অর্থনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অর্থনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলাদেশী টেক একাডেমী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছে !

বাংলাদেশী টেক একাডেমী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছে !


Viral news bd -Online 
বাংলাদেশে যখন বড়দেরই কেবল রোবোটিক্সের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে, ঠিক সেরকম একটা সময়েই ছোটদেরও রোবোটিক্সের সাথে পরিচয় ঘটাতে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান টেক একাডেমির।
বাংলাদেশী টেক একাডেমী
বাংলাদেশী টেক একাডেমী


সেই ২০১৩ সালে টেক একাডেমির প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের সাথে রোবোটিক্স ছাড়াও অ্যানিমেশন, গেম ডেভেলপমেন্টসহ প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর টেক একাডেমির কাজের ক্ষেত্র তৈরী হল পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।আরো পড়ুনঃসন্তানের ইসলামি নাম রাখা মুসলিম পিতার কর্তব্য

এই প্রথম কোন বাংলাদেশী কোম্পানি হিসেবে সান ফ্রান্সিসকোর একটি স্কুলের শিক্ষাথীদের STEM শেখাচ্ছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান টেক একাডেমি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

 ওমান যেতে বাধা নেই

ওমান যেতে বাধা নেই

Viral news bd //online verson # মমিন মোল্লা

প্রায় চার মাস পর বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ওমান। ১ সেপ্টেম্বর হতে বাংলাদেশিরা ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন। গত ২৪ এপ্রিল হতে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো ওমান। দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ২৩ আগষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

তবে যারা দেশটির অনুমোদিত করোনা ভা

ইরাসের টিকা নিয়ে ১৪ দিন পার করেছেন তাদের প্রবেশের অনুমিত দেবে ওমান। এছাড়া দেশটি প্রবেশের পূর্বে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে।
ওমান সরকারের অনুমোদিত টিকা হচ্ছে- ফাইজার (Pfizer BioNTech), অক্সফোর্ড (Oxford/AstraZeneca), স্পুটনিক (Gamaleya Sputnik V), করোনা ভ্যাক ( Sinovac Corona Vac)।
২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে

 নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে। এবার যেহেতু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে নেওয়া হবে নৈর্বচনিক বিষয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতি বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসবে বলে জানা গেছে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার হবে এবার এসএসসি এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে তবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাচাই করার সুযোগ বাড়ছে আগে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে -৮টির উত্তর করতে হলেও এবার করতে হবে চারটি শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার যেহেতু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোড় ১০০ জন

কুমিল্লায় মৌসুমী ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি

কুমিল্লায় মৌসুমী ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি

মমিন মোল্লা, মুরাদনগর:


ঈদকে ঘিরে নগরীতে যানজট ও ভিড়ে নাকাল নগরবাসী। এরই মধ্যে মৌসুমি ভিক্ষুকের উৎপাত বেড়েছে ব্যাপকভাবে। নগরীর বিভিন্ন মোড় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মৌসুমী ভিক্ষুকের সংখ্যা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। মৌসুমী ও পেশাজীবী মিলিয়ে নগরীতে এবার বেড়েছে প্রায় এক হাজারের বেশি ভিক্ষুক।
এরা সড়কের পাশের চলাচলের জায়গা দখল করে শুয়ে থাকে, এদিক-ওদিক গড়াগড়ি দেওয়াসহ নানাভাবে নানাভাবে ভিক্ষা চাচ্ছেন। শিশু-কিশোর বয়সী টোকাইরা গিয়েও পথচারীদের কাছে ভিক্ষা করছেন। যানজটে ও মানুষের ভিড়ের মধ্যে এই অবস্থা অসহনীয় হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।

স্থানীয় পরিসংখানে কুমিল্লা মহানগরে এক হাজারের বেশি মৌসুমি পেশাজীবী ভিক্ষুকদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সঙ্গবদ্ধ মহল। ভিক্ষার নামে অর্থ আদায়ে এসব মৌসুমি ও পেশাজীবী ভিক্ষুকদেরকে আনা হয়েছে পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা দরিদ্র এলাকা থেকে। এসব ভিক্ষুকের দৈনিক ভিক্ষাবৃত্তির অর্ধেকাংশই নিয়ে যাচ্ছে ওই মহলটি।ঈদ আসলেই লাখ লাখ টাকা প্রতি বছর তারা আদায় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।



