বিভিন্ন ধরণের
ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার উপায়
রাসুল সাঃ নামাজের শেস বৈঠকে বিভিন্ন ধরণের ফিতনা থেকে অঅল্লাহর কাছে মুক্তি চাইতেন। হাদীসে বর্ণিত দোয় اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - اللَّهُمَّ اغْسِلْ قَلْبِي بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنْ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِহে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, জাহান্নামের ফিতনা ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে। কবরের ফিতনা ও কবরের ‘আযাব থেকে। আশ্রয় চাচ্ছি, সম্পদের ফিতনা ও দারিদ্রের ফিতনার ক্ষতি থেকে।হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি মাসীহিদ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে। এছাড়া নামজে তাকবিরে তাহরিমার পর একটি দোয়া পড়তেন। হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধৌত করে দাও। আমার অন্তরকে গুনাহ থেকে পরিষ্কার করে দাও। যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে তুমি পরিষ্কার করে থাকো। হে আল্লাহ! থেকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত তুমি যে বিশাল দূরত্ব সৃষ্টি করেছ আমার আমলনামা থেকে আমার গুনাহগুলো ততটুকু দূরে সরিয়ে দাও। হে আল্লাহ! আমার অলসতা, গুনাহ ও ঋণ থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই।
Kitab Akre
Dora আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আর যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং
স্বলাত কায়েম করে, নিশ্চয় আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না।” [সূরা আরাফ, আয়াত:
১৭০]তাই বিভিন্ন থরণের ফিতনা থেকে বাঁচতে অঅমাদের ইচিত কোরানের সাহায্য নেয়া।
Bache thaka একটি হাদিস আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু সনদে
বর্ণিত, তিনি বলেন, “অচিরেই
এক ফিতনা সংঘটিত হবে।” আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি জিজ্ঞাসা
করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তার থেকে মুক্তির পথ কী? তখন তিনি বললেন, “আল্লাহর কিতাব” হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
Rasuler
Osiot যায়েদ বিন আরকাম থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ)
বলেন : হে লোকসকল! নিশ্চয়ই আমি একজন মানুষ, যখনই আমার রবের পক্ষ থেকে মৃত্যুদূত আসবে
তখনই আমি তার আহ্বানে সাড়া দেব। আর আমি তোমাদের জন্য দু'টি বস্তু রেখে যাচ্ছি। তার
একটি হল আল্লাহর কিতাব (অপরটি আমার সুন্নাত), যাতে রয়েছে হেদায়াত ও নূর। এটা আল্লাহর
সুদৃঢ় রশি। যারাই এ কিতাব মেনে চলবে তারাই হেদায়াত পাবে। আর যারা তা ছেড়ে দেবে তারা
পথভ্রষ্ট হবে। তোমরা আল্লাহর কিতাব সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর।এ হাদীসে আল্লাহর কিতাব মেনে
চলার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
Pordar
Maddome Bache Thaka আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পর্দা করাকে পবিত্রতার শিরোনাম হিসেবে আখ্যায়িত
করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাব্বুল আলামীন বলেন, “হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে
ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিল-বাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে
দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া
হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”।যাতে তারা তা ডেকে রাখতে পারে। কারণ, তারা
হল, সতী ও পবিত্রা নারী। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বাণী فَلَا يُؤۡذَيۡنَ ‘ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না’ এ কথা দ্বারা বুঝা
যায়, নারীদের সৌন্দর্য সম্পর্কে জানা দ্বারা তাদের কষ্ট দেয়া এবং যারা দেখে তাদের
ফিতনা ও অপরাধে জড়িত হওয়া।আর বৃদ্ধ নারী যাদের যৌবনের হ্রাস পেয়েছে এবং তারা বিবাহের
আশা করে না, তাদের জিল-বাব ব্যবহার না করা, চেহারা ও কবজি-দ্বয় খোলা রাখা দ্বারা ফিতনার
আশংকা থাকে না তাদের জন্য
Dore thakar Chesta আল্লঅহ বলেন,‘তাঁরা (হারূত ও মারূত)
কাউকে এ কথা বলেই জাদু শিক্ষা দিতেন যে, আমরা তোমাদের জন্য ফেতনা বিশেষ, সুতরাং তোমরা
তা শিক্ষা করে কুফরী করো না।’’ [আল-কুরআন, সূরা বাক্বারাহ: ১০২।] আমরা
