কুমিল্লার মুরাদনগরে পানিতে সব্জি চাষ
মুরাদনগরের অধিকাংশ এলাকা নীচু ভূমি হওয়ায় বছরের ৫/৬ মাস পানিতে নিমজিজত থাকে। ফলে এভাবে জমিতে ফসল আবাদ করা যায় না। কৃষি বিভাগ একটু উদ্যোগ নিলেই পুকুরে অথবা জলাশয়ে সবজি বাগান করা যেতে পারে। যে যায়গায় বাগানটি করা হবে সেখানে ৮মি. থেকে ২মি.উচু করে কচুরিপানা দিতে হবে। কচুরিপানা পাওয়া না গেলে ধানের খড় নারকেলের ছোবরা ও বাঁশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কচুরিপানা ও বাঁশের সাহায্যে একটি ভাসমান ভেলা তৈরী করতে হবে। ভেলাটা তৈরীর পর আরো বেশি করে কচুরিপানা দিতে হবে কচুরিপানার স্তুপটি ১ মিটার উচু হতে হবে। মূল কাঠামো বসানো শেষ হয়ে গেলে কঞ্চিগুলো সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ভেলাটি অবস্থান করাতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভেলাটি ভেসে না যায়। সাত থেকে দশ দিন পর ভেলার উপরে আরেক স্তর কচুরীপানা দিলে মাটির সাথে কম্পোষ্ট ও গোবর মিশ্রন ২৫ সে. মি. দূরত্বে দিতে হবে। তারপর ভেলার উপর চারা রোপন করুন। লাউ, বেগুন পেয়াজ, লাগাতে পারেন। ভেলার চারদিকে জাল বা কাঠি দিয়ে বেড়া দিয়ে হাঁস বা ইঁদুরের অক্রমন প্রতিরোধ করুন। ফসল উঠার পর ভেলাটি আবারো ব্যবহার করা যাবে।
মুরাদনগরের নীচু এলাকায় কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বর্ষাকালে কোন কাজ থাকে না। তারা কৃষকদের ভাসমান বাগান তৈরীতে সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে মুরাদনগরের সব্জির উৎপাদন বাড়বে এবং বাগনের সব্জির চাহিদা পুরণ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন এ পদ্ধতিটি বাস্তবায়ন কওে মুরাদনগওে বর্ষাকালীন সব্জির চাহিদা পুরণ করুন।মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