সোমবার কুমিল্লা টাউনহল গেটের পশ্চিম পাশে কিছু ভিক্ষুকে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং কিছু টোকাইসহ ২৫ থেকে ৩০ জন ভিক্ষুক। এদের বেশির অংশই নারী। এদের পাশেই একটি টুলে বসে আছেন আবু তাহের নামের একজন মধ্যবয়সী লোক। আবু তাহের পঙ্গু ভিক্ষুক মোমিন হোসেনকে জিজ্ঞাো করে— ‘কত টাকা হয়েছে?’ ভিক্ষুক মোমিন বলেন, ‘স্যার এক হাজার টাকা। আবু তাহের তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘দিনের অর্ধেক সময় তো এখনও বাকি আছে, সমস্যা নেই।’

নগরী ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর কান্দিরপাড়ের টমছম ব্রিজ, পুলিশ লাইন, রাজগঞ্জ, রাণীর বাজার, ভিক্টোরিয়া কলেজ মোড়, নগরীর শাসনগাছা, রানীরবাজার, রাজগঞ্জ, চকবাজার, এলাকায় এখন মৌসুমী ভিক্ষুকদের উৎপাত বেড়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার আবাসিক বাসা-বাড়িগুলোতে, মসজিদ, মাজার, মার্কেট বা শপিং মলের সামনেও একই দৃশ্য।

প্রতি বছর রোজার সময়টা কুমিল্লা জেলার আশপাশের জেলা এবং উপজেলার দরিদ্র অঞ্চলগুলো থেকে দলে দলে কুমিল্লা নগরীতে আসতে থাকে ভিক্ষুকরা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ভিক্ষুকদের উৎপাত আগের চেয়ে বেশি।

কুমিল্লা কান্দিরপাড়ের ভিক্ষাবৃত্তি আদায়ে পঙ্গু মোমিন জানান, তার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। তবে রমজান মাসে কুমিল্লায় আসার পর দৈনিক গড়ে ১৫শ’ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। সব ভিক্ষুকেরই এমন আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি। রমজানে ভিক্ষায় বেশি মানুষ আসে কেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘ফিতরাসহ যাকাতের টাকা-পয়সা, শাড়ি কাপড় থাকে বেশি। এ সময় পরিবারের সবার জামা-কাপড়ও পাওয়া যায়।’ এই আশায় তিনিও এসেছেন জেলার বরুড়া থেকে।

নগরীর রিকশা চালক মিজানুর রহমান, অটো চালক সাইফুল এবং ভিক্ষুক নুর ইসলামসহ একাধিক ভিক্ষুকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বছরের এই সময়টাকে টার্গেট করে একটি চক্র দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা দরিদ্র মানুষগুলোকে দিয়ে অর্থ আয় করে। বিশেষ করে হাত নেই, পা নেই, অন্ধ, কঙ্কালসার দেহ, অস্বাভাবিক বড় মাথা ও হাত-পা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘা-এমন মানুষের কদর এদের কাছে বেশি। পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তারা এসময় নগরীতে আসে। সারাদিন ভিক্ষা করে আয় করা টাকার এক অর্ধেকাংশ তাদের দিয়ে বাকি অংশ নিচ্ছে এ চক্রের সদস্যরা। এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, পঙ্গু নয় এমন মানুষকে জোর করে পঙ্গ বানিয়ে, অঙ্গ বিকৃতি ঘটিয়ে নামানো হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে। এছাড়া সামান্য অঙ্গহানি নিয়ে কিংবা সুস্থ দেহের মানুষও ভিক্ষুক হিসেবে ঘুরছে নগরীতে। তাদের বেশির ভাগই নারী। তারা কেউ কেউ কোলের শিশু দেখিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন। কেউ কেউ আবার ঘর গৃহস্থালির কাজের ফাঁকে ফাঁকে ভিক্ষা করেন। এসব শিশু ও একেবারে অচেতন মানুষ ভাড়ায়ও আনা হয়। বিভিন্ন বস্তির শিশুকে দৈনিক ৫০ থেকে ২০০ টাকার বিনিময়ে ভিক্ষুকের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। আর বড়রা পান ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। অনেকে নিজেই ভিক্ষার নামে কোলের শিশু সন্তানকে নিয়ে।

