আপনার ব্যবহৃত অলিভ অয়েল আসল কিনা এটা নির্ণয়ের জন্য ফ্রিজ টেস্ট অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। এজন্য একটি পাত্রে খানিকটা অলিভ অয়েল নিয়ে ২ ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করার পর যদি দেখেন অলিভ অয়েল জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইড’ই আছে, তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি অলিভ অয়েল নয়। তবে যদি দেখেন, হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে আছে, তখন আপনি এটাকে খাঁটি ধরে নিতে পারেন।
আবার, একটি ছোট কাঁচের পাত্রে খানিকটা অলিভ অয়েল স্প্রে করে তার মুখ আঁটকে দেয়া যেতে পারে। এরপর এতে সামান্য পরিমাণ তাপ প্রয়োগ করুন। পাত্রের ঢাকনা খুললে যদি অলিভ অয়েলের সুগন্ধ আগের চেয়ে বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে এটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। আর সুগন্ধ যদি কমে যায়, তাহলে বুঝে নিবেন এটি আসল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল নয়।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য, অলিভ অয়েল সব সময় ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আর যদি অন্ধকার জায়গায় রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। খুব উচ্চ তাপমাত্রায় অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই, কোনোভাবেই অলিভ অয়েলের শিশি উষ্ণ স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। এভাবে নিয়ম মেনে অলিভ অয়েল সংরক্ষণ করলে তিন বছর পর্যন্ত এটি ভাল থাকবে।
কুর’আন ও হাদিসে অলিভ অয়েলের বর্ণনা
রাসূল (স.) নির্দেশ দেন, তোমরা জয়তুনের তেল(জলপাইয়ের তেল) খাও এবং শরীরে মাখো। কেননা, এটি আসে বরকতময় গাছ থেকে। (সহিহ তিরমিজি, আহমাদ)।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘আর তিনি এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্য উৎপাদন করেন বিভিন্ন রকম ফসল, জয়তুন (জলপাই), খেঁজুর, আঙুর ও সব ধরনের ফল। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সূরা : নাহল : ১১)
শুধু কোরআন ও হাদিস দ্বারাই এর উপকারিতা বা ব্যবহার প্রমাণিত নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুন তথা অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। তাছাড়া হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধেও সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে অত্যন্ত কার্যকর।
অলিভ অয়েলের দাম
অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েলের দাম খানিকটা বেশি। ব্যান্ডভেদে আন্তর্জাতিক বাজারে অলিভ অয়েলের মূল্যমানে তারতম্য লক্ষ করা যায়। দেশীয় বাজারে প্রতি ১লিটার এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের দাম ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ক্লাসিক, পোমেস ও লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েল অপরিমেয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের শরীর সচল রাখতে এটি অত্যন্ত উপকারি রসদ। খাদ্যগুণ বিবেচনায় ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েলের চাহিদা এখন সর্বাধিক।
আপনার ব্যবহৃত অলিভ অয়েল আসল কিনা এটা নির্ণয়ের জন্য ফ্রিজ টেস্ট অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। এজন্য একটি পাত্রে খানিকটা অলিভ অয়েল নিয়ে ২ ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করার পর যদি দেখেন অলিভ অয়েল জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইড’ই আছে, তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি অলিভ অয়েল নয়। তবে যদি দেখেন, হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে আছে, তখন আপনি এটাকে খাঁটি ধরে নিতে পারেন।
আবার, একটি ছোট কাঁচের পাত্রে খানিকটা অলিভ অয়েল স্প্রে করে তার মুখ আঁটকে দেয়া যেতে পারে। এরপর এতে সামান্য পরিমাণ তাপ প্রয়োগ করুন। পাত্রের ঢাকনা খুললে যদি অলিভ অয়েলের সুগন্ধ আগের চেয়ে বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে এটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। আর সুগন্ধ যদি কমে যায়, তাহলে বুঝে নিবেন এটি আসল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল নয়।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য, অলিভ অয়েল সব সময় ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আর যদি অন্ধকার জায়গায় রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। খুব উচ্চ তাপমাত্রায় অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই, কোনোভাবেই অলিভ অয়েলের শিশি উষ্ণ স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। এভাবে নিয়ম মেনে অলিভ অয়েল সংরক্ষণ করলে তিন বছর পর্যন্ত এটি ভাল থাকবে।
কুর’আন ও হাদিসে অলিভ অয়েলের বর্ণনা
রাসূল (স.) নির্দেশ দেন, তোমরা জয়তুনের তেল(জলপাইয়ের তেল) খাও এবং শরীরে মাখো। কেননা, এটি আসে বরকতময় গাছ থেকে। (সহিহ তিরমিজি, আহমাদ)।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘আর তিনি এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্য উৎপাদন করেন বিভিন্ন রকম ফসল, জয়তুন (জলপাই), খেঁজুর, আঙুর ও সব ধরনের ফল। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সূরা : নাহল : ১১)
শুধু কোরআন ও হাদিস দ্বারাই এর উপকারিতা বা ব্যবহার প্রমাণিত নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুন তথা অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। তাছাড়া হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধেও সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে অত্যন্ত কার্যকর।
অলিভ অয়েলের দাম
অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েলের দাম খানিকটা বেশি। ব্যান্ডভেদে আন্তর্জাতিক বাজারে অলিভ অয়েলের মূল্যমানে তারতম্য লক্ষ করা যায়। দেশীয় বাজারে প্রতি ১লিটার এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের দাম ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ক্লাসিক, পোমেস ও লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েল অপরিমেয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের শরীর সচল রাখতে এটি অত্যন্ত উপকারি রসদ। খাদ্যগুণ বিবেচনায় ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েলের চাহিদা এখন সর্বাধিক।
