সাংবাদিক আর রাজি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।

মিজানুর রহমান আজহারির বই
#বুকপিয়ন_বই_পরিচিতি
বইয়ের নাম: ম্যাসেজ
লেখকঃ মিজানুর রহমান আজহারি
পৃথিবী এক মুসাফিরখানা; আসা যাওয়া এর চরম বাস্তবতা।এটি এমন একটি জায়গা,যেখানে অনাবিল সুখ কখনো সম্ভব নয়। এখানে রয়েছে প্রচুর নিয়ামত, তবে তা নিয়ম মেনে মানুষের কাছে পৌঁছে। আছে স্বাধীনতা, কিন্তু তা লাগামছাড়া নয়। রবের এ দুনিয়ার একটা নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়।নিজেকে ভাঙ্গা গড়ার মধ্যে রাখতে হয়।আসীম দুনিয়ার জন্য সর্বদা নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়।নিয়মের হেরফের হলে শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে; পৃথিবীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠে।
একটি বাসযোগ্য বসুধা নির্মাণে ইসলাম সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত শাশ্বত প্রেসক্রিপশন; একই সাথে পরকালীন জীবনের চিরস্থায়ী সুখের একমাএ গ্যারাণ্টি। সেই প্রেসক্রিপশন তুলে ধরার প্রয়াসের নাম।
💞ম্যাসেজ।💞
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা বিষ্ণুপুর বাজার মিষ্টি দোকানে মিষ্টি ক্রয় করার সময় মিষ্টির বক্সের ওজন দেখতে পেলাম ১৮০ গ্রাম থেকে ২২০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েথাকে, সুতরাং এতে মিষ্টি গ্রহীতা প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম মিষ্টি পর্যন্ত কম পেয়ে থাকেন, তাই মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহীকর্মকর্তা ও পুলিশ প্রসাশন কে অনুরোধ করছি, বাঙ্গরা বাজার থানা বিষ্ণুপুর বাজারে মিষ্টির দোকান গুলোতে পরিদর্শন করে ঐসব অসাধু মিষ্টি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।
মাহবুব আলম,অঅমরা মুরাদনগর উপজেলার জনগণ,মুরাদনগর,কুমিল্লা

নাও ওঠিয়ে করোনা
কোম্পানিগঞ্জ থেকে নবীনগর যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হউন
Viral news bd #
online verson
কোম্পানিগঞ্জ থেকে নবীনগর যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন,চলছে অভিনব প্রতারণা।নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা একটু সতর্ক ও সাবধান থাকবেন। কেননা, এই সড়কে যাত্রীবেশে ছিনতাইকারী থাকার খবর পাওয়া গেছে। সিএনজিতে যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীদের সাথে বোরখা পড়া নারী সদস্যও থাকে। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হলো, সিএনজির ড্রাইভারও ওই ছিনতাইকারী দলেরই একজন সদস্য।
কাজ করার মাঝেই ভেঙে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রোডের ড্রেন
বিভাগ-মতামত
কাজ করার মাঝেই ভেঙে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রোডের বাঙ্গরা বাজারের প্রায় মাস খানেক আগে ড্রেনেজ কাঠামো মেরামত ও সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ড্রেন।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারকে ইজারা মুক্ত করে দিলেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি।।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারকে ইজারা মুক্ত করে দিলেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি।।
এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কোম্পানীগঞ্জ বাজারের প্রায় ২ হাজার ব্যবসায়ীদের ইজারা মুক্ত করে দিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ।
কুমিল্লা-সিলেট পাশে কোম্পানীগঞ্জ বাজার। উপজেলার সাড়ে ছয় লক্ষ জনপদের প্রাণ কেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ বাজরে পার্শবর্তী নবীনগর, হোমনা, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, বি-পাড়া, দেবিদ্বার থানার পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের একটা অংশ এই বাজারে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের পক্ষ থেকে সকল দোকানকে ইজারা মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তার পর থেকে বেশ আনন্দিত কোম্পানীগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ভাসমান খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার কারনে দোকানের বেচা বিক্রি বন্ধ প্রায়। আমাদের এই দুঃসময় বাজার ইজারা মুক্তর খবর সত্যি আনন্দের। দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের এমপি সাবেরে নেক হায়াত দান করে।
ইজারাদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, মাননীয় এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের নির্দেশে মাহে রমজানের পুরো মাস কোম্পানীগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন প্রকার ইজারা নেয়া হবে না। রমজান মাসের শেষে এমপি মহোদয়ের পরবর্তী নির্দেশনা নিয়ে ইজারা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংবাদপত্র নয় সাংবাদিকেরও স্বাধীনতা চাই
সংবাদপত্র নয় সাংবাদিকেরও স্বাধীনতা চাই
প্রতিদিনই কোন কোন ঘটনা ঘটছে। সেটি ভাল কিংবা খারাপ দুটোই হতে পারে। এ গুলোর মধ্যে সাধারণ মানুষের জানার ইচ্ছে আছে ব্যতিক্রমধর্মী ঘনটাগুলো পরের দিনের পত্রিকায় সংবাদ হিসেবে ছাপা হয়। ছাপা হওয়ার পর কেউ কেউ অপমান বোধ করতে পারেন , কার ও মাশুল দিতে হয়, কারও বা আরো বড় ধরনের ক্ষতি হয়। মূলত এ ক্ষতির জন্য সংবাদপত্র দায়ী নয় ঘটনার নায়কই দায়ী। কিন্তু এ দায়ভার “উদোর পিন্ডি ভুদোর ঘাড়ে ”চাপানোর মতো সাংবাদিক কিংবা সংবাদপত্রকে দোষ দেয়া হয়। এজন্য বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের হয়রানীসহ সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করা হয়। সংবাদপত্রের উপর সেন্সরশীপ আরোপ করে প্রকাশনার পথ বন্ধ করা হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমান বিশ্বের সর্বোত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে মনে করা হয়। সেদেশের সংবিধানের প্রধান সংশোধনীতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। “ঈড়হমৎবংং ংযধষষ সধশব হড় ষধি ধনৎরফমরহম ঃযব ভৎববফড়স ড়ভ ংঢ়ববপয ড়ৎ ড়ভ ঃযব ঢ়ৎবংং” অর্থাৎ স্বাধীন মত প্রকাশে কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে কংগ্রেস কোন আইন প্রণয়ন করতে পারবে না। ”