তারা আরও জানায়, ভিক্ষুকদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করা আছে। সব জায়গায় ভিক্ষা করতে পারে না। তাদের আবার তদারকের জন্য আছে নির্দিষ্ট মানুষও রয়েছে। এসব ভিক্ষুক নিজেদের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যায় না। ভাসমান হলেও তাদের অন্যত্র যাওয়ার অনুমতি নেই।

নগরীর টোকাইদের মামা পরিচিত আবু তাহের বলেন, ‘শত শত এসব মৌসুমি ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি জানেন না। তবে তিনি বলেন, রমজান আসলেই এসব ভিক্ষুকের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা দরিদ্র এলাকা থেকে ভিক্ষাবৃত্তি আদায়ে কুমিল্লায় ছুটে আসে।

কুমিল্লা অভয় আশ্রম-শতবর্ষের সাক্ষী//মমিন মোল্লা

কুমিল্লা অভয় আশ্রম-শতবর্ষের সাক্ষী//মমিন মোল্লা

 



 
মমিনুল ইসলাম মোল্লা,  কুমিল্লা :


কুমিল্লার একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান  অভয় আশ্রম। কুটির শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে মহাত্মা গান্ধী ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এ প্রতিষ্ঠান। পৃষ্ঠপোষকতা ও দিকনির্দেশনার অভাবে ২০৭ শতক জমির অধিকাংশ এখন অব্যবহৃত। রয়েছে দখলের অভিযোগ। সচেতনরা মনে করেন ট্রাস্ট্রি প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পিত পরিচালনায় বাস্তবায়ন হবে গান্ধীজীর স্বপ্ন। আবারও স্বনির্ভর হবে হাজার হাজার মানুষ।এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, মানবকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট। এ বিষয়ে আমরা খবর নিয়ে ট্রাস্ট সদস্যদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কুমিল্লার ইতিহাস বিষয়ক একাধিক গ্রন্থের সূত্রমতে, ১৯২১ সালে সবিতা মিশন আশ্রম নামে যাত্রা শুরু করে অভয় আশ্রম। ১৯২৩ সালে মহাত্মা গান্ধী অথবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অভয় আশ্রম নামকরণ করেন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত নগরীর ঢুলিপাড়া পিলগ্রামে অবস্থান ছিলো। বর্তমানে যা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কেটিটিসিএল এলাকার পুরাতন আশ্রম হিসাবে পরিচিত।

নগরীর বাসিন্দা ওয়ালি উল্ল্যাহ রিপন বলেন, মহাত্মা গান্ধী ও বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য অভয় আশ্রম। তাদের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি। শতবছরের ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান আজ অবহেলিত। প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাস্তাবায়ন হবে গান্ধীজির স্বপ্ অভয় আশ্রম ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজির পরিচালক মতিলাল ভদ্র জানান, অভয় আশ্রমের ট্রাস্ট্রে ২০৭ শতক জমি আছে। এখানে মেডিকেল কোর্স একশথজন, কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ৪০ জন ও ছাত্রাবাসে ২০-২৫ শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনাকালে সবগুলো সেবা বন্ধ। এখানে গান্ধীজী, কবি গুরুসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পয়ের ধুলি দিয়েছেন। ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল স্মৃতি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে মতিলাল বলেন, যেহেতু স্বনির্ভরতার জন্য এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। যুগোপযোগী কিছু প্রকল্প বা কোর্স করা যেতে পারে। অভয় আশ্রমের কমিটি আছে। এ বিষয়ে কমিটির সদস্যদের পরামর্শ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রতিটা ধাপে ধাপে অনেক টাকার প্রয়োজন। দোকান ভাড়াসহ প্রতিষ্ঠানের এখন যা আয়, তা খুবই কম। অভয় আশ্রমের সাবেক সভাপতির ছেলে বাসব কান্দি নাথ অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানের অংশিক অন্যদের দখলে চলে গেছে। প্রশাসন যদি সহযোগিতা করে বিষয়টির সঠিক সমাধান হবে।

