ধর্মীয় ঐতিহ্য ঃ কুমিল্লার দেবিদ্বারের নূরমানিকচর মসজিদ
মমিনুল ইসলাম মোল্লামুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন কুমিল্লার দেবিদ্বারের নূর মানিকচর মসজিদ। দেবিদ্বারের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ নূরমানিকচর মসজিদ, যার বয়স প্রায় পাঁচশত বছর। জানা যায়, পঞ্চদশ শতাব্দীর আগে মরহুম সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব এ মসজিদ নির্মাণ করে গেছেন। সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব'র নামানুসারে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় নূরমানিকচর গ্রাম। নূরমাকিচর মসজিদটি কুমিল্লা শহর থেকে পশ্চিমে ১৮কিলো মিটার দূর এবং 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক'র নূরমানিকচর বাস স্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তরেঅবাস্থত।আজ থেকে কত বছর আগে দেবীদ্বারে কে বা কারা ইসলামের আলো জ্বেলেছিলেন তার কোন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর দিকে খেয়াল করলে সহজেই বুঝা যায় এখানকার মুসলিম সভ্যতা অনেক দিনের পুরনো। কারন এক/দু'জন লোক মুসলমান হলে সেখানে পাকা বা অন্যভাবে নিত একটি মসজিদ গড়ে উঠেনা। এখন পর্যন্ত আমাদের জানা তথ্যমতে. দেবিদ্বারেরম রিচায় আব্বাস হোসাইনী ও এলাহাবাদের উটখাড়ায় শুয়ে থাকা হযরত শাহজালাল ( রহ) এর সফরসঙ্গীরাই দেবিদ্বারে ইসলাম প্রচারকারীদের অন্যতম পথিকৃত। সম্মিলিত ভাবে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজন একটি মুসলিম সমাজ। এমনই একটি মুসলিম সমাজের চিত্র পাওয়া যায় কুমিল্লাার দেবিদ্বার উপজেলার নূরমানিকচর গ্রামে।স্থানীয়রা জানান, সমসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নূর আহম্মেদ আল কাদেরী পীর সাহেব একজ ধর্মপ্রাণ ও দানবীর ছিলেন। তিনি মসজিদ ছাড়াও ডাকঘর, মক্তব,পাঠশালা, ও দিঘী নির্মান করে গেছেন।
নূরমানিকচর মসজিদ নামের মসজিদটি দীর্ঘ দিনের একটি পুরনো মসজিদ । এ মসজিদটি সাতগম্ভুজ বিশিষ্ট। মসজিদটির র্দৈঘ্য ১০ফুট, প্রস্থ ৫ফুট। একসঙ্গে ২০/২৫জন নামাজ আদায় করতে পারেন। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে অপরুপ কারুকাজ রয়েছে। মসজিদের ছাদে রয়েছে ১১টি গম্বুজ, এর মধ্যে মূল ছাদে রয়েছে ৭টি এবং বাকী চারটি গম্বুজ রয়েছে মসজিদের চারকোণায়। তবে সবকটি গম্বুজই ধ্বংশ প্রায়। সুষ্ঠভাবে পরিচর্যা না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অধিকাংশ জায়গা থেকে আস্তর খসে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেয়ালে সেওলা জমে মসজিদের শ্রী'নষ্ট হয়ে গেছে। ছাদের অবস্থা আরো খারাপ। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । স্থানীরা দাবী করেন যে, মসজিদটি মুসুলস্নী সংকুলান না হলেও এটি এ এলাকার ঐতিহ্য। এটি সরকারিভাবে জেলা প্রতœত্ত¡ বিভাগ কর্তৃক রক্ষা ও মূল অবয়ব ঠিক রেখে সংস্কার করা প্রয়োজন।লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ধর্মীয় গবেষক. ক্যাম্পেনার সিডিএলজি , কুমিল্লা
,