সেন্সরশীপ আরোপ করা অথবা জবাবাদিহীতার ব্যবস্থা করা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এই ব্যপারে প্রধান বিচারক বাাু কল্যাণ বিশ্বাস করেন যে, যদি কোন রিপোর্টার বা সম্পাদককে সতর্ক থাকতে হয় যে, তার কাজ আইনের আদালতে বিচার করা হতে পারে। তাহলে তিনি সৃষ্টিশীল ও অনুসন্ধিৎসু কর্মে নিরুৎসাহিত হয়ে পরেন এবং তখন দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পূর্বশর্ত আর থাকবেনা।গণমাধ্যমের স্বাধিনতা প্রসঙ্গে সাধারণ ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৯ ধারায় বলা হয়েছে ঃ কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রত্যেকের স্বাধীন মতামত সংরক্ষনের অধিকার আছে। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার থাকবে। মৌখিক ভাবে লিখে কিংবা ছাপিয়ে শিল্পের দ্বারা পছন্দমত যে কোন মাধ্যমে তা প্রকাশের অধিকার স্বীকৃত। তবে এক্ষেত্রে অন্যের অধিকারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অপরের অধিকার ও খ্যাতি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ব্যাপারে হালস্মারীস লস অব ইংল্যান্ড ১৮ ভল্যুয়মের চতুর্থ সংস্করনের ১৬৯৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “প্রত্যেকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে এবং কর্তৃপক্ষীয় কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই ও সীমা চৌহদ্দি বিবেচনা না করেই মতামত ব্যক্ত, তথ্য ও আদর্শ স্বধীনভাবে প্রকাশের অধিকার ও স্বীকৃত। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে রেডিও, টেলিভিশন ও সিনেমার লাইসেন্স সম্পর্কিত বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি থেকে প্রতিহত করা যাবে না।দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বধীনতা সীমিত। এখানে সরকারী নীতি ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করা হয়। অফিসিয়াল সিক্রেসী অ্যাক্ট এর নামে জনগণকে তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে সম্পূর্নভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত মাত্রায় থাকলেও সাংবাদিকের স্বাাধীনতা আরো বেশী সীমিত। একজন সাংবাদিক প্রথমত রাষ্ট্রীয় প্রশাসন দ্বিতীয়ত সাংবাদপত্রের মালিক তৃতীয়ত সন্ত্রাসী ও সংবাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। ফলে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন খুবই কাষ্টকর। গ্রেট বৃটেনের হাউস অব কমন্স নিশ্চয়তা দিয়েছে যে প্রত্যেকটি স্বাধীন ব্যাক্তিরই অধিকার আছে যাতে করে জনগণের সামনে সে মত প্রকাশ করতে পারে।
বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ না থাকলে দেশের প্রকৃত ঘটনা কোন প্রত্রিকায় প্রকাশ পাবে না। সত্য যতই কঠিন হোক না কেন তা প্রকাশ পাওয়াই উত্তম। তাই আমাদের দেশে সংবাদপত্রের পুর্ণ স্বাধীনতা দেয়া উচিৎ। সংবাদপত্রের স্বধীনতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের স্বধীনতাও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সংবাদপত্র সাধারণ পাঠকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে।

সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়না যে কারণে
সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়না যে কারণে
মমিনুল ইসলাম মোল্লাসাংবাদিকগণ সমাজের অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ও মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনা প্রকাশ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সতর্ক করে দেয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ বিণির্মাণের চেষ্টা করছেন।একাজে সবাই সাধুবাদ জানানোর কথা থাকলে ও বর্তমানে এর উল্টো হচ্ছে। সাংবাদিকতা সম্পর্কিত আনার্জাতিক সংগঠন সিপিজে বলেছে -অপরাধ, মতানৈক্য, ও দমন নিপিড়ন এর খবর চাপা দেয়ার জন্য সরকারও অপরাধীদের পুরনো কৌশলের পাশাপাশি নতুন নতুন সব হুমকির মোকাবেলা করছে সাংবাদিকগণ।এক জরিপে দেখা যায়, বর্তমান সরকারের ৩ বছর ১ মাসে ১৪ সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই খুন হয়েছেন ১০ জন ।সড়ক ও জনপদ খুন করেছে ৫ জনকে।এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ৩৪০ জন।
ঢাকার বাইরে সাংবাদিক খুনের ঘটনা বেশি।কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট এর গবেষনা অনুযায়ী ১৯৯৬ থেকে বাংলাদেশে পেশাগত কারণে ১২ সাংবাদিক খুন হয়েছেন।এরা সকলেই রাজধানীর বাইরে কর্মরত ছিলেন।ঢাকায় খুন হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেনঃ সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খানম, (২৮ জানুয়ারি২০১১) এনটিভির ভিাডও এডিটর আতিকুর রহমান(০৯) কেরানীগঞ্জের দি নিউ এজের সাংবাদিক আঃ লতিফ পাপ্পু (২ মার্চ০৪) সাংবাদিক আলতাফ হোসেন সাপ্তাহিক বজ্রকণ্ঠ, (৭ এপ্রিল১১) ও সাগর –রুনি ।(১১ ফেব্রæয়ারি ১২)।সাংবাদিকদের জন্য মৃত্যুভ্যালী খুলনা।খুলনায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ডুমুরিয়া, খুলনার দৈনিক অনির্বাণের প্রতিনিধি নহর আলী, একই যায়গার শুকর আলী, দৈনিক পুর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার হারুন আল রশিদ, (২ মার্চ ০২) দৈনিক সংগ্রামের খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চফি বেলাল হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির বালু (২৭ জুন০৪) খুলনা ব্যুরো চীফ মানিক সাহা (১৫ ফেব্রæয়ারি০৪)।এছাড়া সন্ত্রাসীরা অপহরন করে চিরদিনের মত নিখোঁজ করে দিয়েছে খুলনার ডুমুরিয়ার সাংবাদিক সরদার শুকুর হোসেনকে, ।তিনি ৫ জুলাই ০২ নিখোঁজ হন।এভাবে হারিয়ে যান চুয়াডাঙ্গার দিন বদলের কাগজের বজলুর রহমান (১২ জুন ৯৬)।এছাড়া সন্ত্রাসীদের কোপনলে প্রাণ দিয়েছেন বরিশালের মুলাদি প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল ইসলাম টুটুল (২৩ ডিসেম্বর০৯),গাজীপুরের সাম্প্রতিক সময়ের সাংবাদিক এস এম আহসান হাবিব বারী, (আগস্ট০৯ ),নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের ইনকিলাব প্রতিনিধি আবুল হাসান আসিফ(ডিসেম্বর ০৯) , সিলেটের সাপ্তাহিক ২০০০ প্রতিনিধি ফতেহ ওসমানী , (২৮ এপ্রিল১০)বরিশালের মুলাদীর মনির হোসেন বারী ( ২৩ ডিসেম্বর১০)।
এছাড়া ৭ ডিসেম্বর ১১ গাইবান্ধার দৈনিক ভোরের ডাকের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু নিহত হন, ৭ এপ্রিল ১১, চট্টগ্রামের দৈনিক আজকের প্রত্যাশার প্রতিনিধি মাহবুব টুটুল নিহত হন।সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন নিহত হন ১৯৯৬ সালে, একই সময়ে নিহত হন ঝিনাইদহ জেলার ইলিয়াস হোসেন দিলিপ, ৯৬ সালেই খুন হন নীলফামারীরর কামরুজ্জামান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খুন হন ৬ জুলই ৯৮ । সুত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে নিহত হন মীর ইলিয়াস হোসেন (ঝিনাইদহ), ১৬ জুলাই ২০০০ খুন করা হয় দৈনিক জনকণ্ঠ প্রতিনিধি সামছুর রহমানকে (যশোর), ২ অক্টোবর০৪ নিহত হন বগুড়ার দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক দিপঙ্কও চক্রবর্তী, ১৭ নভেম্বর০৫ খুন হন দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতুম দাস।এছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর নিজ বাসায় খুন হন কুমিল্লা নিবাসী দৈনিক কুমিল্লা মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক গোলাম মাহফুজ।এছাড়া আমরা হারিয়েছি দেনিক স্ফুলিঙ্গের আঃ গাফ্ফার চৌধুরি (৯৪) , মোঃ কামাল হোসেন,পাক্ষিক মুক্তমনের সাটাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম ওরফে রানা ( আগস্ট ০৯) শফিকুল ইসলাম টুটুটল (১০) বীর দর্পণের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দিলিপ(জানু২০০০)।
সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার পেছনে দায়ী কারণগুলো হচ্ছেঃ তদন্তকাজে ধীরগতি , চার্জশীট প্রদানে বিল¤ব , তদন্তের নামে কালক্ষেপন, মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা, মূল আসামীকে পাশ কাটিয়ে চার্জশীট প্রদান, দুর্বল অভিযোগ উত্থাপন, ও চার্জশীটভূক্ত আসামীদের গ্রেফÍার না করা। এছাড়া বাদীকে হুমকি প্রদান ও নি¤œ আদালতের দীর্ঘসূত্রীতার কথা উল্লেখ করা যায়।আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব, বিবাদী পক্ষ শক্তিশালী হওয়ায় কেউ সহজে সাক্ষ্য দিতে চায় না।ফলে আসামীরা সহজে ছাড়া পেয়ে যায়।সমপ্রতি দুটি হত্যা মামলার আসামীরা বেকসুর খালাস পায়।নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যগণ জানান, সাংবাদিক সমাজ ছাড়া অন্য কোথাও আমাদের যাওয়ার যায়গা নেই।কিন্তু তারা যদি সহকর্মীদের খুনিদের বিচার না চেয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে তাহলে আমরা কখনোই ন্যায় বিচার পাব না।
সিপিজে (আমেরিকাভিত্তিক সংস্থা ) এর মতে -১৯৯২ সাল থেকে এপর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অন্তত ১৫৬ জন সাংবাদিক হত্যার মামলা এখনও অমীমাংশিত রয়েছে।প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার এর তথ্য অনুযাযী সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিশ্বের ১৭৮ টি দেশের মধ্যে মেক্সিকোর অবস্থান ১৩৬ । বাংলাদেশের অবস্থাও সুবিধের নয়।নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নলিস্টস এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে মুক্ত সাংবাদিকতার ঝুঁকি বাড়ছে।সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সমাজ যেভাবে একাত্ম হয়ে আন্দোলন করেছে এর আগে তা কখনও দেখা যায়নি।হত্যাকান্ডের পর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্তরে অনশন, প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ, জেলা ও উপজেলায় সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, ও মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন যুগপদ আন্দোলন করেছে।এসংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, (বিএফইউজে) , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, (ডিইউজে) জাতীয় প্রেস ক্লাব ,এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিি ট(ডিআরইউ)।এছাড়া ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচী দেয়।২০১১ সালে মুক্ত গনমাধ্যম দিবস উপলক্ষে নিহত সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন-সাংবাদিক খুনের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পেশাগত কারণে গেস্খফÍারকৃত সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে।”বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হলেও থেমে থাকেনি খুন ও নির্যাতন । বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে সন্ত্রাসীদের খুনের তালিকায় রয়েছেন-দৈনিক জনবাণীর রিপোর্টার বেলাল হোসেন, যশোরের দৈনিক রানারের গোলাম মাজেদ, রাঙ্গামাটির ”এনটিবি” প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, নারায়নগঞ্জের প্রধান দৈনিকের সাংবাদিক আহসান আলী, ও মৌলবীবাজারের ফারুক আহমদ।খুনিরা অস্ত্র আর পেশি শক্তির বলে বলিয়ান। মানুষ খুন যেন তাদের নেশা হয়ে গেছে।তাই একের পর এক খুন তারা করেই যাচ্ছে। একটি খুনের মামলা শেষ না হতেই আরেকটি ঘটনা ঘটে যাচ্ছে; ফলে পুর্ববর্তী ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। যখন যারাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকেন তারা একটিই বক্তব্য দেন, আর সেটি হচ্ছে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল । এই ভালো (?) সময়েই ৩৯ জন সাংবাদিককে আমরা হারিয়েছি আরো কত ঘাতক বসে আছে তা আমরা জানিনা। সাংবাদিক হত্যা- নির্যাতনের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কেই নিতে হবে। নিহত সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে এবং কর্মরত সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ও সাংবাদিক, কুমিল্লা।

মফস্বল সাংবাদিকদের সুখ-দুঃখ
মফস্বল সাংবাদিকদের সুখ-দুঃখ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
মফস্বল শব্দের আভিধানিক অর্থ শহরের বাইরের স্থান বা গ্রাম। এ অর্থে মফস্বলের খবর মানে গ্রামের খবর বাস্তবে রাজধানীর বাইরে উপজেলা- জেলার সংবাদকে বুঝায়। সুতরাং মফস্বল সাংবাদিকতা বলতে ঢাকার অফিস স্টাফের বাইরের সাংবাদিকদের বুঝানো হয়। বর্তমানে ঢাকার পত্রিকাগুলো মফস্বলের খবরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নামে পাতা রাখা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ বাংলার মুখ ( দৈনিক যুগান্তর ), সারা দেশ ( প্রথম আলো) , দেশের খবর ( দৈনিক জনকণ্ঠ ), লোকালয় ( দৈনিক সমকাল )।ধরি, চলতি বছরের বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ ১০০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষে জানা সম্ভব নয় কোন জেলার কোন গ্রামে ব্যায় করলে এ টাকার সদ্ব্যবহার হবে । মফস্বল সাংবাদিকগণ প্রতিটি গ্রামে ঘুরে ঘুরে এ তথ্য পত্রিকায় সহজেই ফুটিয়ে তুলতে পারেন । বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সকল পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও সাংবাদিকতায় তেমন একটা দেখা যায় না। দু/চারজন সাহস করে আসলেও তাদেরকে এগুতে দেয়া হয় না। একটি উপজেলার রাজনৈতিক সংঘর্ষের নিউজ এলাকাবাসী বিস্তারিতভাবে পত্রিকায় দেখতে চান ।মফস্বলের সাংবাদিক হয়তো বিস্তারিতভাবেই পাঠালেন কিন্তু মফস্বল সম্পাদক ভাবলেন ঢাকা থেকে এতদূরের ঘটনা বিস্তারিত কি দরকার? তিনি সেটি ছোট করে ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ছাপালেন। এটি ঐ এলাকার লোকজনদের প্রতি সুবিচার করা হলো না। সত্যিকারের সাংবাদিক নিউজ করার সময় আগ-পিছ ভেবে করেন না। তিনি সত্যকে ভালবাসেন, নিউজটা সরকারি কর্মকর্তা , পুলিশ, রাজনৈতিক কর্মী, কিংবা হোয়াইট কালার মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে গেলেও তিনি তাতে পীছ পা হন না । দুঃখজনক হলেও সত্য নিউজ করার পর সাংবাদিক কোন সমস্যায় পড়লে তখন হেড অফিসের কাঙ্খিত সাহায্য ও সমর্থন পাওয়া যায় না ।