লেখক ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, গ্রামভিত্তিক কুটির শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার জন্য আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন কংগ্রেস নেতারা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন, চরকা কাটা ও খদ্দের আন্দোলন গড়ে তোলা ছিল অভয় আশ্রমের বিপ্লবীদের কাজ। অভয় আশ্রমের মূল কেন্দ্র লাকসাম রোডে। এছাড়াও চান্দিনা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ৮/১০টি শাখা ছিলো। ১৯২৫ ও ২৭ সালে মহাত্মা গান্ধী পুরাতন অভয় আশ্রমে দুইবার আসেন। ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অভয় আশ্রমের জন্য ভারতবর্ষে কুমিল্লা ব্যাপক পরিচিতি ও খ্যাতি লাভ করে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে অভয় আশ্রমের ভূমিকা ছিলো অগ্রগণ্য। ১৯৩০, ৩২ ও ৪২ সালে পরপর তিনবার অভয় আশ্রমকে বেআইনী ঘোষণা করে বৃটিশ সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামেও অভয় আশ্রমের ভূমিকা রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো অভয় আশ্রম কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যাপিঠ নয়। মানবকল্যাণে এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন কংগ্রেসের নেতারা।

গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট বোর্ড সভাপতি চন্দন কুমার রায় বলেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সুতীকাগার এ আশ্রম। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও তিনটি দেশে এর শাখা ছিলো। আমরা প্রতিষ্ঠানটির নাম টিকিয়ে রেখেছি। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে অনেক কিছু করা সম্ভব। ২০৭ শতক জমি রয়েছে। আরও ৪০শতক জমি কোথায় আছে, তা আমাদের জানা নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে শতবর্ষে আমরা তাই বাস্তবায়ন করবো।

 কুমিল্লার বুড়িচংয়ে দেশীয় অস্ত্র  সহ ১ জন আটক

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ ১ জন আটক



 জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল  আজ সন্ধ্যায় (১৭ জুলাই)  জেলার বুড়িচং থানার পশ্চিম সিংহ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।  অভিযানে ১টি এলজি সহ একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী  বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা পশ্চিম সিংহ (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের আব্দুল হান্নান মেম্বার এর ছেলে মোঃ মাছুম (৩০)।

র‌্যাবের ১১ সিপিসি ২ এর কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন জানান, অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , সে দীর্ঘদিন যাবৎ বুড়িচংসহ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন

 দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন



দাউদকান্দি প্রতিনিধি, নুরুন্নবী দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পুটিয়াতে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার নারী-পুরুষ বাসরা গ্রামের বাঁধন, সুমন, সজীব সরকারসহ কতিপয় কিশোর গ্যাংদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, 'এলাকায় বাঁধন, সুমন ও সজীব সরকারের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় অতিষ্ঠ আমরা । তাদের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা, কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে চাঁদা না দিলে রড, সিমেন্ট, ইট জোরপূর্বক নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেককে হয়রানি করে'। বক্তারা আরও বলেন, 'অনতিবিলম্বে এ সকল অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ সময় গ্রামবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলি আহমদ মিয়াজি, মোঃ হুমায়ুন কবির , ইসমাইল মজুমদার, আলমগীর সরকার, নুরুল ইসলাম মাস্টার প্রমুখ। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি সার্কেল এএসপি মোঃ জুয়েল রানা বলেন, 'কিশোর গ্যাংসহ যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরু টলারেন্স এবং আমরা এব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি। এদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা নেয়া হয়েছে'।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে চলাচল সার্ভিসের মিনিবাস উদ্বোধন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে চলাচল সার্ভিসের মিনিবাস উদ্বোধন


