হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা

হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা 


বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য এলোপ্যাথিক এবং হোমিওপ্যথিক বাদেও ইউনানী বা কবিরাজীর উপরও নির্ভর করেন। হারবাল বা গাছ-গাছরার মাধ্যমে চিকিৎসার উপযোগিতা আধুনিক যুগেও রয়েছে। তবে সে চিকিৎসা যদি বিজ্ঞান সম্মত হয়। কিন্তু কুমিল­ায় হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা চলছে।  

হারবাল কোম্পানীর আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপনে প্রতিনিয়ত সহজ-সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। বিশেষ করে যৌন রোগীরা বিশেষভাবে প্রতারিত হচ্ছে। এসব ভন্ড চিকিৎসকদের চাহিদা মেটাতে এমন কি জমি-জিরাতও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। গান-বাজনা করে মজমা বসিয়ে, মাইক বাজিয়ে, পত্রিকায় বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে। বাসে বা অন্যান্য যানবাহনে পোস্টার বা স্টিকার লাগিয়ে অথবা হ্যান্ডবিল বিলি করে প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের হস্তগত করছে। আর যিনি একবার তাদের খপ্পরে পড়েছেন তার সর্বনাশ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তার নেই। 

কুমিল­ায় ঠিক কতগুলো হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে তার ঠিক পরিসংখ্যান সরকারি-বেসরকারি কোন দপ্তর নেই। তবে কুমিল­া শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় ৫০/৬০টির কম হবে না। এছাড়াও কিছু দিন পর পর নতুন প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠতে দেখা যায়। 
এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে একজন হাকিম থাকেন। তিনি নিজেকে সর্ব রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে দাবী করেন। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এমবিবিএস এর নিচে কোন চিকিৎসক নিজেকে ডাক্তার দাবী করতে পারেন না। অথচ এই সব কবিরাজ নামের পূর্বে বড় অক্ষরে ডাক্তার শব্দটি লিখে রোগীদের আকৃষ্ট করেন। একজন হাকিম এক সাথে অর্ধ শতাধিক রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। 
যেখানে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন গ্যারান্টি নেই সেখানে এসব ভূয়া কবিরাজগণ গ্যারান্টি সহকারে চিকিৎসা দেন। শুধু তাই নয়, বিধানে মূল্য ফেরৎ দেয়ার ওয়াদা করেন। তবে এ পর্যন্ত কেউ মূল্য ফেরৎ পান নি বলে জানান। ভূক্তভোগী জামাল হোসেন বলেন ঔষধে কোন কাজ হয় নি? জিজ্ঞেস করলে তারা বলে ঔষধ কি আছে; হয়তো খেতে ভূল করেছেন। নয়তো আপনাকে যেসব খাদ্য খেতে নিষেধ করা হয়েছিল হয়তো সেগুলো খেয়েছেন,(্্্ঔষধ চলাকালে  অনেক গুলো খাবার খেতে নিষেধ করা হয়) তাই কাজ হয় নি। অনেক হারবাল কোম্পানী আছে যারা পএিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ডাকযোগে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। নিদিষ্ট পরিমান  টাকা পাঠালেই তারা ঔষধ পৌছে দেবার প্রতিশ্র“তি দেয়। অনেক সময় ডাকযোগে টাকা পাঠিয়েও ঔষধ পাননি বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন । খোঁঁজ নিয়ে জানা গেছে এদের ব্যবসা করার ট্রেড লাইন্সেস ছাড়া আর কোন অনুমোদন নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের কোন অনুমোদন নেই মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিলেও কিচুদিন পর আবার তারা প্রতারনা শুরু করে। 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.