১৯৭৪ সালেরসংবাদপত্র কর্মচারী (চাকুরির শর্তাবলী ) আইন অনুযায়ী প্রত্যেক সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের সময় সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সংবাদপত্র কর্মচারীকে একটি নিয়োগপত্র দিতে হবে । এ নিয়োগপত্রে কর্মচারীর নাম পিতার নাম, ঠিকানা, নিয়োগের তারিখ , চাকুরির ধরণ ও চাকুরির শর্তাবলী উল্লেখ থাকতে হবে। প্রত্যেক কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা ছাড়াও ভবিষ্যৎ তহবিলের সুযোগ পাবেন । সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবে না, পেশাদার সাংবাদিকতায় সাংবাদিকগন নৈমিত্তিক ছুটি বাদেও কর্তব্যে ব্যায়িত সময়ের কমপক্ষে এগার ভাগের একভাগ সময় পূর্ণ মজুরীতে ছুটি পাবেন, চিকিৎসা ছুটি পাবেন, প্রত্যেক সংবাদপত্র কর্মচারী ও তার পোষ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যায় সংশ্লিষ্ট সংবদপত্র প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে বহন করবে। এ আইন অমান্য করলে শাস্তির ব্যাপারে ১৮ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি এ আইনের কোন বিধান অথবা এ আইন মোতাবেক প্রণীত কোন বিধি লংঘন করলে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানয় দন্ডনীয় হবেন। সংবাদপত্রটি সমিতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হলে এবং প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, ও অন্যান্য কর্মকর্তা ( যারা জড়িত ) প্রত্যেকেই একই দন্ডে দন্ডনীয় হবেন । ওয়েজ বোর্ড এর হিসেব অনুযায়ী একজন নিজস্ব প্রতিবেদক গ্রেড-৩ এর অন্তর্ভুক্ত । তার সাথে একই গ্রেডে রয়েছেন সহ-সম্পাদক, আলোকচিত্র সম্পাদক, নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্রীড়া প্রতিবেদক, আর্টিস্ট, কার্টুনিস্ট, সিনিয়র সম্পাদনা সহকারী এবং সংবাদ গ্রন্থাগারিক । বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকগণ হেড অফিসের বাইরে কাজ করতে পারেন। এ পদটি গ্রেড-১ এর আওতাভূক্ত । বিশেষ সংবাদদাতা হেড অফিসের ইচ্ছে অনুযায়ী ও প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন যায়গায় কাজ করতে পারেন । তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিউজ সংগ্রহ , রচনা, ব্যাখ্যা, ও বিশ্লেষণ করেন। নিজস্ব প্রতিবেদক হিসাবে যারা কাজ করেন তাদের গ্রেড -৩। তিনি পত্রিকার প্রকাশনা কেন্দ্রে নিযুক্ত থেকে খবর সংগ্রহ, তা লেখা ও উপস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন । বর্তমানে ক শ্রেণীর পত্রিকাগুলো জেলা ও বিভাগে ব্যুরো অফিস দিয়ে তাকে । হিসেব অনুযায়ী ব্যুরো প্রধান দায়িত¦ পালন করে নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতা ভোগ করবেন । ব্যুরো প্রধান নিজস্ব প্রতিবেদক , সহ সম্পাদক বা বার্তা সম্পাদক হিসাবে তার স্বাভাবিক দায়িত্ব ছাড়াও যে কোন স্থানে বার্তা সংস্থার ব্যুরো বা শাখা অফিসের সার্বিক দায়িত্ব পালণ করেন । পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক গ্রেড -৩ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি পাবেন । তিনি সংবাদ সংস্থার সদর দপ্তরে বা কোন ব্যুরো অফিসে নিুযুক্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহ ও উপস্থাপনা করেন । এছাড়া নিজস্ব সংবাদদাতা ও গ্রেড -৩ এর অন্তর্ভূক্ত । তিনি সংবাদ সংস্থার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসাবে সংবাদ সংগ্রহ করে ডাক বা যেকোনভাবে সংবাদ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর কাজ করেন ।এছাড়া গ্রেড-৪ এ রয়েছেন শিক্ষানবীশ সহ সম্পাদক, শিক্ষানবীশ নিজস্ব প্রতিবেদক ও শিক্ষানবীশ নিজস্ব সংবাদদাতা।
ঢাকার একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরতে হয়। যদি উপজেলা প্রতিনিধি না থাকে তাহলে দূরবর্তী উপজেলাগুলোতেও হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় । সাংবাদিক নেতারা সাংবাদিকদের স্বার্থ নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার । কিন্তু মফস্বলের সাংবাদিকগণ কেমন আছেন তা তারা জানতে চান না । কুমিল্লার মুরাদনগর চট্টগ্রাম বিভাগের একটি বৃহত্তর উপজেলা । এ উপজেলার সাংবাদিকগণ উত্তর থেকে দক্ষিণে ৬০ কিলোমিটার পথের খোঁজ-খবর রাখেন । এ খবর রাখতে গিয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে কত টাকা যে খরচ হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও সেটা তারা করেন শুধুমাত্র সম্মানের আশায় । বর্তমান যুগ স্যাটেলাইটের যুগ । প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া অনেক এগিয়ে রয়েছে । সকাল দশটায় কোন ঘটনা ঘটলে পত্রিকায় সে ঘটনার ছবি ও সংবাদ ঐ এলাকায় আসবে পরদিন দশটায়। অন্যদিকে সাথে সাথে এ ঘটনার কথা টিভির নীচে দিয়ে স্ক্রল আকারে সাথে সাথেই দেখানো সম্ভব । টিভির স্ক্রীনে দেখে একটি পত্রিকার ডেস্কম্যান তার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিকে এসাইনমেন্ট দিলেন তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পাঠানোর জন্য । এসব এসাইনমেন্টের কাজ মফস্বল সাংবাদিকগণ গুরুত্ব সহকারে করেন । এতে তার দক্ষতা ফুটে উঠে । কিন্তু মাঝে মাঝে চলতি ঘটনা বাদেও স¦ার্থপুষ্ট হয়ে এলাকার কুখ্যাত অত্যাচরী রাজনৈতিক নেতার গুনগান গেয়েমফস্বল সাংবাদিককে লিখতে বলা হয় । এ রিপোর্ট ছাপানোর পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এলাকা ত্যাগ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। এছাড়া এ সাংবাদিকের নিউজের ব্যাপারে ফেসবুকে পাঠকদের বহু ধরণের মন্তব্য করতে দেখা যায়। অথচ সাংবাদিক হেড অফিসের নির্দেশে সেটি করেছেন। এ সাংবাদিকের যেহেতু কোন স্থায়ী নিয়োগপত্র নেই তিনি এসাইনমেন্ট না নিলে তাকে বাদ দিয়ে অন্য ক্উাকে নিয়োগ দেয়া কোন ব্যাপার নয় । ঢাকার সাংবাদিকদের মত মফস্বলের সাংবাদিকগণও সকালে ঘর থেকে বের হন । বউ বাজারের থলে হাতে দিয়ে বলে এটা আনতে হবে /ওটা আনতে হবে। বৃদ্ধ বাবা বলে “ খোকা ফেরার সময় আমার হার্টের ওষুধটা আনিস বাবা, মেয়ে বলে বাবা আমার ফরম ফিলাপের টাকার কি খবর ? ১০ তারিখের পরে গেলে লেট ফাইন দিতে হবে কিন্তু ।” সাংবাদিক সাহেব তখন ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকেন। তাকে অফিস থেকে যা দেয়া হয় ( সব পত্রিকা দেয় না) তাতে তার নিউজ কালেকশন খরচও উঠে না। কিন্তু বিকাল ৫ টার মধ্যে ন্্্্্্্্্উজি অফিসে না পৌছলে তাকে বকা-ঝকা শুনতে হয় ।
যেসব মফস্বল সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। বিশেষ করে নীলসাগর পত্রিকার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, দৈনিক রানারের সাইফুল আলম মুকুল, দৈনিক বীর দর্পণ এর মির ইলিয়াস হোস্ঈান , যশোরের শামসুর রহমান, এর মৃত্যু আমাদেরকে বিশেষভাবে নাড়া দেয় ।
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, প্রভাষক , সাংবাদিক ও ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা। সধসরহসড়ষষধয@ুধযড়ড়.পড়স

কুমিল্লার মুরাদনগরের সাইনবোর্ডে বানান ভুলের ছড়াছড়ি
কুমিল্লার মুরাদনগরের সাইনবোর্ডে বানান ভুলের ছড়াছড়ি