।।মো. শরিফুল ইসলাম।।

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে স্বল্প দুরত্বের যাত্রীদের দুর্ভোগ রোধে ইলিয়টগঞ্জ থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ‘চলাচল মিনি বাস সার্ভিস’ উদ্বোধন করা হয়। সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে মহাসড়কে ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ওই মিনি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি- নিটল নিলয় মটরস এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জাফর উল্লাহ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির ইন-চার্জ মো. জিয়াউল হক চৌধুরী টিপু।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন - চলাচল সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, পরিচালক কেএম জামাল, মো. কামাল মুন্সি, মো. আনোয়ার হোসেন, ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মিঠুন বিশ্বাস, এস.আই সুজন দত্ত, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
চলাচল মিনিবাস সার্ভিসের পরিচালক কেএম জামাল বলেন, মহাসড়কে স্বল্প দুরত্বের যাত্রীদের প্রায়ই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই যাত্রীদের ভোগান্তি রোধ করতে বৈধ উপায়ে রুট পারমিট নিয়ে ‘চলাচল মিনিবাস সার্ভিসের’ যাত্রা শুরু হলো। যাত্রীরা সার্ভিসে চলাচল করে আরাম পাবেন। সিটের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে না।
সঞ্চয়পত্রের অর্থ উৎপাদনমূলক খাতে বিনিয়োগ করা আবশ্যক

সঞ্চয়পত্রের অর্থ উৎপাদনমূলক খাতে বিনিয়োগ করা আবশ্যক

সঞ্চয়পত্রের অর্থ উৎপাদনমূলক খাতে বিনিয়োগ করা আবশ্যক

মমিনুল ইসলাম মোল্লা

জনসাধারণের নিকট থেকে সরকার ঋণ নিতে পারে। এর উত্তম মাধ্যম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষদের বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য স্থান হলো সঞ্চয়পত্র। এতে রয়েছে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, মহিলা, বিধবা মহিলা, মুক্তিযোদ্ধা,
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি ইত্যাদি শ্রেণির  লোক। তারা বিপদের দিনে কারও কাছে হাত পাততে পারে না। তাই সঞ্চয়পত্রকে অবলম্বন হিসেবে মনে করে। বাংলাদেশ ব্যাাংকের যে কোন শাখা , বাংলাদেশে পোস্ট অফিস এবং সিডিউল ব্যাংক, থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। এজন্য ন্যশনাল আইডি কার্ড এর ফটোকপি ও ২ কপি ছবি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নির্দেষ্ট আয়ে সংসার চালানো আনোয়ারা বলেন, স্বামীর চাকুরির বেতন দিয়ে বাসা-ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ চালাই। সঞ্চয়পত্রের লাভ দিয়ে ছেলে মেয়ের পড়া লেখার করচ হয়ে যায়। মূল টাকাটাতো থেকেই গেল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি দিন চার-পাঁচশ নারী পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলে থাকেন। এক দেড়শ”র মতো নতুন সঞ্চয়পত্র কেনেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়১৩-১৪ অর্থবছরের সরকার ৫ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্রে সুদ ব্যয় করেছে ১০৬২ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি সুদব্যায় করেছে পরিবার সঞ্চয়পত্রে। এখাতে সুদব্যায়ের পরিমান ২৪৫৮ কোটি টাকা। ৩ মাস অন্তর সুদবাহী সঞ্চয়পত্রে এ সময়ে সুদ ব্যায় হয়েছে মাত্র ১৩৫১ কোটি টাকা। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদ ব্যায় হয়েছে ৭৭৯৫ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে নিট বিক্রি ১১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থ বছরে ১ হাজার ৮০২ কোটি টাকা, ২০১১ -১২ অর্থ বছরে ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা । ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের প্রথম ৭ মাসে ( জুলাই- জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ১৫ হাজার ৭৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার ৬শ ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি। সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়াতে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে থেরক সুদের হার বাড়ায় সরকার। পরিবার, পেনশনার, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয় পত্র , ডাকঘর ও ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১ শতাংশ থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। 