বাহ্যত দেখতে পাচ্ছি যে, এ আয়াতে জাদু শিক্ষা করাকে কুফরী কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে;
এটা এ জন্যে যে, তা নিজ থেকে মানুষের অকল্যাণ করতে পারে এ বিশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষা
করা শির্কের অন্তর্গত কাজ।
Hadiser
Sonod মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন (রহ)
বলেন, প্রথম
প্রথম লোকেরা
হাদীসের সনদ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করত না
কিন্তু যখন
ফেতনা, বেদআত
ও মন
গড়া বর্ণনা
প্রসার হতে
লাগল তখন
হাদীসের সনদ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করা অপরিহার্য
হয়ে গেল। যদি
হাদীস বর্ণনাকারী
আহলে সুন্নাহ
হয়, তাহলে
তা গ্রহণ
করা হয়
আর যদি
বর্ণনাকারী বিদআতপন্থি
হয় তাহলে
তার হাদীস
গ্রহণ করা
হয় না। (মুসলিম)
Kobor
poza আয়েশা থেকে বর্ণিত আছে যে, উম্মে সালামা হাবশায়
যে গীর্জা দেখতে পেয়েছিলেন এবং তাতে যে ছবি প্রত্যক্ষ করেছিলেন তা রাসূল (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলে রাসূল (ﷺ) বললেন, "তাদের মধ্যে কোন নেককার বুজুর্গ ব্যক্তির
মৃত্যু বরণ করার পর তার কবরের উপর তারা মসজিদ তৈরী করতো এবং মসজিদে ঐ ছবিগুলো অংকন
করতো। [অর্থাৎ তুমি সে জাতীয় ছবিগুলোই দেখেছ]। তারা হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে
নিকৃষ্ট।" তারা দুটি ফেতনাকে একত্রিত করেছে। একটি হচ্ছে কবর পুজার ফেতনা। অপরটি
হচ্ছে মূর্তি পূজার ফেতনা। (বুখারি)
রাসূল (ﷺ) বললেন,"ইয়াহুদী নাসারাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারা তাদের নবীদের
কবরকে মসজিদ বানিয়েছে" তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) সতর্ক করে দিয়েছেন। কবরকে ইবাদত খানায় পরিণত করার আশংকা না থাকলে তাঁর
কবরকে উন্মুক্ত রাখা হতো। (বুখারি ও মুসলিম)লাগানো মাকরূহ।
Bidatider
Fetna বিদআতীরা অধিকাংশই ফেতনায় পতিত হয় Gআল্লাহতা'আলা বান্দাদেরকে ফেতনায় পতিত হওয়ার ব্যাপারে সর্তক করেছেন।আল্লাহ
তা'আলা ইরশাদ করেনঃ তোমরা সেই ফিতনাকে ভয় কর যা তোমাদের মধ্যকার জালিম ও পাপিষ্ঠদেরকেই
বিশেষভাবে ক্লিষ্ট করবে না, বরং সবার উপরই আসবে। তোমরা জেনে রেখ! আল্লাহ শাস্তি দানে
খুব কঠোর।
Diner
Binimoy কিছু কিছু আলেম কোরআন হাদীসের বাহ্যিক অর্থগত বর্ণনা দ্বারা লোকদেরকে
সীরাতে মুস্তাকিম থেকে দূরে ঠেলে দেয়। উল্লেখিত দুটি শ্রেণীই ওলামায়ে ছূ, যাদেরকে হাদীস
শরীফে শেরারুল উলামা, বা নিকৃষ্টতর আলেম হিসেবে তিরস্কৃত করা হয়েছে। আর তারাই হলো সবচেয়ে
নিকৃষ্ট মানুষ। হাদীস শলীফে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের মাঝে আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট
ঐ লোক, আলেমদের মাঝে যিনি নিকৃষ্ট।
Khelafi
Sonnot মহান আল্লাহ্ বলেন,]فَلْيَحْذَرْ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ[ যারা তাঁর (রাসূলের) নির্দেশের বিপরীত চলে, তারা
সতর্ক হয়ে যাক যে, তারা ফেতনায় পড়ে যাবে অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে।[50]Soytaner Fetna : শয়তানের কুমন্ত্রনার মোকাবিলায় কি বলবে? (আ‘ঊযু
বিকালিমা-তিল্লা-হিত্-তা-ম্মা-তিল্লাতী লা ইয়ুজাউইযুহুন্না বাররুন ওয়ালা ফা-জিরুম মিন
শাররি মা খালাক্বা, ওয়া বারা’আ, ওয়া যারা’আ, ওয়ামিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস্ সামা-য়ি, ওয়ামিন
শাররি মা যারাআ ফিল আরদ্বি, ওয়ামিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়ামিন শাররি ফিতানিল-লাইলি
ওয়ান-নাহা-রি, ওয়ামিন শাররি কুল্লি ত্বা-রিকিন ইল্লা ত্বা-রিকান ইয়াত্বরুকু বিখাইরিন,
ইয়া রহমানু)। আহমাদ ৩/৪১৯, নং ১৫৪৬১, সহীহ সনদে।
Shia
Fetna (ﷺ) সাহাবীদের ওপর সন্তুষ্টি নিয়ে ইন্তেকাল করেছেন, বিশেষ
করে প্রথম তিন খলিফা আবু বকর, ওমর ও উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম প্রমুখ। তাদের সম্পর্কে
এ আয়াত নাযিল হয়েছে, যা আমরা বারবার তিলাওয়াত করি। অতঃপর তারা যদি তার মৃত্যুর পর কুফরে
ফিরে যায় ও ফেতনায় মগ্ন হয়, বরং শিয়ারা তাদের ওপর কুরআন বিকৃতি করা ও দীনের বিধান পরিবর্তন
করার অপবাদ আরোপ করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা তা জানতেন কি-না?! যদি আল্লাহ জানেন, সকল মুসলিমের
আকিদাও তাই, তাহলে আমরা যে আয়াত তিলাওয়াত করি, যেখানে তাদের প্রশংসা রয়েছে তার হুকুম
কি, অথচ তারা [শিয়াদের নিকট] মুনাফিক ও মুরতাদ?!
মমিনুল ইসলাম মোল্লা, লেখক
, প্রভাষক ও সাংবাদিক