খেয়ালখুশিমত বাংলা বানান লেখা হচ্ছে কুমিল্লার মুরাদনগরের সাইনবোর্ডগুলোয়। একই শব্দ একেক সাইনবোর্ডে একেক বানানে লেখা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটছে, তেমনি শিশুর ভাষা বিকাশে ঘটছে ত্রুটি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লার সাইনবোর্ড ও দেয়াললিখনের কাজে যারা নিয়োজিত রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই স্বল্পশিক্ষিত। এদের পরিচয় ‘আর্টিস্ট’। লেখাপড়ার দৌড় খুব বেশি হলে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত। এসব আর্টিস্ট দ্বারা যখন কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কিংবা বাসাবাড়ির সাইনবোর্ড, ব্যানার বা দেয়াললিখনের কাজ করানো হয়, সেগুলোর বানান থাকে ভুলে ভরা।
মুরাদনগরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানগুলোতে দেখা যায়, ফার্নিচার শব্দটিই একেক দোকানে একেক বানানে লেখা হয়েছে। যেমন- মুরাদনগর ফার্নিশার্স, রাসেল ফার্নিসারস, হোম ফার্নিষার্স ইত্যাদি। এ ধরনের অসংখ্য ভুল বানান চোখে পড়ে মুরাদনগরের দোকানগুলোর বেশিরভাগ সাইনবোর্ডে।এসব সাইনবোর্ড থেকে বাচ্চারা ভুল বানান শিখছে। তাই ভাষার মাসেই এগুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করছি।মোঃ শরীফুজ্জামান ০১৭১১-৭১৬৫৪৭
কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর কুমিল্লা
।

শাক -সব্জী খান,ক্যান্সার তাড়ান
শাক -সব্জী খান,ক্যান্সার তাড়ান
খাদ্য ক্ষয় পূরণ, দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষুধা নিবারন করে। আমরা অনেকেই গুণাগুণ হিসেব না করেই খাই। যা পাই, তাই খাই। ভাল খাবারও খাই, অপ্রয়োজনীয় খাবারও খাই। ফলে আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। আমরা মিষ্টি ও চর্বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পছন্দ করি। প্রকৃতপক্ষে শাক-সব্জি সবার জন্য উপকারী খাদ্য। অথচ কেউ কেউ বলেন শাক , লতা -পাতার মধ্যে কোন গুন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৫৯ লাখ মানুষ। খোদ বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতি বছর মারা যাচ্ছে দেড় লাখ। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে ২ লাখ।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রিচার্জ ডল ও রিচার্জ পেটো বলেন, শুধু পরিমিত শাক - সব্জি খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার এক তৃতীয়ংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে কমলা, টমাটো, তরমুজ, আঙ্গুর, কাগজী ও বাতাবি লেবু অগ্নাশয়ের ক্যান্সার পেপে, লালশাক পুঁইশাক, কচুশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর বুক, পাকস্থলী ও মলাশায়ের , শিম, মশুর, মটর শুটি শিম, মূত্র গ্রন্থির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে তাই আমরা শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারনের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশি করে শাক -সব্জি খাব।মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
মুরাদনগরের ১১৫ গ্রামে বিদ্যুৎ চাই
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রশংসার দাবীদার তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পুর্ব শর্ত হচ্ছে সারাদেশে বিদ্যুতায়ন। মুরাদনগরের ৩০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র ১৮৫ টি গ্রামে বিদ্যুৎ রয়েছে। বাকী গ্রাম গুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত।
জোট সরকারের আমলে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়ানোর জন্য অথবা ¯্রফে ভোট আদায়ের জন্য মুরাদনগরের কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো ও তার টানা হয়। কিন্তু এ গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে এক বক্তব্যে জনান দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের বসস্থা করা হবে। এজন্যে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গ্রিডে ৭৪১.৫ মেগাওয়াট বিদুৎ যোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং মুরাদনগরের ১১৫ টি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামত বিভাগ
ভেবে চিন্তে বীমা করুন
আজকের সঞ্চয় আগামী দিনের সম্পদ। সঞ্চয় করার জন্য আমরা ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানীর উপর নির্ভরশীল। বীমা কোম্পানীগুলো মৃত্যু ঝুঁকি বহন করে ; তাই আমার বাবা জনাব অহিদুর রহমান একটি লাইফ ইন্সুরেন্সে একটি বীমা করেন। বীমা করার সময় বীমার এজেন্ট বলেন এক লক্ষ টাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫ বছর পরপর বোনান্স পাবেন এবং মেয়াদ শেষে লাভ সহ আসল টাকা ফেরৎ পাবেন। এছাড়া আরো বলা হয় এক কিস্তি জমা দিয়ে মারা গেলেও ১লক্ষ টাকা এবং দুর্ঘটনায় মারা গেলে পাবেন ২লক্ষ টাকা । আমার বাবা স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে এক কিস্তির টাকা দিতে দেরী হয়। পরে লাইফ ইন্সুরেন্সর নিয়ম অনুযায়ী বীমাটি বীমা পত্র নং ০৮২৯৬৭৮-১) সচল করা হয়, এবং সচল হওয়ার কিছু দিন পর তিনি মারা যান। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা; কিন্তু বীমা অফিসে যোগযোগ করলে বলা হয় তিনি মৃত্যুর ৬ মাস পূর্ব থেকে স্বাকাকষ্টে ভুগছিলেন এবং বীমাটি সচল করার মাত্র ১৪ দিন পর মারা যাওয়ায় তিনি কোন টাকা পাবেন না। অবথচ বীমার চুক্তিপত্রে এ ধরণের কোন শর্ত ছিলনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীমা কর্মীর মতে ৯০% বীমা গ্রাহককে কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে বীমার টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়া বীমা করানোর পূর্বে বীমা গ্রাহকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখানো হয়। তাই সুধী পাঠবাদেব নিকট বিনীত অনুরোধ ভেবে চিন্তে বীমা করুন।
মোঃ সাইফুল ইসলামসদস্য,
কনফিডেন্ট (লিসেনার্স )ক্লাব
গ্রাম+ডাকঃ এলাহাবাদ,
দেবিদ্বার, কুমিল্লা -৩৫৩১
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিশ্চিত করুন
গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (৯৬-২০০১) সারা দেশে অসংখ্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর জোট সরকার গুলোরদিকে কোন নজর দেয়নি। ফলে বহু ক্লিনিক অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। জানা যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে আইডিপি’র অর্থায়নে গ্রামীন পর্যায়ে প্রতি ৬ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি স্যাটেলাইট কমিউ ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালের জুলাই মাস থেকে।
এ প্রকেক্টের আওতায় দেবিদ্বারের প্রতিটি ইউনিয়নে বহু ক্লিনিক স্থাপিত হয়। দেবিদ্বারবাসী আশা করেছিল এসব ক্লিনিক থেকে তারা নিয়মিতে সেবা পাবে। কিন্তু দুখজনক হলেও সত্য এগুলো চালু করা হলেও অধিকাংশ ক্লিনিকেই জনগণ পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না। অথচ এগুলো থেকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবাসহ ছোট খাট স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা যেত । আমরা আশা করি সরকার এগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিবে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
ওনারা ও কি ডাক্তার ?