সঞ্চয়পত্র  কিনলে প্রতি মাসে লাখ প্রতি ১১২১ টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংকগুলো ১০০০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেয়া হয় ৮০০টাকা (একাউন্ট পরিচালনায় খরচ ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে এ টাকা দেয়া হয়। সুদ আসল পরিশোধের পর নিট বিক্রির টাকা সরকারের কোষাগারে থেকে যায়। সেখান থেকে সরকার তার প্রযোজনীয় ব্যায় মেটায়। মার্চ ১৪ থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ার কারনে এখানে বিনিয়োগ বাড়ছে। বর্তমান অর্থ বছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমান লক্ষনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।বর্তমান অর্থ বছরের জুলাই থেকে আগস্ট মাসে আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমান বড়েছে ৬২ শতাংশ ওনিট বিনিয়োগ বেড়েছে ২২৮শতাংশের বেশি। সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি অর্থ বছরের গত দুই মাসে (জুলাই –আগস্ট ) ৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আর আগের অর্থ বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার। র্অ্থাৎ বিক্রি বেড়েছে দুই হাজার ৪০৩ কোটি টাকার। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার।বিক্রি বেশি হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা প্রায় দ্বিগুন বাড়িয়ে ৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাজটে সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।  
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যাংকে সঞ্চয় করেন। এখানে বিভিন্ন ধরণের ব্যাংকে মেয়াদি আমানত বিভিন্ন রকমের। ব্যংকের হিসাব যে কোন সময় ভাঙ্গানো যায়। এদের তারল্য খুব বেশি। অসময়ে ভাঙ্গালে সঞ্চয়ী হিসাবের সুদ পাওয়া যায়। যেখানে যত খুশি তত টাকা আমানত রাখা যায়। হাজার হাজার ব্যাংক শাখা আমানত রাখার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের শ্রেণিবিন্যস্ত করা হয় না। তাই ব্যাংকে আমানতের সাথে সঞ্চয়প্রতর তুলনা করা ঠিক নয়। তবে ব্যাংকে তুলনামূলকবাবে সুদেও হার কম। ব্যাংকগুলোতে প্রচুর নগদ অর্থ ( তারল্য) উদ্বৃত্ত থাকায় আমানতে সুদেও হার কমানো হচ্ছে। এফডিআর এর সুদেও হার ও কমানো হচ্ছে। ব্রংকেলাব কম হয় তাই সাধারণ মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। উদাহরণস্বরূপ ব্যাংকে ফিক্ড ডিপোজিট রাখলে ৯ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। আর পরিবার সঞ্চয় পত্রে পাওয়া যায় ১৩  দশমিক ১৯ শতাংশ। বর্তমানে ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদেও হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চংপত্রে সুদ হার ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশবিদ্যমান রয়েছে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ঝুঁকিহীন। সমাজে সবাই ঝুঁকি নিতে সক্ষম হয় না। নির্ধারিত আয়ের লোক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি যারা অবসরের ভাতা সম্পূর্ণ সারেন্ডার করেছেন, বেসরকারি চাকুরি কওে যারা অবসওে রয়েছেন, তাদেও প্রধান বরসার স্থল এই সঞ্চয়পত্র। এছাড়া অসহায় মহিলা এবং সমাজের অন্যান্য কর্মহীন অংশ যারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কওে