন প্রতিরোধ করুন। ফসল উঠার পর ভেলাটি আবারো ব্যবহার করা যাবে।
মুরাদনগরের নীচু এলাকায় কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বর্ষাকালে কোন কাজ থাকে না। তারা কৃষকদের ভাসমান বাগান তৈরীতে সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে মুরাদনগরের সব্জির উৎপাদন বাড়বে এবং বাগনের সব্জির চাহিদা পুরণ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন এ পদ্ধতিটি বাস্তবায়ন কওে মুরাদনগওে বর্ষাকালীন সব্জির চাহিদা পুরণ করুন।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