কিছুদিন আগে আমাার ছোট সোনামনিটির ঠান্ডা জনিত সমস্যায় দেবিদ্ধারের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করি। একদিন যাবার পর শারিরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে বাসায় নিয়ে আসি। তবে আরো চারটি এন্টিবায়োটিক ইনজেকশান বাকী থেকে যায়। হাসপাতাল থেকে ফিট কওে দেয়া ক্যানোলাটি আমার সোনামনিটি হাত থেকে ফেলে দিলে ইনজেকশন দিতে সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জে বাজারের পাশে মুরাদনগর রোডে অবস্থিত একজন মেডিকেল এসিষ্ট্যান্টের সুরেণাপন্ন হলে তিনি একজন অভিজ্ঞ পল্লী চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেন। তিনি ও শিরায় ইনজেকশন পুশ করতে সমস্যায় পড়েন। পরবর্তীতে আবার ও ক্লিনিকে গিয়ে ইনজেকশনের কোর্স শেষ করি।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারে চিকিৎসক নামের আর এম পি ডিল্পোমাধারী ও ড্রাগিষ্টক এন্ড ক্যামিষ্ট রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এদের সকলেরই চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান ইনজেকশন পুশ করতে পারেননি। অথচ তারা সকলেই “ডাক্তার” নামে পরিচিত। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যারা একটি ইনজেকশন পুশ করতে পারেন না তারাও কি ডাক্তার। এছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স বাদেও অনেকে ডাক্তারী করছেন। তাদের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মোবাইল ফোনের হেল্প লাইন ফ্রি করা হোক
বাংলাদেশে বর্তমানে যে কয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানী ব্যবসা করছে সেগুলোর মধ্যে গ্রামীণ, একটেল, ওয়ারিদ, বাংলা লিঙ্ক, টেলিটক অন্যতম। প্রতিটি মোবাইল ফোনেরই হেল্প লাইন রয়েছে। কিন্তু হেল্প লাইনের সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা জটিল হওয়ায় অনেকেই হেল্প লাইনের সাহায্য নিতে চাচ্ছেন না। আপনি হয়তো কোন সমস্যায় পড়ে অথবা জরুরী বিষয় জানার জন্য হেল্প পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নাম্বারে ডায়াল করেছেন তখনই ও পাশ থেকে কম্পিউটার বলা হয় এটা জানতে হলে ওটা চাপুন, ওটা জানতেহলে এটা চাপুন ওভাবে এটা ওটা চাপতে চাইতেই হয়তো কয়েক মিনিট চলে গেল। আপনার ব্যালেন্স ও ফুরিয়ে গেল কিন্তু আসল কথাটিই জিজ্ঞেসা করা হলোনা। তার চেয়ে ভাল হতো কল করা মাত্র কম্পিউটারে সেইভ করা বাণী না শুনিয়ে সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেয়া। এছাড়া হেল্প লাইনে কথা বলা ফ্রি করা উচিত নয় কি ?এছাড়া হেল্প রাইনে শুধু নিজেদেে সার্ভিস সংক্রান্ত তথ্য না দিয়ে আগামীকাল হরতাল আছে কি না, হরতারের কারণে পরীক্ষা পেছালো কি না, রাস্তায় যানজট আছে কি না ? ইত্যাদি বিষয়ে ফোন কোম্পানীগুলো মেসেজের মাধ্যমে আগাম তথ্য দিতে পারে। কর্তৃপক্ষ আশাকরি ভেবে দেখবেন।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করুন
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের মানচিত্র ,জাতীয় সাদ্দীত, জাতীয় পতাকা, জাতীয় ফুল, ফল ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়। এগুলোর মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। বিশেষ করে জাতীয় সাদীত ও জাতীয় পতাকার মর্যাদা অপরিসীম। জাতীয় সাঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা যত্র তত্র ব্যবহার করা যায়না। জাতীয় সাঙ্গীত বাজানো হলে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে শ্রদ্মা নিবেদন করতে হয়। জাতীয় পতাকা কখন পূর্ণভাবে কখন অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা যাবে সাইজ কি হবে ? কখন উঠাতে হবে কখন নামতে হবে। এগুলোর নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
দুঃখজনক হলো সত্য জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদা হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইলের রিংটো হিসেবে জাতীংয় সঙ্গীত ব্যবহার করায় এর অমর্যাদা হচ্ছে। তাই মোবাইলে জাতীয় সাঙ্গীত বাজানো নিন করা হোক। জাতীয় পতাকা. মানচিত্র, শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, কাপাড়, রিংবা বেøজারের বোতামে অথবা কোন দলীয় কাজে এ গুলোর অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত।তা না হলে আমাদের জাতীয় বিষয়গুলোর মর্যাদা রক্ষা হবে না। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামতঃ খেলনা পিস্তল নিষিদ্ধ করুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন সময় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলায় শিশুদেও খেলনা পাওয়া যায়। শিশুরা খেলনাা প্রিয়। মেলা থেকে আমরা হাতি, ঘোড়া, বিমান, জাতীয় খেলনার পাশাপাশি খেলনা পিস্তল দিয়ে থাকি। এ ধরনের খেলনা শিশুরা খুব পছন্দ করে। তাই আমরা আমাদের সোনামনিদের হাতে পিস্তল দিয়ে থাকি। আর এ পিস্তল নিয়ে তারা একে ভয় দেখায় ,ওকে ভয় দেখায় ,এভাবে সে মজা পায়।
শিশুরা বড়দের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করে। মুলত মা- বাবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ঘনিষ্ঠ জনদের নিকট সে শিক্ষা লাভ করে। তাই পিস্তল জাতীয় খেলনা দিয়ে শিশুকে ভাল কিছু শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বিভিন্ন যায়গায় ডাকাতির সময় অরিজিনাল পিস্তলের পাশাপাশি খেলনা পিস্তলও ব্যবহার করা হয়। তাই পিস্তল জাতীয় কোন খেলনা দেয়া অদৌ ঠিক কিনা ভেবে দেখা প্রয়োজন । তবে আমাদের মনে হয় সবচেয়ে ভাল হয় এধরনের বিপদজনক খেলনা উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা উচিত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
শিশুদের হাতে মোবাইল দেবেন কেন ?
বর্তমান যুগে মোবাইল আমাদের নিত্য সাথী মোবাইল ছাড়া এক মুহুর্ত ও চালতে পরি না। মোবাইলের আশির্বাদে আমরা সেকেন্ডের মধ্যেই পৃথিবীর যে কোন যায়গায় খবর পেতে পারি। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রটির যে কিছু ক্ষতিকার দিক রয়েছে সেটি কি আমরা কখনও ভেবে দেখেছি ? মোবাইল টাওয়ার থেকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর রশ্মি বেরুচ্ছে। মোবাইলে কথা বলার সময় ও সামান্য পরিমাণে ক্ষতি হয়। তবে শিশুদের বেশি ক্ষতি হয়। তাই শিশুদের হাতে মোবাইল দেয়া ঠিক নয়। কিন্তু মোবাইলের আওয়াজ পেলে শিশুরাই আগে সাড়া দেয় এবং তা নিতে চেষ্টা করে এবং না দিলে কান্না কাটি করে। তাই আমরা তাদের হাতে মোবাইল দিয়ে রাখি আযথা মোবাইলে তাদের সাথে কথা বলি।
শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তত্ত¡ীয় পদার্থ বিভাগের প্রধান ডঃ গোলাম মোহাম্মদ ভুঞা বলেন একটি শিশু মোবাইল ফোনে ২মিনিট কথা বলার ফলে তার মস্তিস্কে যে পরিমান প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে ঘন্টা খানেক সময় লেগে যায়। এ কারনেই ভারত সরকার শিশুদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে শিশুদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখা উচিত। কেননা সাময়িক আনন্দ বৃহত্তর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
মতামত: মহিলারা পড়বেন না!