সংসার “ খরচ মেটান। তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ ইপদেষ্ট এবি মির্জ্জা অঅজিজুল ইসলাম এবং অর্থনীতির গবেষক জুবায়েদ বখতের মতে, বিনিয়োগে ঝঁকি না থাকায় এবং বেশি লাভের আশায় সহজেই সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন। এত ব্যাংক থেকে সরকারের ্ঋণ নেয়ার পরিমান ও কমছে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণও ডঃ সালেহ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়লে বাজেট ঘাটতি পূরণে কিছুটা হলেও ব্যাংক নির্ভরতা কমে যায়। তবে অন্যদিকে এক্ষেত্রে ঝঁকি তাকে। সঞ্চয়পত্রে বিনেয়োগের টাকা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের কথা বলেন তিনি। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে গেলে সরকারকে বেশি পরিমানে সুদ পরিশাধ করতে হয়। এসব প্রচার ও অপপ্রচারের কথা শুনে সরক রের কেউ কেউ তখন লেগে যায় সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে নিরুৎসাহিত করতে। সুদেও হার কমানো, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের উর্ধসীমা কাটছাট করা। সঞ্চয়প্রত্রর সংখ্যা হ্রাস ইত্যাদি হয়ে ইঠে সরকারের কর্যক্রম ও পদক্ষেপ। সুদেও হার কমলে সাধারণ সঞ্চয়কারীরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মহল ভাল চোখে দেখেন না। কেউ কেউ এত সুদেও হার কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসতে চান। পরিকল্পনা মন্ত্রী অঅহম মুস্তফা কামাল এনসিসি ব্যাংকের প্রধান ববন ও লোগো উদ্বোধনকালে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই সঞ্চয়পতে“ও এমন সিস্টেম নেই।আমাদেও দেশে কিভাবে সঞ্চয়পত“ কিভাবে এল তা আমার জানা নেই ।সঞ্চয়পত“ ও বালিশের নিচে টাকা রাখা একই কথা। তিনি আরও বলেন সঞ্চয়পতে“ সুদেও হার কমবে ।সঞয়পতে“ সুদেও হার কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত“ীরও নির্দেশ দিয়েছেন।” সঞ্চয়পত্র আর্থিক খাতে ভারসাম্য রক্ষার উপাদান হিসেবে কাজ করে। যার কারণে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা হ্রাস পায়।সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেশি হওয়ায় সরকারকে ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত অর্থ ঋণ হিসেবে নিতে হয় নি। পুরো অর্থ বছওে মাত্র সাত হাজার ৯৫১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। অথচ এর আগের অর্থ বছওে ১২-১৩ ঋণ নিয়েছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা। ১১-১২ অর্থ বছওে ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা।  বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্তায়নের অনিম্চয়তার অনেকটাই ভরসার যায়গা সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্র বিক্রির কারেণে সরকারের ঋণের পরিমান বাড়ছে। এ ঋণের টাকা সরকারকে সঠিক যায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। তা না হলে এ ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এ সঞ্চয়পত্রের উপর নির্দিষ্ট হাওে সুদ দিতে হয়। লেখকঃ,গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের ক্যাম্পেনার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক ও সাংবাদিক, ধর্মীয় গবেষক,সহকারী সম্পাদক,দৃষ্টান্ত ডট কম কুমিল্লা।

তৃতীয় প্রধান খাদ্যশস্য ভুট্টা

তৃতীয় প্রধান খাদ্যশস্য ভুট্টা


তৃতীয় প্রধান খাদ্যশস্য ভুট্টা

মমিনুল ইসলাম মোল্লা।বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হলেও বর্তমানে আমাদের ৎপাদিত খাদ্যশস্য বিপুল সংখ্যক জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় হাইব্রিড ধান অন্যান্য ফসলের দিকে কৃষকগণ ঝুঁকছে। তবে বর্তমান খাদ্য সমস্যা সমাধানে ভুট্টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা যায়। তাই শ্লোগান উঠেছেভুট্টা চাষে দুঃখ নাশেলালমনিরহাটের ব্র্যান্ডিং পণ্য ...

বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। কয়েকবছর ধরে প্রদর্শনী করার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিভাগ কৃষকদের এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন তারা নিজেদের উদ্যোগেই অন্য ফসল চাষ না করে অর্থকরী খাদ্যশস্য হিসেবে চাষ করছে ভুট্টা।

খাদ্যশস্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা বেশি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেমনমেক্সিকো, চিলি, মধ্য আমেরিকা এবং পূর্ব দক্ষিণ আমেরিকার লোকদের প্রধান খাদ্য ভুট্টা। আমাদের দেশে ভাতের পরই ভুট্টা স্থান করে নিচ্ছে। বর্তমানে জনসাধারণ ভুট্টার আটা সরাসরি অথবা গমের আটার সাথে মিশিয়ে খাচ্ছে। এছাড়া ভুট্টার মোচা আগুনে পুড়িয়ে বা লবণ পানিতে সিদ্ধ করে কেউ কেউ খাচ্ছেন
তবে গমের আটার সাথে মিশিয়ে খেলেই ভালো পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। দুভাগ ভুট্টার আটার সাথে এক ভাগ গমের আটা মিশিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে কাই বা খামির তৈরি করে গমের রুটির মতো রুটি তৈরি করা যায়। তেল বা ঘি দিয়ে দুভাগে ভ্ট্টুার আটা এবং এক ভাগ গমের ময়দা একত্রে মিশিয়ে উন্নত মানের পরোটা তৈরি করা যায়
এছাড়া ভুট্টার খই জনপ্রিয় খাবার। ভুট্টাগুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে উত্তপ্ত কড়াইয়ে ভেজে সামান্য খাবার তেল মিশিয়ে এই খই তৈরি করা যায়। খৈ থেকে মোয়াও বানানো যায়। সুস্বাদু মোয়া তৈরি করতে হলে সে খৈ-এর সাথে সামান্য আখের গুড় পানি মিশিয়ে আলাদা পাত্রে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে মোয়া বানানো যায়। এছাড়া খইগুলো গুড়ো করে নাড়এবং ঢেঁকিতে আধা ভাঙা করে প্রয়োজন মত দুধ, চিনি অথবা গুড় মিশিয়ে চালের মত একই নিয়মে ক্ষীর পায়েশ রান্না করে মেহমানদারী করা যায়
বাংলাদেশে আবাদী জমির পরিমাণ কম। তাই একজন কৃষক একটি ফসল চাষ করলে অন্যটি চাষ করতে পারেন না। এজন্য অনেকে ভুট্টা চাষ করতে ৎসাহী নয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষ লাভজনক
ভুট্টায় ভাতের চেয়ে অধিকতর প্রোটিন ভিটামিন থাকে। রবি খারিফ উভয় মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা যায়। পানি ভাসে না এরূপ জমিতে ভুট্টার ফলন বেশি হয়। সময় প্যাসিফিক-১১ বর্ণালী অথবা মোহর জাতের ভুট্টার ফসল বেশি পাওয়া যায় ধরনের ভুট্টার ফলন প্রতি একরে প্রায় ২টন। এগুলো প্রায় মাসে ৎপাদন হয়। -৩০ অক্টোবরের মাঝে বীজ বপণ করলে মার্চ-এপ্রিল মাসে ফলন পাওয়া যায়
এছাড়া খারাপ মৌসুমেও চাষ করা যায়। ১৫ ফেব্রয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বীজ বপণ করলে জুন মাসে ফসল ঘরে উঠবে। এছাড়া খরিপ- জুলাই-আগস্ট মাসে বপণ করলে ফসল কাটা যাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। সময় শুভ্রা, সোয়াস- অথবা প্যাসিফিক-১১ জাতের ভুট্টা চাষ করা যেতে পারে
ভুট্টা চাষের জন্য মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য গোবর সার, রুটোম, ইউরিয়া, টিএসপি, এসওপি, জিপসাম, লিবারেল দস্তা, লিবারেল বোরণ দিতে হয। ভুট্টার জমিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় রোগ বালাইয়ের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে কাটুই পোকা, মাজরা পোকার প্রকোপ দেখা যায়
ভুট্টা ক্ষেতে সেচ দিলে মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা বীড়া মাটির উপরে উঠে আসে এবং পাখি খায়। বিষটোপ হিসাবে মর্টার ৪৮ ইঞ্চি গম বা ধানের কুড়ার সঙ্গে মিশিয়ে সন্ধ্যাবেলা আক্রান্ত ক্ষেতে চারা গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করলে কাটুই পোকা মারা যায়। আর মাজরা পোকা থেকে বাঁচার জন্য ফিলিটাপ ৫০ এসপি (কারটাপ) প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৫ গ্রাম করে মিশিয়ে ¯েপ্র করলে মাজরা পোকা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমাদের দেশে খাদ্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা কম। তবে পোল্ট্রিতে চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অধিক পরিমাণে ভুট্টা চাষ করা গেলে আমাদের অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে বিদেশ থেকে মুরগীর খাদ্য আনতে হবে না
এছাড়া জ্বালানী হিসেবে ভুট্টার কোনো তুলনা হয় না। একবার জমি চাষ করা গেলে ১০০ মণ জ্বালানী (এক একরে) পাওয়া যায়। ফলে কৃষকদের জ্বালানী কিনতে হয় না
বর্তমানে চলমান খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় ভুট্টা চাষ একটি আলোকিত পদক্ষেপ। ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করে কৃষক তার অভাব দূর করতে পারে। অন্যদিকে জাতীয় খাদ্য সমস্যার সমাধানেও এটি সহায়ক