পুরুষের প্রধান সম্পদ তার পৌরষত্ব। যৌন শক্তি ধরে রাখার জন্য পুরুষকে খাদ্যের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখাতে হয়। এব্যাপারে খাদ্যেও দিকে নজর না দিয়ে অনেকেই ঔষধ খেয়ে নিজেকে সবল রাখতে চান। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর ইউনানী ব্যবসায়ীরা দেদারছে ব্যবসা করছে। বিভিন্ন বাস ষ্টেশন, রেলওয়ে ষ্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল সহ বিভিন্ন জনবহুল যায়গায় এক শ্রেণীর লোক “জীবনের শেষ চিকিৎসা হিসেবে ” লিফলেট বিতরণ করে যুবকদের বিভ্রান্ত করে থাকে ।
বড় ধরনের জটিল যৌন রোগ না হলে নিজেকে সবল রাখার জন্য ডাক্তারের নিকট যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিছু ফলমুল ও শাক- সব্জী খেয়ে আপনি ভাল থাকতে পারেন। এছাড়া মাছ মাংস খেয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখতে পারেন। এ ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি নিয়মিতভাবে রুই মাছ ,হাসের মাংস , গব্যঘৃত, গরুর দুধ, ঘোল, আলু, ডিম, ফুলকপি, বাধা কপি, আম, আদা, ইক্ষু, নারকেল, বেগুন, মাস,গম, ইত্যাদি বেশি করে খাবেন।দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে সঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে হবে।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ, কুমিল্লা-৩৫৩১
সেল ফোন: ০১৭১১৭১৩২৫৭
প্রবীন বান্ধব পরিবেশ চাই
সৃষ্টিকর্তার দয়ায় একটি শিশু পৃথিবীর মুখ দেখাতে পায়। শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে এক সময় সে-ও শিশুর পিতা হয়। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষ করে প্রবীণের খাতায় নাম লিখায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের শক্তি -সামর্থ কমতে থাকে। ফলে একসময়ের দুরন্ত যুবকটি তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের উপর নির্ভরশীল হয়। শারীরিকভাবে দুর্বল, চিন্তা চেতনা নির্ভর অবসর জীবন সবার জন্য সুখের হয় না। বিশেষ করে ছেলেরা সংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বৃদ্ধ বাবার প্রতি আগের মত খোঁজ খবর রাখতে পারেনা। এছাড়া ছেলে বউরা নিজেদের বাবার মত বরের বাবাকে সম্মান ও সেবা যত্ম করেন না। তবে সকল মহিলাই যে একরকম এমনটি নয়। এর ব্যতিক্রম ও আছে। স¤প্রতি ভারত একটি বৃদ্ধ বান্ধব আইন করেছে , নতুন এ আইন অনুযায়ী, মা বাবাকে অবহেলার অভিযোগ প্রমানিত হলে কুলাঙ্গার সন্তানের জেল জরিমানা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে এমন ক্ষমতা দেওয়া আছে যাতে মা বাবাকে মাসিক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সন্তানকে বাধ্য পর্যন্ত করতে পারবে তারা। বাংলাদেশেও এমন একটি অইন তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা আশা করি আমাদের দেশে একটি প্রবীণ -বান্ধব আইন তৈরি করা হবে, যাতে আমরা আমাদের প্রবীণদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি। এব্যাপারে কার্র্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনিতভাবে অনুরোধ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার চাই
মাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের তথ্যমতে ২০০৮ সালে ৮৭টি ঘটনায় বাংলাদেশের ১৬৬ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মামলায় শিকার হয়েছেন ৪৪ জন উপস্থিত ২৪ জন ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২৩ জনকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকগন বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত, লাঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকার। এ ক্ষত্রে সাংবাদিকগণ যযোপযুক্ত সম্মানী পান না, দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এছাড়া অধিকাংশ সাংবাদিকের চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নেই , চাকুরি শেষে পেনশান বা আর্থিক সুবিধা লাভ করেন না। তারপরও তারা সাহসের সাথে এসব সমস্যা মোকাবেলা করে বস্তুনিষ্ঠভাবে সাংবাদিকতা করেন। সাংবাদিকগন সত্য ও ন্যায়ের অতন্ত্র প্রহরী তাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
বাতের সমস্যায় কি করবেন ?
বাংলাদেশে কয়েকটি রোগ বিশেষ ভাবে দেখা যায় তাদের মধ্যে বাত অন্যতম। চিকিৎসা বিজ্ঞান বাতকে পুরোপুরি আটকে দিতে ব্যর্থ; তবে শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করলে সুস্থ মানুষের মতো জীবন যাপন করা যায়। বাত সম্পর্কে সাধারণ ধারণা শরীরের রস জমে বাতে ব্যথা বাড়ায়। তাই বেদনীরা শিঙ্গা দিয়ে শরীরের রসা টেনে নিয়ে বাত নামায় বলে একটি ভূল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কোন কোন চিকিৎসক বাতের রোগীদের কুমড়ো বোয়াল মাছ, পুটি মাছ ও ভাত খেতে নিষেধ করেন।
সাধারণত ৪০ বছর অতিক্রম করলে বাতের প্রকোপ বাড়ে। বাতে আক্রান্ত স্থানে ব্যাথা শুরু হয়, নড়াচড়া করলে ব্যাথা বাড়ে। কখন ও আক্রান্ত জয়েন্ট ফুলে যায়, হাত দিলে গরম লাগে। বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগে রাখতে হবে,এছাড়া কিছু কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া খাওয়ার দাওয়ার প্রতি নিজর রাখতে হবে। কিন্তু ফল ফলাদি ও শাক সব্জি বাতনাশক নামে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে ছাগলের মাংস, ডিম, কুমড়া, বেগুন, সীম, গম, কামরাঙ্গা, লেবু ও ডালিম অন্যতম। আমাদের দেশে বিশেষ কওে গ্রামগুলো বাতের ব্যথায় অংটি, খারু ও তাবিজ দেয়ার সিস্টেম চালু রয়েছে। এসব ই কুসংস্কার ,এগুলো না দিয়ে চিকিৎসা, ব্যায়াম ও নিয়মিত খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে বাত নিয়ন্ত্রন সম্বব।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭
কুমিল্লার মুরাদনগরে পানিতে সব্জি চাষ
মুরাদনগরের অধিকাংশ এলাকা নীচু ভূমি হওয়ায় বছরের ৫/৬ মাস পানিতে নিমজিজত থাকে। ফলে এভাবে জমিতে ফসল আবাদ করা যায় না। কৃষি বিভাগ একটু উদ্যোগ নিলেই পুকুরে অথবা জলাশয়ে সবজি বাগান করা যেতে পারে। যে যায়গায় বাগানটি করা হবে সেখানে ৮মি. থেকে ২মি.উচু করে কচুরিপানা দিতে হবে। কচুরিপানা পাওয়া না গেলে ধানের খড় নারকেলের ছোবরা ও বাঁশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কচুরিপানা ও বাঁশের সাহায্যে একটি ভাসমান ভেলা তৈরী করতে হবে। ভেলাটা তৈরীর পর আরো বেশি করে কচুরিপানা দিতে হবে কচুরিপানার স্তুপটি ১ মিটার উচু হতে হবে। মূল কাঠামো বসানো শেষ হয়ে গেলে কঞ্চিগুলো সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ভেলাটি অবস্থান করাতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভেলাটি ভেসে না যায়। সাত থেকে দশ দিন পর ভেলার উপরে আরেক স্তর কচুরীপানা দিলে মাটির সাথে কম্পোষ্ট ও গোবর মিশ্রন ২৫ সে. মি. দূরত্বে দিতে হবে। তারপর ভেলার উপর চারা রোপন করুন। লাউ, বেগুন পেয়াজ, লাগাতে পারেন। ভেলার চারদিকে জাল বা কাঠি দিয়ে বেড়া দিয়ে হাঁস বা ইঁদুরের অক্রমন প্রতিরোধ করুন। ফসল উঠার পর ভেলাটি আবারো ব্যবহার করা যাবে।
মুরাদনগরের নীচু এলাকায় কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বর্ষাকালে কোন কাজ থাকে না। তারা কৃষকদের ভাসমান বাগান তৈরীতে সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে মুরাদনগরের সব্জির উৎপাদন বাড়বে এবং বাগনের সব্জির চাহিদা পুরণ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন এ পদ্ধতিটি বাস্তবায়ন কওে মুরাদনগওে বর্ষাকালীন সব্জির চাহিদা পুরণ করুন।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
সেল ফোনঃ ০১৭১১-৭১৩২৫৭

অতীত স্মৃতঃিদেবিদ্বারের সাংবাদিকদের নিযাতন মুক্তির প্রত্যাশা
অতীত স্মৃতঃিদেবিদ্বারের সাংবাদিকদের নিযাতন মুক্তির প্রত্যাশা
ফরাসী দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো বলেছেন মানুষ স্বাধীননভাবে জন্ম গহ্রন করে কিন্তু সর্বদা সে শৃঙ্খলিত। দেবিদ্বারের সাংবাদিকদের জন্য এ কথাটি পুরোপুরি সত্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেবিদ্বাওে শুধু স্থানীয় সাংবাদিকগণই নির্যাতিত হননি। নির্যাতিত হয়েছেন জেলা পর্যায়ের বহু সাংবাদিক অপমানিত হয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন সাংবাদিক নেতা। দেবিদ্বারের সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত থাকতে পারবে এটাই প্রেস ফ্রিডম ডে ০৯ এর প্রত্যাশা। সাংসদ মুন্সী সাংবাদিকদেও শুয়োরের বাচ্চা- কুত্তার বাচ্চা বলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এলাকায় এসকল সাংবাদিককের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবং সাংবাদিক দেখা মাত্র হাত পায়ের রগ কেটে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়। তবে সাংবাদিকগণ এতে ভীত না হয়ে নিজ নিজ পত্রিকায় মঞ্জুর অপকর্ম প্রকাশ করতে থাকে।দেবিদ্বারের সাংবাদিক নির্যাতন সংক্রান্ত সবচেয়ে অপমানজনক ঘটনা ঘঁটে ১৩ এপ্রিল ২০০৬। ওই দিন দেবিদ্বার উপজেলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এবং বিসিডিজেসির সহযোগিতায় দেবিদ্বার প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী সেনিমানার পন্ড করে দিয়েছেল সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিরুল আহসান মুন্সীর নির্দেশ্যে তারই সমস্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী ও দুজন চিহ্নিত সংবাদকর্মী।
সেমিদন অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে ছিলেন বাসসের প্রধান প্রধান সম্পাদক গাজিউল হাসান খান, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বিডি নিউজ ও সাপ্তাহিক ৭১ এর সম্পাদক রাশেদ চৌধুরীসহ ও সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেলে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ আখতারু ইউসুফ ও ঢাকার বিভিন্ন দেনিকের শীর্ষ স্থানীয়য় সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল মোহাম্মদ একরামূল্লা হিল কাফি ও সাইফুল ইসলাম তালুকতারসহ আরো অনেকে।
নির্দিষ্ট কোন ঘটনা নয় সাবাদিকগণ সমসময়ই সাবেক সাংসদমঞ্জু মুন্সীর চক্ষুশৃল ছিলেন। সায়ংবাদ ছানানোকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল দেবিদ্বার উপজেলা প্রেস ্লাবের সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান রাশারের প্রতি ২০০০১ সালের রমজান শেষে ঈদের পূর্বে জাফরগঞ্জ মীর আবদুল গফুর কলেজের এবং মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজের ৪৮ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন জভাতাদির বিলে মুন্সী স্বাক্ষর না করায় তারা ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশে ক্ষুদ্ধ হয়ে ৩০ /৩৫ জন ক্যাডার সাংবাদিকদের উপর চাড়াও হয়। এসময় বাশারকে মাইক্রোযোগে তুলে ঢাকায় মুঞ্ঝু মুন্সীর নিকট দিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করা হয়। ২০০১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্লিন হার্ট অপারেশন চলাকালীন সমযৈ সীমাহীন সন্ত্রাস চাঁদাবাজী জবর দখলের অভিযোগে সাংসদ মাঞ্জু মুন্সীর তাই আক্তাররুজ্জামান বাবুকে ক্রেফতারের পর ছবি তোলার অভিযোগে বাহারকে জীবননাশের হুমকী দিয়েছিল মুন্সী ও তার সশন্ত্র ক্যডাররা। ২০০৪ সালের ১৭ সেম্পেম্বর দেবিদ্বারে বন্যাবদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে আসা আ’লীগ তা নতা রৌশন আলী মাষ্টারের উপর হকিষ্টিক দিয়ে বর্বোরোচিত হামলা ও ত্রাণ লুটের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার সময় বাশারও অন্যান্য সাংবাদিদের উপরর হামলা করা হয়।
২০০৬ সালের ১৮ জানুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকায় দেবিদ্বারে ঐতহ্যিবাহী পোনরা পৌষ সংক্রান্ত মেলায় দলীয় তহবিলসহ বিভিন্ন খাতে চাঁদদাবাজ, মাস্তান বখাটেদের দৌরাত্ম এবং অতরিক্ত টোল আদায়ে মেলাটি ধ্বংসের পথে শীর্ষক পিরোর্ট করায় ইজারাদার ইউনুসকে ধানায় আটকে রেখে বাশারের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ড বাশারকে জামিন দেয়। সাংবাদিক বাশরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবীতে সিপিবির উদ্যোগে দিবেদ্ধিারে প্রতিবাদ সমাবেশ করলে মুন্সী বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় সিপিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সংগঠক পরেশকরসহ ১০ সাংবাদিক বাশারসহ সকল সাংবাদিকগণই ছিল তার শত্র“ ২০০৫ সালের জুলাই মাসে উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত রসুলপুর গ্রামে অব্যাহত চুরি ডাকাতি নারী নির্যাতন সক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেতা বাবসীর ধরা পড়ায় সাংসদ স্থানীয় সাংসাবিদকদের উপর ক্ষুদ্ধ হন। ওই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন
উপলক্ষে অয়োজিত সভায় সাংসদ মুন্সী সাংবাদিকদের গুয়োরের বাচ্চা কুত্তার বাচ্চা বলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এলাকায় সক সাংবাদিকের প্রবেশ সিনিষিদ্ধ করা হয় এবং সাংবাদিক দেয়া মাত্র হাত পায় রগ কেটে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়। তবে সাংবাদিকগণ এতে ভীত হনা হয়ে নিজ নিজ পত্রিকায় মঞ্জুর অপকর্ম প্রকাশ করতে থাকেন। ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ বেদ্বিারের ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিদ্যুতের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে ৫ শতাধিক গ্রাহক মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করে। এসময় আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি সংবাদ সংগ্রহে মুন্সীর বাড়িতে গেলে মুন্সী নিজেই তাকে যাওয়া করে এবং একটি ঘরে করিদ্বার থায়া সোপর্দ করে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী মনসুরকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুরের মামলা দায়ের করিয়ে কোর্ট হাজতে চালান করে দেয়
১৪ সেপ্টেম্বর (২০০৬) স্থানীয় বিএনপি দুগ্রুপের সংঘর্ষ চলা কালে সংবাদ সংগ্রহ আসা জনকন্ঠ জেলা প্রতিনিধি আবুল কাসেম হৃদয় ওস্থানীয় জনকন্ঠ প্রতিনিধি একএম ফজলুল আমিন খান রাসেলকে পিটিয়ে মরাত্মক আহত করে বিএনপি মঞ্জু সমর্থিত ক্যাডারগণ।
২৩ জুন ২০০৬ সাবেক মন্ত্রী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী একটি শোকভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আসার সময় বারেরা স্টেশনে মুন্সীপূত্র ব্যরিষ্টার রিজবিউল আহসান মুন্সীর নেতৃত্বের বাধা প্রদান ও ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় ক্যাডাররা ফখরুল মুন্নসীকে হকি ষ্টিক দিয়ে আঘাত করার ছবি ক্যামেরাবন্দী করার সময় দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুনের হাত কামড়ে আহত করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় হুমকী ও লাঞ্চিত হন আমোদ প্রতিনিধি মমিনুল ইসলামা মোল্লা, আমাদের সময় প্রতিনিধি সৈয়দ খলিলুর রহান মানবজমিন প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম খবর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রাজু সমকাল প্রতিনিনিধ এনামুল হক ও খবর পত্র প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাগর।
লখিার তারখিঃ ৩১/০৮/২০১৭

কোয়াক ডাক্তারের কান্ডজ্ঞান প্রসঙ্গে
কোম্পানীগঞ্জ বাজারে চিকিৎসক নামের আর এম পি ডিল্পোমাধারী ও ড্রাগিষ্টক এন্ড ক্যামিষ্ট রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এদের সকলেরই চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান ইনজেকশন পুশ করতে পারেননি। অথচ তারা সকলেই “ডাক্তার” নামে পরিচিত। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যারা একটি ইনজেকশন পুশ করতে পারেন না তারাও কি ডাক্তার। এছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স বাদেও অনেকে ডাক্তারী করছেন। তাদের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
প্রেসিডেন্ট , কনফিডেন্ট (লিসেনার্স) ক্লাব,
এলাহাবাদ,কুমিল্লা-৩৫৩১।
তারখি-০২/০১/২০১৩
✎সাগর-রুনীসহ ৫০ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই
![]() |
| সাগর-রুনীসহ ৫০ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই |